ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ডাবের ডাবল ‘সেঞ্চুরি’

Daily Inqilab অর্থনৈতিক রিপোর্টার

০৫ আগস্ট ২০২৩, ১০:০১ পিএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম

দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। আর ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাবের দাম। রাজধানীতে প্রতি পিস ডাবের দাম ছাড়িয়েছে ২০০ টাকা। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে ডাবের। আর এ সুযোগে চড়া দামে ডাব বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এলাকাভেদে প্রতি পিস বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত। আর মাঝারি ও ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট চলছে ডাবের বাজারে। ডেঙ্গুর প্রভাব কাজে লাগিয়ে চড়া দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল এলাকায় ফয়সাল নামে এক ক্রেতা বলেন, হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত ভাইয়ের জন্য ডাব কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু ডাবের দাম অনেক বেশি। একটা ডাবের দাম ২০০ টাকা।
রাজধানীর সদঘাটের ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় হাঁটতে আসা ইমরুল বলেন, ডাবের দাম এখন নাগালের বাইরে। কয়েক মাস আগেও প্রতি ডাব ১০০ টাকার নিচে বিক্রি হয়েছে। সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আরেক ক্রেতা মহসিন বলেন, ডাবের বাজারে সিন্ডিকেট চলছে। প্রতিবছর এ সময় এলেই ডাবের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। অধিক মুনাফার লোভে ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবের সুযোগ নেয় অধিকাংশ অসাধু ব্যবসায়ী।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, প্রতিবছর আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে ডাবের সরবরাহ কমে যায়। পাশাপাশি ডেঙ্গুসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ও গরমের কারণে ডাবের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এতে দাম বাড়ে। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় ডাব বিক্রি করা সোলেয়মান জানান, ডেঙ্গু রোগ বাড়ায় ডাবের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তবে ডাবের পর্যাপ্ত জোগান নেই। ফলে দাম কিছুটা বাড়ছে। আরেক ডাব বিক্রেতা অনিক হাসান বলেন, ডাবের বাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই। সরবরাহ কম থাকায় ও চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে। এদিকে ডাবের পাশাপাশি বেড়েছে অন্যান্য ফলের দামও।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত