ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

রাশিয়ার হামলায় বিপর্যয়ের মুখে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৩ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪৩ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪৩ পিএম

মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করায় পাল্টা হিসাবে রাশিয়াও রাজধানী কিয়েভসহ ওডেসা ও ইজমাইল বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির পথে বাধা সৃষ্টি করছে। প্রেসি়ডেন্ট জেলেনস্কি মস্কোর বিরুদ্ধে খাদ্যের বাজারে বিপর্যয়ের অভিযোগ করেছেন।

ইউক্রেনের আকাশপথে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। শহর কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুযায়ী বুধবার রাতে রাজধানী কিয়েভের উপর প্রায় ১৫টি ড্রোন হামলা হয়েছে। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান স্যার্গি পপকো বলেন, এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা ইরানে তৈরি শাহেদ ড্রোনগুলি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও উপকূলের ওডেসা শহরের উপর জোরালো ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কিয়েভের উপর দশটি ড্রোনই সব ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করছে। তবে ওডেসা অঞ্চলে ২৩টি হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হলেও কয়েকটি ড্রোন বন্দরের অবকাঠামোয় আঘাত করেছে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলায় কোন সাফল্যই পাচ্ছে না ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। দেশের পূর্ব ও দক্ষিণে অসংখ্য মাইন বসিয়ে রুশ বাহিনী গর্তের মধ্যে বসে আছে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন। সম্প্রতি ডোনেৎস্ক অঞ্চলে ১২টি হামলা চালিয়েও ইউক্রেন সাফল্য পায় নি। তার উপরে শস্য রপ্তানি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় হতাশা বাড়ছে।

কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে জরুরি খাদ্যশস্য রপ্তানির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে আসার পর রাশিয়া ইউক্রেনের রপ্তানির কাজে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওডেসা ছাড়া দানিউব নদীর তীরে ইজমাইল বন্দরেও রুশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। রোমানিয়ার মাধ্যমে খাদ্যসশ্য রপ্তানির কাজে বাধা সৃষ্টি করতেই মস্কো এমন হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। দানিউব নদীর তীরে মোট তিনটি বন্দর সক্রিয় রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া আসলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের বাজারে বিপর্যয় সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইউক্রেনের অবকাঠামোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওলেক্সান্ডার কুব্রাকভ বলেন, ইজমাইলে হামলার ফলে আফ্রিকা, চীন ও ইসরায়েলে রপ্তানির জন্য নির্দিষ্ট প্রায় ৪০,০০০ মেট্রিক টন শস্যের ক্ষতি হয়েছে। ফলে গমের আন্তর্জাতিক বাজারে আচমকা মূল্যবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত