হরিয়ানার দাঙ্গায় যেভাবে বাঁচলেন নারী বিচারক
০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম
হরিয়ানার সাম্প্রতিক দাঙ্গার সময়ে তিনবছরের কন্যাকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে যেভাবে দাঙ্গাকারীদের হামলার মুখে পড়েছিলেন এক নারী বিচারক, সেই কাহিনী ঘটনার তিনদিন পরে প্রকাশ পেয়েছে।
হরিয়ানার নূহ্-এর অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জলি জৈনের দেহরক্ষী বুধবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরে জানা যায় বিষয়টি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলছে, জৈনের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর আর গুলি ছোঁড়া হয়। তারা কোনমতে একটা কারখানায় লুকিয়ে থাকেন, সেখান থেকে কয়েকজন আইনজীবী তাদের উদ্ধার করে আনেন।
নূহ্-তে কর্মরত বিচারক অঞ্জলি জৈন তার কন্যাকে নিয়ে নলহরের এসকেএম মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার দেহরক্ষী সিয়ারামও। গত সোমবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল আয়োজিত ‘জলাভিষেক যাত্রা’য় অংশগ্রহণকারীদের ওপরেই হামলা হয় নূহ্-তে। ওই যাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষরা পালিয়ে নলহরের মহাদেব মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে চারদিক থেকে পাথর ছোঁড়া হতে থাকে ও তারপরে গুলি চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন।
নলহরের ওই মন্দিরের সামনেই অভিষেক নামে এক বজরং দল সদস্য নিহত হন বলে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন তার ভাই মহেশ কুমার। পিটিআই জানিয়েছে, থানায় দায়ের করা এফআইআরে লেখা হয়েছে যে নলহর মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিচারক অঞ্জলি জৈন ওষুধ কিনে তার গাড়িতেই আসছিলেন। দিল্লি-আলোয়ার রোডে নলহরের পুরনো বাস-স্ট্যান্ড এলাকায় বেলা একটা নাগাদ পৌঁছতেই তাদের ওপরে হামলা করে একশো দেড়শো দাঙ্গাকারী।
‘দাঙ্গাকারীরা গাড়িতে পাথর ছুঁড়ছিল। কয়েকটা পাথরের আঘাতে গাড়ির পিছনের কাঁচ ভেঙ্গে যায়। তারপরেই দাঙ্গাকারীরা গুলি চালাতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে আমরা পালিয়ে যাই। পুরনো বাস স্ট্যান্ড এলাকার একটা কারখানায় লুকিয়ে থাকি আমরা। পরে কয়েকজন আইনজীবী এসে আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে যান,’ এফআইআর উদ্ধৃত করে জানিয়েছে পিটিআই। পরের দিন ওই বিচারক এবং তার সঙ্গীরা ফিরে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। ‘আমরা গিয়ে দেখি গাড়িটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে,’ লেখা হয়েছে এফআইআরে। পুলিশ বলছে তারা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, বেআইনি জমায়েত, আঘাত করার অভিপ্রায় নিয়ে গুলি চালানো এবং খুনের চেষ্টার মতো ভারতীয় দণ্ডবিধির নানা ধারায় মামলা করেছে। সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত