ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

শত বছরের পুরোনো রেলপথ ফের চালু করছে উগান্ডা

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৫ এএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৫ এএম

শত বছরের পুরোনো একটি রেলপথ আবারও চালু করতে যাচ্ছে আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। চীনের কাছ থেকে নতুন রেলপথ নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড় না পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


উগান্ডার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই রেললাইন চালু হলে দেশের উত্তরাঞ্চলে মালামাল পরিবহনের খরচ কমার পাশাপাশি দক্ষিণ সুদান ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতেও মালামাল পরিবহনের খরচ কমে যাবে।


রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেলপথটি আজ থেকে ৪০ বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে এটি পূর্ব আফ্রিকা রেল নেটওয়ার্কের অংশ ছিল, যা কিনা কেনিয়ার মোম্বাসা বন্দর থেকে উগান্ডা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ২০ শতকের শুরু দিকে এই রেলপথটি নির্মাণ করেছিল দেশ দুটির তৎকালীন ঔপনিবেশিক শাসক ব্রিটেন।
উগান্ডার রেলওয়ে করপোরেশনের মুখপাত্র জন লিনন বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের সব দূরতম প্রান্তে মালামাল পরিবহনকে সড়ক পরিবহন থেকে রেলপথে নিয়ে আসা। কারণ রেলে খরচ এবং সময় উভয় দিক থেকেই সস্তা।’


নির্মিত হতে যাওয়া স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলওয়ে প্রকল্প থেকে চীন অর্থায়নে অপারগতা প্রকাশ করার পর উগান্ডা সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল। এর আগে চলতি বছর উগান্ডা চীনের চায়না হারবার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে হওয়া স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলওয়ে প্রকল্প চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ২২০ কোটি ডলারের প্রকল্পটির জন্য দেশটি এখন নতুন ঠিকাদার খুঁজছে।


জন লিনন আরও বলেছেন, চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন এই পুরোনো রেলপথ মেরামতের কাজ করবে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে মোট ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যার পুরোটাই বহন করবে উগান্ডা সরকার। ৩৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনটি কেনিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত উগান্ডার পূর্বাঞ্চলীয় শহর টোরোরো থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ সুদানের সীমান্তের কাছে উগান্ডার উত্তরাঞ্চলীয় শহর গুলুতে গিয়ে শেষ হয়।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত