ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
মির্জা ফখরুল

সরকারের মন্ত্রীরা যত কথাই বলুক কোনো লাভ নেই

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

সরকারের মন্ত্রীরা যত কথাই বলুক কোন লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখন মানুষ অন্তর থেকে পরিবর্তন চায়, প্রতিটি মুহূর্তে এদেশের মানুষ এই সরকারকে সরে যেতে দেখতে চায়। কারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার হটানোর চলমান আন্দোলন জোরদার করতে তরুণ-যুবকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেণ, সকল যুবক-তরুণকে এগিয়ে আসতে হবে এদেশকে রক্ষা করতে, এই জাতিকে রক্ষা করতে। যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা লড়াই করেছিলাম ১৯৭১ সালে, যে স্বপ্ন নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ তার সারাটা জীবন লড়াই করেছেন, আসুন আমরা আজকে সবাই মিলে সেই সংগ্রাম করে এই ফ্যাসিবাদকে দূর করে- সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠা করি।

তিনি বলেন, এখন যে জগদ্দল পাথরের মতো এই জাতির উপরে চেপে বসে আছে যে সরকার, এটা ভয়াবহ একটা দানবীয় সরকার। দানব বললে সঠিক বলা হবে না। সব কিছু এরা তছনছ করে ফেলেছে, আমাদের যা কিছু অর্জন সব অর্জন নষ্ট করে দিয়েছে। আসুন সময় খুব কম। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই লড়াই-সংগ্রাম এগিয়ে নেই। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

রাষ্ট্রের সংস্কার হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, রাষ্ট্রের সংস্কার। অবশ্যই আমরা সব দল মিলে কিন্তু রাষ্ট্রের সংস্কারের কথা বলেছি। শুধু একটা নতুন সূচনা হয়েছে। এই শুভ সূচনাটাকে যদি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারি তাহলে নিঃসন্দেহে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা এই রাষ্ট্রের পরিবর্তন, কাঠামো পরিবর্তন এবং জনগণের কল্যাণের জন্য সত্যিকার অর্থে আমরা ইতিবাচক কিছু কাজ করতে পারব।

ডা. জাফরুল্লাহ’র কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জাফরুল্লাহ ভাই, তার যোগ্যতায় কতটুকু সম্মান দেশ থেকে পেয়েছেন জানি না। তবে তাকে জাতি আজীবন মনে রাখবেন। তিনি মানবকল্যাণে শুধু কাজ করেছেন। তিনি চলে গেলেও তার আদর্শ রেখে গেছেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, যারা আমাদের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় তাদের বিদায় করে জাতিকে রক্ষা করতে হবে। এটা আরেকটা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। অনেকে তখন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাইনি আমি তাদের বলব, এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আপনাদের বাবার, আপনাদের বড় ভাইয়ের, আপনাদের দেশের জাতির জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আসুন আমরা একসাথে লড়াই করি। এই লড়াই আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার লড়াই, এই লড়াই আমাদের জন্মভূমির মাটিকে রক্ষা করার লড়াই।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশে সংকট শুধু রাজনৈতিক সংকট নয়। বাংলাদেশে আজকে জিনিসপত্রের দাম গত ১২ বছরে সবচাইতে বেশি, মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ বছরের মধ্যে। বাংলাদেশে এখন সুশাসন নেই, বাংলাদেশে এখন বিচার ধবংস হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত কিছু থেকে পরিত্রাণে আমাদের দেশের শাসন যারা করছে, অন্যায় যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বিএনপির মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, বাবুল বিশ্বাস, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধ্যাপক সাঈদ উজ জামান অপু, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সহধর্মিণী নারী নেত্রী শিরীন হক উপস্থিত ছিলেন।###


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত