আঞ্চলিক লেনদেন ব্যবস্থা চালু করছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
০২ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ঐক্য স্থাপন, আসিয়ানভুক্ত (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) দেশগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে সহযোগিতাপূর্ণ করে প্রতিষ্ঠা ও অঞ্চলের বাস্তবায়নে চালু হয়েছে আঞ্চলিক লেনদেন ব্যবস্থা। প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিকরা স্থানীয় মুদ্রার মাধ্যমে কিউআর কোড ব্যবহার করে পণ্য ও পরিষেবার মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে চালু হয়েছে লেনদেন ব্যবস্থা। শিগগিরই চালু হবে ফিলিপাইনে। এর আগে পাঁচটি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশ আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করে। মে মাসে আসিয়ানের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে আসিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক মুদ্রা বাস্তবায়নে কথা হয়েছে। আঞ্চলিক লেনদেনের পাশাপাশি বিনিয়োগ, ব্যবসা, রেমিট্যান্স ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা সহজ হয়ে উঠবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে। বিশ্লেষকদের দাবি অনুযায়ী, আগামী দিনগুলোয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় খুচরা শিল্প বাড়বে। পর্যটন খাতের সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাড়বে ভোক্তা ব্যয়। ফলে আঞ্চলিক সংযোগকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো প্রয়োজন মনে করছেন নেতারা। তবে অঞ্চলের অধিকাংশ দেশই জ্বালানি খাতে আমদানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে গতি মন্থর। আঞ্চলিক ডিজিটাল বিনিময় ব্যবস্থার মাধ্যমে আসিয়ান অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। ফলে বৈশ্বিক পরাশক্তির মধ্যে টানাপড়েনের মাধ্যমে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে। কিউআর কোডের মাধ্যমে লেনদেন ও একজনের ওয়ালেট থেকে আরেকজনের ওয়ালেটে অর্থ আদান-প্রদান করা যাবে। ডিজিটাল ওয়ালেটে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ভূমিকা পালন করবে। তবে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত করা হবে। মালয়েশিয়ার পর্যটকরা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর তারা মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতে লেনদেন করতে পারবে। অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় কাজ করা সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা সিঙ্গাপুরি ডলারে লেনদেন করতে পারবে। এক্ষেত্রে ফি ও বিনিময় হার নির্ধারণ করা হবে পারস্পরিক সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে। আলোচনায় দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অংশগ্রহণ করবে। সুইজারল্যান্ড খুচরা পরিষেবা খাতে কিউআর কোডের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে কাজ করছে। আসিয়ান অঞ্চলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর এ প্রচেষ্টাকে সৃজনশীল ও মহৎ হিসেবে অভিহিত করেছেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের গবেষক সাতরু ইমাদেরা। তিনি বলেছেন, ইউরোপের মতো পৃথিবীর অন্য অঞ্চলে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে খুচরা পরিষেবায় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। প্রচলিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন ব্যতীত তারা ডিজিটাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন পরিচালনা করতে পারবে। নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদেরও নতুন সুযোগ তৈরি হবে। ফলে নীতিমালা গ্রহণে সুবিধা হবে ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য। তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরি ডলারের মতো কয়েকটি মুদ্রার ওপর চাপ তৈরি হতে পারে। কিছু মুদ্রার জন্য বিদেশী মুদ্রার সঙ্গে বিনিময় হারে দরপতন ঘটতে পারে। তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে উঠতে পারে। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যথাযথ নীতিমালা গ্রহণ করতে পারে। তবে সার্বিকভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। সিএনবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত