২৩ প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার তথ্য দুদক টিমের হাতে
০৫ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৪ পিএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং খুলনা-৪ আসনের সরকার দলীয় এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে আরও জাল-জালিয়াতির তথ্য এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিমের হাতে। জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি দখল, কাগুজে প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি, কর ফাঁকিসহ অর্থ পাচারের মতো তথ্যও এসেছে টিমের হাতে।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, রাজউক চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের সহায়তায় আব্দুস সালাম মুর্শেদী রাজধানীর গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর রোডের ২৭/বি নম্বর বাড়িটি দখল করেন। এটি একটি সরকারি সম্পত্তি। এ ছাড়া নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সালাম মুর্শেদী গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর সড়কের সিইএন (ডি)-২৭ নম্বর বাড়িটি বরাদ্দ নেন। গুলশান-১, রোড-৮ এর ৬ নম্বর বাড়িটি কেনার সময় জমির প্রকৃত মূল্য না দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেন। ওই বাড়ি কেনার সমুদয় টাকার হিসাবও অস্বচ্ছ।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে অনুসন্ধান শুরুর পর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। তাতে দেখা যায়, সালাম মুর্শেদী অন্তত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে শুধু কাগুজে, কোনো কার্যক্রম নেই। যার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করছেন। তার ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাবে নয়-ছয় করে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন। এছাড়া প্রকৌশলী কুতুবুদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে এনভয় গ্রুপের মালিকানা সেটেলম্যান্ট করার সময় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন তিনি। যে অর্থ তার আয়কর রিটার্নেও যথাযথ প্রদর্শন করা হয়নি। মুলত কালো টাকা দিয়ে তিনি একের পর এক সম্পত্তি কিনছেন। কিছু দিন পরপর নামে-বেনামে কোম্পানি তৈরি করছেন। এসব কাগুজে প্রতিষ্ঠানে দেখিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানকেই আবার লোকসানি দেখিয়ে অর্থপাচার করছেন বিদেশে। দুদকের টিম এখন এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে রেকর্ডপত্র তলব করেছে।
এর আগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ১৩ কর্মকর্তাকে তলব করে দুদক। নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সালাম মুর্শেদীকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের সিইএন (ডি)-২৭ নম্বর বাড়িটি বরাদ্দ দেয়া হয়-এমন অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ২০২২ সালের ১১ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদক আবেদন আমলে না নেয়ায় একই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার সুমন। হাইকোর্টের নির্দেশে দুদক অনুসন্ধানে নামে। চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি থেকে দুই সদস্যের একটি টিম এ বিষয়ে কাজ করছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত