ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ইসলামকে ‘মহান ধর্মের’ স্বীকৃতি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:১০ পিএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

ইসলামকে ‘মহান ধর্ম’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামের যে অবদান রয়েছে, তার স্বীকৃতি দিতে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। টেক্সাস থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান আল গ্রিন এ প্রস্তাব দেন। তাতে সম্মতি জানান ইলহান ওমর, রাশিদা তালিব ও আন্দ্রে কারসন।

গত ২৮ জুলাই মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসে উত্থাপিত এ প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামি মূল্যবোধ ও বিশ্বাস আরও বাড়ানো, ইসলাম বিষয়ে বোঝাপড়া ও এই ধর্মের প্রতি জনসাধারণের মর্যাদাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধি করা। প্রস্তাবটিকে বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউজ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রস্তাবে ইসলামের মৌলিক নীতিমালা, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুশীলন ও ঐতিহ্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘ইসলাম’ শব্দের অর্থ হলো ‘আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ’ ও ‘শান্তি’। এতে আরও বলা হয়, পবিত্র কোরআন ইসলামের মৌলিক ধর্মগ্রন্থ ও মুসলমানেরা এটিকে তাদের ঐশ্বরিক নির্দেশনার গ্রন্থ বলে মনে করে। তাছাড়া ইসলাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২০০ কোটি মানুষ এ ধর্মের অনুসারী। এমনকি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ৩৫ লাখ মুসলমান বসবাস করে।

প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে উত্থাপন করা হলো, যখন ইউরোপের একাধিক দেশে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া, প্রস্তাব উত্থাপনকারী ও সমর্থক কংগ্রেসম্যানদের দাবি, ইসলামকে উগ্রবাদী ধর্ম হিসেবে পরিচিত করানোর যে অপচেষ্টা চলছে, তা ঠেকাতেই তাদের এ উদ্যোগ। ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্য আল গ্রিন কংগ্রেসের পাকিস্তান ককাসের একজন সদস্য। এর আগেও তিনি একাধিকবার মুসলিমদের পক্ষে কণ্ঠ তুলেছেন। ২০১৫ সালে যখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বন্ধ করার নির্দেশ দেন, তখন গ্রিন তার সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। সূত্র : দ্য ডন।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত