ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

হিজাবের আইন আরো কঠোর করছে ইরান

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম

হিজাব নিয়ে আরও কঠোর আইন আনছে ইরান। নারীদের হিজাব পরা নিশ্চিত করতে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে এই আনতে যাচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আইন অমান্যকারীকে দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটাতেও হতে পারে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনের আওতায় বাড়ানো হতে পারে নজরদারি। সেক্ষেত্রে নজরদারিতে ব্যবহার করা হতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বিলের খসড়া সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরে তা আইনসভায় পাঠানো হয়। আইনসভার লিগ্যাল অ্যান্ড জুডিসিয়াল কমিশন বিলটি অনুমোদন করে। রবিবার এ বিল বোর্ড অব গভর্নরে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর বিলটি আইনসভায় পাসের জন্য উত্থাপন করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে বিলটি ইরানের আইনসভায় পাস হতে পারে।

কী শাস্তির বিধান আছে নতুন আইনে?
ইরানে বর্তমানে যে হিজাব আইন আছে, সেটি যদি কেউ ভঙ্গ করেন তাহলে তার ১০ দিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে অথবা ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ ইরানি রিয়াল জরিমানা হতে পারে। যা বর্তমানে ১ দশমিক ১৮ থেকে ১১ দশমিক ৮২ মার্কিন ডলারের সমান।
নতুন খসড়া আইনে এই শাস্তি অনেক বেশি কঠিন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কেউ হিজাব পরিধান বিধান লঙ্ঘন করলে ৫ থেকে ১০ বছরের জেল সঙ্গে ৩৬ কোটি ইরানি রিয়াল জরিমানা হতে পারে। যা ৮ হাজার ডলারেও বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খসড়া আইন ইঙ্গিত দিচ্ছে গত বছর হিজাব বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হলেও, এই আইন কার্যকরে পিছপা হবে না দেশটির সরকার।
উল্লেখ্য, হিজাব আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। এরপর পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আর কয়েক সপ্তাহ পর এই তরুণীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে।
ইরানে হিজাব সংক্রান্ত ইস্যুর লম্বা ইতিহাস রয়েছে। ১৯৩৬ সালে রেজা শাহর শাসনামলে দেশটিতে হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে ১৯৪১ সালে দেশটির পরবর্তী শাসক এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে শাহদের শাসনের পতন ঘটানো হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে দেশটির হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়। সূত্র: সিএনএন


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত