ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেন সীমান্তে কড়াকড়ি

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০২ আগস্ট ২০২৩, ১০:১৭ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম

জনসমক্ষে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সমালোচনার মুখে সুইডেন৷ নতুন আইন প্রণয়ন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে সে দেশের সরকার৷ সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টেরসন মঙ্গলবার ঘোষণা দেন, বৃহস্পতিবার থেকে চালু হবে একটি নতুন আইন৷ এই আইন কার্যকর হলে পুলিশের ক্ষমতা বাড়বে, এর ফলে সীমান্তে কড়াকড়িও বাড়বে৷

বাড়ানো হবে ইলেক্ট্রনিক নজরদারিও৷ এই পদক্ষেপ ‘সুইডেনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের' চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে, যাতে তারা দেশে ঢুকে 'কোনো অপরাধ সংগঠিত করতে না পারে৷ সম্প্রতি ডেনমার্ক ও সুইডেনে কোরআন পোড়ানো হয়, যা মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত হয়৷ সুইডিশ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার এমন প্ররোচনা দেশের জন্য বড় বিপদ বয়ে আনতে পারে৷ দেশে যাতে ইসলামিস্ট মনোভাবাপন্ন সহিংস ব্যক্তিরা না য়ুকতে পারেন, তাই এমন পদক্ষেপ, জানান ক্রিস্টেরসন৷

সুইডিশ ও ডেনিশ দুই কর্তৃপক্ষই একদিকে বাকস্বাধীনতা ও অন্যদিকে, ধর্মের স্বাধীনতা রক্ষায় বেগ পাচ্ছে৷ ক্রিস্টেনসন একাধিকবার বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রেও দায়িত্বশীল আচরণের কথা স্মরণ করিয়েছেন৷ মুসলিমপ্রধান দেশগুলি দাবি জানিয়েছে, এমনভাবে ধর্ম অবমাননা ও কোরআন পোড়ানোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার৷ শুরুতে এই দাবিকে সরাসরি খারিজ না করলেও, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার উদাহরণ দিয়ে এখন দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলছে সুইডেন৷

ক্রিস্টেনসন বলেন, ‘‘দেশে যা কিছু বৈধ, তা সব সময় সঠিক নয়৷ বৈধ হলেও তা খুবই খারাপ৷'' সোমবার অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসি একটি অনলাইন বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা করে৷ যেসব দেশে এমন আচরণ বৈধ, সেই দেশগুলির সাথে সম্পর্কের বাঁধন আলগা করার অনুরোধ করে ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রকে৷ জাতিসংঘের হস্তক্ষেপেরও দাবি তোলে তারা৷ মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস্টেনসন বলেন যে সুইডেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এত বড় নিরাপত্তার ঝুঁকিতে কখনো থাকেনি৷

বর্তমান পরিস্থিতিকে আরো জটিল করেছে সুইডেনের ন্যাটো সদস্য পদ পাওয়ার বিষয়টিও৷ রাশিয়া বা তুরস্ক দুই পক্ষই সুইডেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার বিরোধী৷ তুরস্ক ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে যে, কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সঠিক আইনি পদক্ষেপ না নিলে সুইডেনের ন্যাটো-স্বপ্নে বাধা দিতে পারে তারা৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত