আলোচনায় বসতে ভারতকে বার্তা শরিফের
০২ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫৯ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় দুই দেশের সম্পর্কের কথা উঠে আসে তার মুখে। আর তখনই তিনি বলেন, দুই দেশ ‘স্বাভাবিক প্রতিবেশী’ ততদিন হয়ে উঠতে পারবে না, যতদিন না শান্তিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গুরুতর বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়। যদিও তিনি ভারতের নাম উল্লেখ করেননি, তবুও তিনি যে ভারতের কথাই বলছেন তাতে নিঃসন্দেহ ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, মাস ছয়েক আগেও একই প্রস্তাব দিতে দেখা গিয়েছিল তাকে। ইসলামাবাদে আয়োজিত পাকিস্তান খনিজ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন শরিফ। সেখানেই তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। আমাদের নিজেদের দেখাশোনা করতে হবে, দেশকে গড়তে হবে, এমনকী প্রয়োজনে আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে মিলে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধ কোনও বিকল্প হতে পারে না। খবরে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। গত ৪ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে যে শীতলতা চলছে, তার অবসান চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি। মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদে ‘পাকিস্তান মিনারেল সামিট’ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গেই আলোচনা করতে প্রস্তুত, এমনকি আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গেও। প্রতিবেশীর উদ্দেশ্য আমি বলতে চাই, যেসব গুরুতর সমস্যা আমাদের সম্পর্কে কাঁটা বিছিয়েছে— আলোচনার টেবিলে সেগুলোর সমাধান সম্ভব। যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না।’ ‘কারণ এ পর্যন্ত আমরা যত যুদ্ধ করেছি, সেসব কেবল দুই দেশের দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়িয়েছে। ফলে আমরা শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও দারিদ্র্য সূচকে কোনো উন্নতি করতে পারিনি।’ ১৯৪৭ সালের আগস্টে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক কখনও উষ্ণ- আন্তরিক ছিল না। গত ৭৬ বছরে ৩ বার বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়েছে এই দু’দেশ। এই টানাপোড়েনের প্রধান কারণ জম্মু ও কাশ্মীর। ভারত এবং পাকিস্তান— উভয়ই জম্মু ও কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ নিজেদের বলে দাবি করে আসছে স্বাধীনতার পর থেকেই। ‘ভূ-স্বর্গ’ নামে পরিচত এই রাজ্যের তিন ভাগের এক ভাগ এখনও পাকিস্তানের দখলে রয়েছে। ২০১৯ সালে ভারতের পার্লামেন্ট লোকসভায় সংবিধান থেকে স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরকে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির উদ্যোগেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবারের বক্তব্যে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুটি সরাসরি না আনলেও ফের ভারতের উদ্দেশে একই দাবি জানিয়েছেন শেহবাজ শরিফ। শেহবাজ বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চাই— এটি যেমন সত্য, তেমনি আরও একটি সত্য হলো, যেসব অস্বাভাবিকতা আমাদের সম্পর্কের মধ্যে কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে, সেগুলো অপসারণ করা জরুরি। নইলে আমরা প্রতিবেশীর সঙ্গে স্বাভাবিক হতে পারব না এবং আলোচনার ভিত্তিতে পারস্পরিক সমস্যার সমাধানের পথও বন্ধ থাকবে।’ জিও টিভি, রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত