ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার
২০ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ১১:৫১ পিএম
এবার সারা দেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ খুব বেশী। এই মাসে মৃত্যুহার খুব দ্রুত বাড়ছে। আমরা জানি ডেঙ্গু রোগ ভাইরাস দিয়ে হয়। এডিস ইজিপ্টি মশা এই ভাইরাস বহন করে। এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ায় এবং এর ফলেই ডেঙ্গুজ্বর হয়। তাই বলা যায় মশা নিধন ও মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া ছাড়া এ থেকে কেউই নিরাপদ নয়।
অনেক সময় প্রাথমিক অবস্থায় ডেঙ্গুজ্বর এবং সাধারণ ভাইরাল জ্বরের মধ্যে পার্থক্যই করা যায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গুজ্বর কিছু বুঝে উঠার আগেই মারাত্মক অবস্থা ধারণ করে। সময়মত ও যথাযথ চিকিৎসা না করলে এ থেকে মৃত্যুও ঘটতে পারে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে রক্তক্ষরণ হয় এবং সময়তম চিকিৎসা না করলে রোগী শকে চলে যায় এবং মৃত্যুবরণ করে।
তবে আশার কথা ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার খুব একটা বেশি হয় না। চার ধরনের ভাইরাস দিয়ে ডেঙ্গুজ্বর হয়। পূর্বে যদি একধরনের ভাইরাস দিয়ে ইনফেকশন হয় এবং পরবর্তীতে আবার ডেঙ্গুজ্বরের ভাইরাস শরীরে ঢোকে তবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। ককেশিয়াস অঞ্চলে, মেয়েদের এবং যাদের বয়স ১২ এর নীচে তাদের ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বেশি হয়। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের লক্ষণ প্রাথমিক অবস্থায় সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের মতই। তবে হেমোরেজিক ফিভারে শরীরে রক্তপাত হয়। কখনও কখনও দাঁতের মাড়িতে, অন্ত্রে, জননাঙ্গে রক্তপাত হতে পারে। রক্তক্ষরণের ফলে রোগী ঘামতে থাকে, হাইপোভলিউমিয়া হয় এবং শকে চলে যায়। এ সময়ে যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে মৃত্যুই ঠেকানো যায় না।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ডায়াগনসিসের জন্য রোগীর ইতিহাস, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ল্যাব টেস্ট করা হয়। হেমাটোক্রিট বেড়ে যায়, প্লাটিলেট কাউন্ট করলে কম পাওয়া যায়। অনেক সময় ১০০০০ এর নিচে চলে আসে। লিভার এনজাইম রক্তে বেড়ে যায়। এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিরাম ইলেকট্রোলাইট, হিমাটোক্রিট পরীক্ষা এবং এন্টিবডি পরীক্ষা করে সহজেই ডায়াগনসিসে পৌঁছানো যায়।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের বেশ কিছু জটিলতা আছে। যেমনঃ (১) লিভার ফেইলিউর, (২) এনকেফালোপ্যাথি, (৩) খিঁচুনি, (৪) মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, (৫) মেটাবোলিক এসিডোসিস, (৬) ব্রেন ড্যামেজ, (৭) কমা এবং (৮) মৃত্যু।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। রুগীর অবস্থার উপর চিকিৎসা নির্ভর করে। তবে দ্রুত রুগীকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিতে হবে। ব্লাড দিলে রক্তপাত বন্ধ হয়। শিরায় ফ্লুয়িড দিলে পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। এসপিরিন জাতীয় ওষুধ কোন ভাবেই দেয়া যাবে না। তাতে রক্তক্ষরণ আরো বেড়ে যাবে। তবে প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যাবে। লক্ষণ অনুযায়ী আরও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দ্রুতই শুরু করতে হবে।
মনে রাখবেন ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের রুগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। অবশ্যই দ্রুত নিকটস্থ কোন হাসপাতলে নিয়ে যেতে হবে। সময়মত সঠিক চিকিৎসা হলে বেশির ভাগ রোগীই ভাল হয় যায়। যারা খারাপ পরিণতির দিকে যায় তাদের বড় একটা অংশ দেরিতে হাসপালে আসার কারনেই এমনটা হয়।
ডা. মো. ফজলুল কবির পাভেল
বিভাগ : স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না মায়ামির
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো