ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

যে কারণে ভিসা ও আবাসন নীতিমালা শিথিল করছে চীন

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৫ আগস্ট ২০২৩, ০১:০৫ পিএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০১:১২ পিএম

মহামারীর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠতে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভিসা এবং আবাসন নীতিমালা শিথিল করেছে চীন। ফলে বিদেশীরা অন অ্যারাইভাল ভিসা সহজে পেয়ে যাবেন এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকরা কোনো সমস্যা ছাড়াই শহরে বসবাস করতে পারবে। খবর এএফপি।
সম্প্রতি দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের জনগণ, যানবাহন, তথ্য ও ডাটার সহজ চলাচল নিশ্চিতে নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর চীনের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথে এগোচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোয় তা আবার স্তিমিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নাগরিক পর্যায়ে ভোগের চাহিদা কমে যাওয়া এবং রিয়েল এস্টেটস খাতের ব্যবসায়িক অবনমনের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৮ শতাংশ। সেই সঙ্গে বেকারত্বের হার ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় মন্ত্রণালয় ২৬টি নতুন উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আগত বিদেশিদের জন্য সহজ ভিসা নীতিও রয়েছে। বাণিজ্য লেনদেন, এক্সপো, সম্মেলনে যোগদানসহ বিনিয়োগের জন্য যারা বর্তমানে চীনে আসবেন তারা আসার পর পরই ভিসা পেয়ে যাবেন। এজন্য নির্দিষ্ট নথিও দেখাতে হবে। এর আগে যারা চীনে ভ্রমণে আসত তাদের আগে নিজ দেশে থাকা চীন দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসা আবেদন করতে হতো।
সম্প্রতি দেওয়া ঘোষণায় স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার যে নীতিমালা সেটিও শিথিল করার কথা জানানো হয়েছে। এটি হুকউ নামে পরিচিত। যেখানে কয়েক দশক ধরে চীনের অধিবাসীদের আরবান বা রুরাল নামে আখ্যা দেওয়া হচ্ছিল। চীনের অধিবাসীরা দেশের যেকোনেও স্থানে বসতি স্থাপন, বসবাস ও কাজ করতে পারবে। কিন্তু আবাসন ব্যবস্থার কারণে তারা নির্দিষ্ট পাবলিক পরিষেবা গ্রহণ করতে পারে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যবীমা ও শিক্ষাও রয়েছে। সূত্র: ব্লুমবার্গ, এএফপি, দ্য স্টার

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত