ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

সিডিএ কার্যালয়ে দুদকের হানা

Daily Inqilab চট্টগ্রাম ব্যুরো

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৯ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কার্যালয়ে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম। গতকাল বুধবার দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬ এ ফোন পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির বেশকিছু নথি পর্যালোচনা করেন দুদক কর্মকর্তারা। সিডিএর কাছে গত দুই বছরের প্রায় নয় হাজার ফাইল তলব করেছে দুদক।
দুদকের ১০ সদস্যের টিমের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাত। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হটলাইন নম্বরে ফোনে অভিযোগ ছিল ভবনের নকশা অনুমোদনের ফরমে ব্যাংকের সীল-স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে বেশকিছু ফাইল যাচাই-বাছাই করা হয়।
তিনি বলেন, যেহেতু এখানে অনেকগুলো নথি যাচাই বাছাইয়ের বিষয় রয়েছে, তাই আমরা প্রতিষ্ঠানটির দুই বছরের কাগজপত্র চেয়েছি। যা পরবর্তীতে পর্যালোচনা করে এবং ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে কোনো অমিল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আগামী সোমবারের মধ্যে তারা আমাদের সব কাগজপত্র দেবেন বলে জানিয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা বেশিক্ষণ থাকিনি। গত চার বছরের প্রায় আট থেকে ৯ হাজারের মতো ফাইল আছে। তবে কয়েকটি ফাইল দেখেছি। একটি দুটিতে অসঙ্গতি আছে বলে মনে হয়েছে। পুরো বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখতে হবে। এ বিষয়ে সিডিএর কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি নকশা অনুমোদনের আবেদন ফরম বিক্রিতে অভিনব জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে সিডিএতে। অভিযোগ উঠেছে, একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক জমা সিøপ নকল করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, ভবন নির্মাণে নকশা অনুমোদনের ফরম বিক্রি বাবদ দুই হাজার টাকা এবং কল্যাণ ফান্ডের জন্য ২০ টাকা জমা দিতে হয় প্রতিটি গ্রাহককে। পূবালী ব্যাংকের নির্ধারিত একটি অ্যাকাউন্টে এ টাকা জমা হয়। কিন্তু চক্রটি ব্যাংকের টাকা জমা সিøপ নকল করে দীর্ঘদিন থেকে এ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত