ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ আসছে গাজায়

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০২ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম

সামনের দিনগুলোতে একটি ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে গাজা। সোমবার জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজির (ইউএনআরডব্লিউএ) গণমাধ্যম উপদেষ্টা আদনান আবু হাসনা এ সতর্কতা জারি করেছেন। চলমান আর্থিক সংকট অব্যাহত থাকলে আর দাতা দেশগুলো তাদের তহবিলের পরিমাণ আরও কমিয়ে দিলে গাজা এই দুর্ভিক্ষে পড়বে বলে মনে করেন তিনি। আবু হাসনা দ্য নিউ আরবকে বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান বন্ধ করার একটি বড় সম্ভাবনা রয়েছে। আর সহায়তা প্রদান বন্ধ করলে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা সামনের মাসগুলোতে একটি প্রকৃত দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করবে।’ তিনি আরও বলেন ‘আমরা সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনটি বিপজ্জনক মাসের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। যখন আমরা বেতন দিতে পারব না তখন প্রোগ্রাম ও পরিষেবার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। আর তা এই গাজার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’ আবু হাসনা গাজার পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বছরের পর বছর ধরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বসবাস করছেন। গাজা উপত্যকায় প্রায় ১.২ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু নিয়মিতভাবে ইউএনআরডব্লিউএ থেকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পান বলে জানান তিনি। এর মধ্যে দিনে দুই বেলা খাবার সরবরাহ করতে পারে না এমন শরণার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ। আবু হাসনা জানান, মানবিক বিপর্যয় এড়াতে স্থানীয়দের খাদ্যসামগ্রী কিনতে জরুরিভাবে ৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রয়োজন বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে জানানো হয়েছিল। লেবানন ও সিরিয়ায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নগদ সহায়তায় আরও ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউএনআরডব্লিউএ থেকে ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে জো বাইডেন প্রশাসন পুনরায় সহায়তা প্রদান শুরু করে। আবু হাসনার মতে, আগামী বছরগুলোতে তাদের আর্থিক সাহায্য কমিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাতা দেশ। দাতা দেশগুলোর রাজনৈতিক পরিবর্তন ইউএনআরডব্লিউএ কে ঝুঁকির মুখে ফেলে বলে জানান তিনি। নিউ আরব।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত