রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
০৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৩ পিএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
‘‘আজি হতে শতবর্ষ পরে, কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি, কৌতুহলভরে, আজি হতে শতবর্ষ পরে। কবিগুরু রীবন্দ্রনাথ ঠাকুর জানতেন তিনি তার সৃষ্টিকর্মের মাঝেই অমর হয়ে থাকবেন। তাই তো তিনি লিখে গেছেন এই কবিতা। অমর হয়ে আছেন তার লেখা কবিতা, গান, উপন্যাস, গল্পের মাধ্যমে। আজো কোটি বাঙালি পড়ছে তার কবিতা। আজ ২২ শ্রাবণ। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৬১ সালের ১৭ মে (১২৬৮’র ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির যে শ্যামল আঙ্গিনায় জন্মেছিলেন তিনি, সেই শ্যামল প্রাঙ্গণেই শ্রাবণের বর্ষণসিক্ত পরিবেশে ৮০ বছর বয়সে ১৯৪১ সালের এই দিনে চির বিদায় নেন তিনি এই সুন্দর শ্যামল মায়াময় পৃথিবী থেকে। মানবতাবাদী দার্শনিক কবি, বাংলা ছোটগল্পের জনক, বাংলা সংস্কৃতির নতুন দিগন্তের উন্মোচক অমরতায় ভাস্কর হয়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলার দিকপাল কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক মাত্র ৮ বছর বয়সে লিখেছেন প্রথম কবিতা। ১৮৮৭ সালে মাত্র ষোল বছর বয়সে ‘ভানুসিংহ’ ছদ্মনামে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে প্রথম বাঙালি এবং এশিয় হিসেবে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। নোবেল ফাউন্ডেশন তার এই কাব্যগ্রন্থটিকে বর্ণনা করেছিলেন একটি ‘গভীরভাবে সংবেদনশীল, উজ্জ্বল ও সুন্দর কাব্যগ্রন্থ’ রূপে। তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানিটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। ‘জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে’ ভারতের জাতীয় সঙ্গীতও তার লেখা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুমুখী সৃজনশীলতা বাংলা সাহিত্য ও শিল্পের প্রায় সবকটি শাখাকে স্পর্শ করেছে, সমৃদ্ধ করেছে। তার লেখা গান বাঙ্গালীর হূদয়ে প্রতিধ্বনিত হয় আজো। আনন্দে, বেদনায় এমনকি দ্রোহে এখনও রবীন্দ্রনাথ বাঙ্গালীর প্রেরণার উৎস। রবীন্দ্রনাথ আমাদের মন-মানসিকতা গঠনের, চেতনার উন্মেষের প্রধান অবলম্বন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে রবীন্দ্রনাথ এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। রবীন্দ্রনাথের লেখা বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিয়েছে।
নানান রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়কে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে তার উপন্যাস, ছোটগল্প, সংগীত, নৃত্যনাট্য ও প্রবন্ধসমূহ। বাংলা উপন্যাসকে তিনি আধুনিক ও সার্থক উপন্যাসে তুলে এনেছেন। তার লেখা ‘ঘরে বাইরে’, ‘গোরা’ প্রভৃতি উপন্যাস, ‘রক্তকরবী’, ‘অচলায়তন’, ‘বিসর্জন’ প্রভৃতি নাটক যে কোন সময়ের মানুষের কাছে সাম্প্রতিক ঘটনা হয়ে উপস্থিত হয়। শুধু সৃজনশীল সাহিত্য রচনায় নয়, অর্থনীতি, সমাজ, রাষ্ট্র নিয়ে তার ভাবনাও তাকে অত্যন্ত উঁচু স্থানে নিয়ে গিয়েছে।
বিশ্বকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশনগুলো এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও নাটক প্রচার করবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত