ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার চেতনায় উদ্বুদ্ধ: রিজভী

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

শেখ হাসিনার অনুসারী কোনো লোক বিচারের দায়িত্বে থাকলে তার কাছে তো ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যিনি শেখ হাসিনার অনুসারী হয়ে বিচারের দায়িত্বে থাকবেন তিনি তো শেখ হাসিনার নির্দেশে রায় দিবেন। আজকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার চেতনায় উদ্বুদ্ধ।
গতকাল শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রিত আদালত কর্তৃক দেওয়া রায়ে আমি বিস্মিত নই। কারণ চাঁদাবাজ কাউকে মসজিদের ইমাম বানালে চাঁদাবাজির কাজই বেশি হবে। সন্ত্রাসী কাউকে স্কুলের শিক্ষক বানালে সেখানে গণিত, ইংরেজির দিখে গুরুত্ব থাকে না। কারণ দেশ চালাচ্ছে কারা? এই শেখ হাসিনা তো রাতের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। মানুষ বলাবলি করেন লাইলাতুল ইলেকশন করেছেন। এখন লাইলাতুল আদালত কর্তৃক রায় দেওয়া হচ্ছে। সাগর রুনির বিচারের শুনানি ৯৯ বার পেছানো হয়েছে। আর তারেক রহমানের রায় তো দ্রুত গতিতে দেওয়া হয়েছে। সেই রায় আগেই লেখা ছিলো। সেজন্যই আমি বিস্মিত নই।
রিজভী বলেন, তারেক রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তিনি তো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর তার দুর্বল জায়গা তার সহধর্মিণী। সেজন্যই তাদের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ শেখ হাসিনা ক্যালকুলেটেড ফ্যাসিস্ট। যারা ফ্যাসিস্ট তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এভাবে তার পায়ের নিচের মাটি সরিয়ে ফেলেছেন। জনগণ কিন্তু এগুলো আর ভালোভাবে নেয়নি।
রিজভী আরো বলেন, শেখ হাসিনা তার রাষ্ট্র যন্ত্রের মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করতে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু প্রযুক্তির নানা মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য জনগণের কাছে পৌঁছে গেছে। মানুষ আজ জেগে উঠেছে। তারা ইট কাঠ পাথর কংক্রিট উপেক্ষা করে সর্বোচ্চ আওয়াজ দিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। এতো হামলা মামলা নির্যাতন করেও কিন্তু তাদের দমাতে পারে নি। বিএনপির এতো জনসমর্থনই হলো শেখ হাসিনার ভয়ের কারণ। তবে বেশিদিন আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আজকে অনেকেই বলছেন, ডা. জুবাইদা রহমান তো রাজনীতি করেন না। তো মামলা কেনো? অতীতে ড. ইউনূস, ব্যারিস্টার রফিকুল হক এদের ঘটনা তো সবারই জানা! সুতরাং তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে রায় শেখ হাসিনার আক্রোশের প্রতিফলন। আমি এই রায় অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। না হলে আপনি যে অন্যায়গুলো করছেন পার পাবেন না।
বিএনপি নো বলে আওয়ামী লীগকে আউট করতে পারবে না মর্মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, সরকারের মিডল স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে পতন ঘটাবে। আপনাদেরকে নো বলে কিংবা এলবিডব্লিউ দিয়ে আউট করবে না। বরং মিডল স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে পতন ঘটানো হবে।
ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- ড্যাবের মহাসচিব প্রফেসর ডা. মো. আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, প্রফেসর ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. এএসএইচ পারভেজ, প্রফেসর ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. আবুল কেনান, ডা. শহিদুল ইসলাম বাবুল, ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু, ডা. নিয়াজ শেখ রানা, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. মো. ইয়াহিয়া, ডা. আবু নাসের, ডা. এম এ কামাল, ডা. এসএম মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ড্যাব সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বাংলাদেশ আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে ন্যায় বিচার নেই। যার প্রমাণ তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী বরেণ্য চিকিৎসক জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অন্যায় রায় দেন। ফরমায়েশি রায় দিচ্ছেন। দেশের মানুষ ও পেশাজীবীরা এই রায় মানে না এবং মানবেনা।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত