ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ছেই
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১৬ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
চেনা শত্রু ডেঙ্গু, তারপরও থামছে না মৃত্যুর মিছিল। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬৭ জনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশা মারার সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যু। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৪ জন। অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না রোগীর। আইসিইউ’র জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন রোগীর স্বজনেরা। স্বজন হারিয়ে আহাজারিই শুধু সঙ্গী হচ্ছে অনেকের। এদিকে চাহিদার তুলনায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা কম থাকায় ৯০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। সাধারণত বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় প্রতি ২৪ ঘণ্টায় আইসিইউর ভাড়া, কেবিন ভাড়া, ওষুধপত্র, থাকা-খাওয়াসহ প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ পরে। এই ব্যয় মেটাতে গিয়ে রোগীর স্বজনদেরর নাভিশ্বাস উঠেছে। খরচ কুলাতে না পেরে অনেকে জমিজমা বিক্রি করে ব্যয় মেটাচ্ছেন। চলতি বছর ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তন হওয়ায় আক্রান্তদের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। জ্বর, ডায়রিয়া, বমি, পেট ও ফুসফুসে পানি জমাসহ ডেঙ্গু শক সিনড্রোম ও ডেঙ্গু হেমরোজিক ফিভারে অধিকাংশ রোগীর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ ও পিআইসিইউ) প্রয়োজন হচ্ছে।
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান কীটতত্ত্ববিদ প্রফেসর ড. মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, শত্রুর সঙ্গে তো আপনি ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে লড়াই করতে পারবেন না। আবার এই লড়াইয়ের জন্য আপনার পর্যাপ্ত সামরিক জ্ঞানও থাকতে হবে। তা না হলে আপনার গুলি শত্রুর গায়ে না লেগে নিজের গায়েও লাগতে পারে। আমরা তো শত্রু চিনি। এডিস মশা। কিন্তু দেশে মশা মারার সঠিক ব্যবস্থাপনা তো নেই। ওষুধের প্রয়োগ, সঠিক সময় ও প্রশিক্ষিত জনবল- এই তিনটি ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি ব্যবস্থাপনায় থাকতে হবে। কিন্তু আমরা কী সেটা করতে পারছি? ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মশক বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, সঠিক পথে কাজ না করলে কীভাবে থামবে এই মৃত্যুর মিছিল? তিনি বরেন, মশা নিধনে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই। যখন মন যেটা চায় দুই মেয়র সেটাই করেছেন। আসলে কাজের কাজ কোন কিছুই হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ থেকে আরও ভয়াবহ হবে। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, এই মৃত্যুর দুটি দিক আছে। একটি ভাইরাস এবং অপরটি মশা। প্রথমত এই ভাইরাসের অন্তত পাঁচটি ভ্যারিয়েন্ট আছে। কেউ যদি একবার কোন একটি ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন, তাহলে তার শরীরে শুধু ওই ভ্যারিয়েন্টের ইউমিনিটি তৈরি হয়। কিন্তু অন্য ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে অর্ধেকই মারা গেছেন হাসপাতালে আসার দুই দিনের মধ্যে। অর্থাৎ দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এখন এই বিষয়ে যে গবেষণা দরকার সেটা তো নেই। দ্বিতীয়ত, এডিস মশা থেকে ডেঙ্গু হচ্ছে। সেই মশা মারার কার্যক্রম তো আমরা দেখছি না। সিটি কর্পোরেশন মশা মারছে ফগার মেশিন দিয়ে। এই ফগার মেশিন কারা চালাচ্ছে? যাদের একটুও টেকনিক্যাল জ্ঞান নেই। কোন বিশেষজ্ঞও তাদের গাইড করছে না। তাহলে কীভাবে হবে?’’
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬৭ জনে। এছাড়া এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৪ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮২৩ জন ও ঢাকার বাইরের দুই হাজার ১২১ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ছয়জন ঢাকার ও নয়জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ১৭২ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৯ হাজার ৭৬০ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৮৭ হাজার ৪১২ জন ভর্তি হয়েছেন।
বছরের একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ৪৬ হাজার ৪১৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৫ হাজার ৮৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ৮১ হাজার ৩৩১ জন। এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস প্রফেসর ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের মশা মারার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু মশা মারার সঠিক পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা এখনো গ্রহণ করা হয়নি। বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি পদ্ধতি প্রয়োগ করে ধাপে ধাপে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ এখনই হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সামনে বিপদ। তাই রোগী যাতে আর না বাড়ে সেজন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। মশার নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এটার সমাধান সম্ভব না। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর অন্য রোগব্যাধিতেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। যে কারণে অন্যান্য জটিলতা ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কেউ দায় নিচ্ছেলেন না। অবশেষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারাকে দায়ী করে এর দায় নিজেদের কাঁধে নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি; গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা মূলত ওয়ার্ড ভিত্তিক কাজ করি। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছি। ঢাকা উত্তরের মেয়র যখন যেখানেই যাচ্ছেন ডেঙ্গু সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করছেন। এমনকি আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর যারা রয়েছেন, তারাও পাড়া-মহল্লায় গিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন একরকম যুদ্ধের মধ্যেই আছে। শিক্ষার্থীদের সচেতন করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে বিশেষ একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে এবং সেগুলো স্কুলগুলোতে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমরা সচেতনতায় র্যালি করছি, বিভিন্ন মিটিং করে পরামর্শ নিচ্ছি। তিনি বলেন, তারপরও যেহেতু দেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নেই, তাই সব দোষ আমরা নিজেদের কাঁধেই নিচ্ছি। কিন্তু আমরা সাধ্যমত সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আমাদের কাজে কোনও ভুল নেই তা বলছি না। কাজের মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। তবে আমরা কাজ করছি না, এমনটি বলা যাবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা। এসময় তিনি বলেন, দেশের যে কোনও ক্রান্তিলগ্নে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাংবাদিকরা সচেষ্ট। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কার্যক্রমের পাশপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে ডেঙ্গু সচেতনতা সৃষ্টিতে সাংবাদিকদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। নূরুন নাহার বলেন, মশা বাড়তে থাকলে আমরা যতই কাজ করি, কোনও লাভ হবে না। আগে মশা মারা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে দুই সিটির অনেক দায়িত্ব আছে। নগরবাসীকেও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সাংবাদিকদের এই বিষয়টা সাধারণ মানুষসহ দায়িত্বরতদের জানাতে হবে।
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং সহকারী পরিচালক ডা. নূর জাহান আরা খাতুন বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। কর্মশালায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালাধীন দফতরসমূহ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি ও হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মারুফ নাওয়াজ কর্মশালায় সঞ্চালনা করেন। ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক তানিয়া খান কর্মশালার পরিচালক এবং সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাজী ওমর খৈয়াম কর্মশালায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফায়জুল হক, পরিচালক এ. কে. এম আজিজুল হক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) এবং পরিচালক নজরুল ইসলাম (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতর এবং সরকারি ও বেসরকারি মিডিয়ার ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত