ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ

টেন্ডার নিয়ে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের হাতাহাতি

Daily Inqilab ময়মনসিংহ ব্যুরো

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১১ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রায় ৫০ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে য্বুলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষের বিরোধের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল দুপুরে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয় সংক্রান্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাজের সিডিউল বিক্রির কার্যক্রম চলছিল। এ নিয়ে জেলা যুবলীগ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে গতকাল জেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান রুমেল সিডিউল কিনতে গেলে বাধা দেয় মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি নাসিম ম-ল নিকু ও তার পক্ষের লোকজন। এ সময় দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনার ঘটে। এই ঘটনার পর হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ কামাল আকন্দ জানান, টেন্ডার নিয়ে দুই গ্রুপের মাঝে কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। তবে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার আগেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নাসিম ম-ল নিকু আমাদের সিডিউল ক্রয়ে বাঁধা দিয়ে আসছিল। তবে আমরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আজহারুল ইসলামকে নিয়ে সিডিউল কিনেছি। এ সময় নিকুর লোকজন আমাদের সাথে কিছুটা ঝামেলার চেষ্টা করে। তবে শেষ পযর্ন্ত আমারা সিডিউল কিনে এনেছি। এবিষয়ে মহানগর স্বেচ্চাসেবক লীগ সহ-সভাপতি নাসিম ম-ল নিকু জানান, আমরা কাউকে বাঁধা দেইনি। বরং তারা আমাদের সাথে ঝামেলা করেছে।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম জানান, সিডিউল বিক্রির নিয়মিত কার্যক্রম চলমান আছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর টেন্ডার জমা শেষে ২১ তারিখ তা ওপেন করা হবে। এ সময় দুই পক্ষের বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি জানান, একটু ঝামেলা হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত