রাউজানে অপহরণের ১৩ দিন পর
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
চট্টগ্রামের রাউজানে অপহরণের ১৩ দিন পর কলেজ শিক্ষার্থী শিবলী সাদিক হৃদয়ের (২০) খ-িত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হৃদয় উপজেলার ৮ নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শফিক ড্রাইভারের ছেলে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দলুছড়ি পাহাড়ি এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ নিয়ে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতা উমংচিং মারমা নামে এক আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এছাড়া তারা পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করেছে। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, শিবলী সাদিক হৃদয় কদলপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি কদলপুরে একটি মুরগির খামারে চাকরি করতো। গত ২৮ আগস্ট মুরগির খামার থেকে দিবাগত রাতে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের দু’দিন পর অপহরণকারীরা তার পরিবারে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার অপহরণকারীদের সাথে কথা বলে ২ লাখ টাকায় রাজি হয়। কয়েকদিন পর অপহৃত হৃদয়ের বাবা শফি বান্দরবান এলাকায় ডুলাপাড়া নামক স্থানে গিয়ে দুইজন লোকের হাতে ২ লাখ টাকা তুলে দেন। কিন্তু তারা হৃদয়কে মুক্তি দেয়নি। অপহরণকারীরা ছেলেকে মুক্তি না দেওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় যে মুরগির খামারে চাকরি করতো সেখানে সবাই ছিলেন চাকমা যুবক। মুরগির ফার্মে চাকরি করা চাকমা যুবকদের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল হৃদয়ের। গত দুই মাস আগে খামারে চাকমা যুবকদের সাথে হৃদয়ের ঝগড়াঝাটি হয়। পরে মুরগির খামারের মালিকরা বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। মিমাংসা হলেও চাকমা যুবকরা ক্ষোভ রেখে দেয় অন্তরে। হ্নদেয়ের মা নাহিদা আকতার বলেন, অপহরণের পর তার স্বামীর মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনটি ছিল তার ছেলে হৃদয়ের। ফোনে হৃদয় বলে, মা আমাকে রাত ১২টার দিকে কিছু মানুষ আটক করে নিয়ে আসে। আমি প্রায় ১২ ঘণ্টার মতো গাড়িতে ছিলাম। আপনারা ফোন দিয়েন না। তিনি আরও বলেন, ফোন দিলে আমাকে মেরে ফেলবে বলছে ওরা। এরপর আবার আমার মোবাইলে কল দিয়ে বলে ছেলেকে পেতে হলে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। না হলে তোর ছেলেকে জীবিত আর পাবি না। পরে তাদের বুঝিয়ে আমরা ২ লাখ টাকায় রাজি করি। তাদের কথা মতো টাকা দিলেও তারা আমার সন্তানকে ফেরত দেয়নি। আমার স্বামী টাকা দিয়ে তাদের পায়ে পর্যন্ত পড়েন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল্লাহ আল হারুন বলেন, অপহরণের ঘটনায় গত কয়েকদিন আগে আমরা দুই জনকে আটক করে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত রোববার এ ঘটনায় আমরা উমংচিং মারমা নামে আরো একজনকে আটক করি। সোমবার ভোরে তার দেয়া তথ্য মতে কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দলুছড়ি পাহাড়ি এলাকায় পুলিশ অভিযানে যায়।
আবুল্লাহ আল হারুন আরো বলেন, অভিযানে তার দেখানো বিভিন্ন জায়গা থেকে অপহৃত যুবক হৃদয়ের খ-িত লাশ উদ্ধার করি। লাশ উদ্ধার করে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামে পাঁচ শতাধিক নারীসহ স্থানীয়রা আমাদের পথরোধ করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত