ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে সক্রিয় হতে হবে

Daily Inqilab আফতাব চৌধুরী

০৩ জুন ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ১২:০১ এএম

বিশুদ্ধ বাতাস, স্বচ্ছ ও নিরাপদ পানি, পর্যাপ্ত খাদ্য এবং নিরাপদ বাসস্থান-স্বাস্থ্যসম্পদÑ এই মৌলিক চাহিদাগুলোকে প্রভাবিত করছে জলবায়ু পরিবর্তন। সাম্প্রতিক অতীতে, বছরে অতিরিক্ত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে শুধুমাত্র বিশ্ব-উষ্ণায়নের ফলে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত ও সংবেদনশীল স্বাস্থ্যসমস্যাগুলো, যেমন অপুষ্টি, ডায়েরিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে। আগে পৃথিবীর যে সমস্ত অঞ্চলে ভৌগোলিক কারণে এগুলোর প্রকোপ ছিল না বা কম ছিল, জলবায়ু পরিবর্তনে সেই অঞ্চলগুলোতে ভৌগোলিক সীমারেখা মুছে নতুন স্বাস্থ্যসমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশের দুর্বল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এই সমস্যার আকস্মিকতা ও ব্যাপ্তি সামলানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। শুধুমাত্র রোগের বিরুদ্ধে লড়াই, পরিবেশকে শীতল ও নির্মল করার সমস্ত উদ্যোগের পাশাপাশি, উন্নততর যাতায়াত, খাদ্য ও জ্বালানি ব্যবহার স্বাস্থ্য সমস্যার এই নতুন দিকটিকে অনেকটা সামাল দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কিন্তু সমস্যার মূলে যে জলবায়ু পরিবর্তন সেটা কীভাবে সম্ভব হলো? গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের পরিবেশ-বিরোধী নানারকম ক্রিয়াকলাপের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই অক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, মিথেন, ওজোন, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি ‘গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর উপস্থিতি বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে বায়ুমন্ডলের নিচের স্তরে উষ্ণতা বেড়ে গিয়ে তা প্রভাবিত করছে পৃথিবীর জলবায়ুকে। বিভিন্ন অঞ্চলে বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি, পরিমাণ, এমনকি ‘ঋতুছন্দ’ও। গত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে পৃথিবীর উষ্ণতা প্রতি দশকে প্রায় ০.১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বেড়ে চলেছে। গলে যাচ্ছে হিমবাহ ও মেরু প্রদেশের বরফ। সমুদ্রতলের উচ্চতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রসঙ্গত, ‘এশিয়া অঞ্চলে’র সমুদ্রতল ৪০ সেন্টিমিটারের বেশি বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে আবহাওয়ার চরমতা প্রায়শই লক্ষ করা যাচ্ছে। ঠান্ডা বা গরমের তীব্রতা লক্ষণীয়ভাবে স্পষ্ট হচ্ছে।

তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের এই পরিবর্তনগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে নানা রকমের স্বাস্থ্যসমস্যা ডেকে আনছে। যেমন, তীব্র গরম, কার্ডিওভাসকুলার ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ মৃত্যুর কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। বয়স্ক মানুষ বেশি সংখ্যায় এর শিকার হচ্ছেন। উচ্চ তাপমাত্রা, বায়ুতে ওজোন এবং অন্যান্য দূষণের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করছে। এই ধরনের দূষিত আবহওয়া শহরাঞ্চলে অ্যাঁজমার প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে আজ প্রায় ৪০ কোটি মানুষ এর শিকার।

জলবায়ুর পরিবর্তনে, গত অর্ধ-শতাব্দীতে আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বেড়ে গেছে। প্রধানত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ধরনের বিপর্যয় প্রত্যেক বছর প্রায় ষাট হাজার মানুষের প্রাণ সরাসরি কেড়ে নিচ্ছে। প্রচলিত চিকিৎসা ও পরিকাঠামো এ ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর হচ্ছে না। সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি ও আবহাওয়া সংক্রন্ত নানা দুর্যোগ বিশেষ করে ক্ষতি করছে তাদের, যারা সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে বাস করেন। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি মানুষ সমুদ্র থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাবে এরা নিজেদের বাসস্থল থেকে দূরে সরতে বাধ্য হলে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা ও সংক্রামক ব্যাধিসহ অজানা পরিবেশের শিকার হতে পারে।

বৃষ্টিপাতে প্রকৃতি ক্রমাগত বদলে যাওয়ার কারণে আগামী দিনে বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার সমস্যা তীব্রতর হতে পারে। পুকুর, খাল, বিল, নদী ইত্যাদিও পানির অন্যতম উৎস বৃষ্টি। বৃষ্টি প্রধান উৎস ভৌম পানিরও। সে পানি আমরা পান করি এবং কৃষিক্ষেত্রে সেচের কাজে ব্যবহার করি। সুতরাং বিশুদ্ধ পানির অভাব বা সমস্যা হলে মানুষ পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে আপস করতে বাধ্য হবে। বাড়বে ডায়েরিয়ার ঝুঁকি, যে রোগে প্রত্যেক বছর প্রায় ২২ লাখ মানুষ মারা যায়। আবার পানির অভাব তীব্র হলে খরা এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। মনে করা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন, ২০৯০ সালের মধ্যে খরাগ্রস্ত এলাকাকে অনেক বাড়িয়ে দেবে। ঘনঘন দেখা দেবে তীব্র খরা। প্রকৃতপক্ষে এর আশঙ্কা প্রায় ২ গুণ বেড়ে যাবে, আর খরার গড় সময়কাল বেড়ে যাবে ৬ গুণ। অন্যদিকে, বন্যার সংখ্যা ও ভয়াবহতাও বাড়বে। এর ফলে যেমন পানি দূষিত হয়ে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের আক্রমণ বাড়বে, তেমনই বন্যা পরবর্তী জমা পানিতে মশা ও নানা কীটপতঙ্গের রমরমায় বাড়বে এগুলো সম্পর্কিত নানারকম রোগ। এ ছাড়া, বন্যার প্রত্যক্ষ প্রভাবে একদিকে যেমন জীবন ও সম্পত্তিহানি ঘটবে, অন্যদিকে তেমন যাতায়াত ও চিকিৎসা পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত হচ্ছে নানারকম কীটপতঙ্গ। শামুক জাতীয় প্রাণী ও বিভিন্ন শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী যাদের মাধ্যমে সাধারণভাবে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ হয়। প্রকৃতপক্ষে পরিবর্তিত জলবায়ু, সংক্রমণের আদর্শ সময়কালকে দীর্ঘায়িত করছে, বাড়ছে রোগাক্রমণের ভৌগোলিক সীমাও। সারা পৃথিবীতে অ্যানোফিলিস মশাবাহিত ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রত্যেক বছর মারা যাচ্ছে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে দ্রুত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি রোগের প্রকোপের সরাসরি সম্পর্ক লক্ষ করা গেছে। যেমন, অতিরিক্ত উষ্ণতা ও তাপমাত্রায় অনেক সময় কলেরার মতো ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণ মহামারীর আকার নিতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কার্যকারণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টত দ্বিধাবিভক্ত। একপক্ষ মনে করেন, মানুষের ক্রিয়া-কলাপের ফলেই এই অবাঞ্ছিত পরিবর্তন। অন্যদল মনে করেন, পৃথিবীতে মানুষ আবির্ভাবের অনেক অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ভূ-তাত্ত্বিক যুগে, প্রাকৃতিকভাবেই কখনও পৃথিবী উষ্ণ হয়েছে, কখনও শীতল। তবে কারণ যাই হোক না কেন, পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্যতা এবং তার ফলস্বরূপ নানা ধরনের সমস্যা চ্যালেঞ্জ হয়েই দেখা দিচ্ছে।

এই মুহূর্তে করণীয় কী? আবহাওয়ার চরমতা ও তৎপরবর্তী সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পরিকল্পনাগুলোকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণের আরো উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় বিশেষীকরণ এবং পরিবেশনীতি ও স্বাস্থ্যনীতির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যসমস্যা যেমন একটি আঞ্চলিক ইস্যু, একই সঙ্গে এটি একটি গ্লোাবাল ইস্যুও। কারণ শেষমেশ ‘প্রকৃতি’ গোটা বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই পৃথিবীর সমস্ত দেশ, সমস্ত সরকারকে অন্তত এই একটি বিষয়ে এক হয়েই কাজ করতে হবে। না-হলে সমস্যাটির মূলে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে বাংলাদেশের মতো, একই সঙ্গে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় ও জনবহুল দেশে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে উপযুক্ত গণ-সচেতনতা সবার আগে প্রয়োজন। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলো নিঃসন্দেহে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। আমাদের দেশ ছোট্ট। জনসংখ্যা অনেক বেশি। কাজেই আমরা যে যেখানেই থাকি, যেভাবেই থাকি, যে অবস্থানেই থাকি না কেন আমাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় হতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার