আইডিয়ালের শিক্ষিকা ও ৬ চিকিৎসক গ্রেফতার
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৫ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। গত রোববার থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে একজন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ও অন্য ৬ জন চিকিৎসক। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন সেট, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মাকসুদা আক্তার মালা, ডা. কে এম বশিরুল হক, ডা. অনিমেষ কুমার কু-ু, জাকিয়া ফারইভা ইভানা, সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী, জাকারিয়া আশরাফ ও মৈত্রী সাহা। মিরপুর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের শেষে গতকাল তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
সিআইডি সূত্র জানায়, এর আগে প্রশ্নফাঁস চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ১৭জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার টিম। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী থেকে এই সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবশেষ গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাকসুদা আক্তার মালা ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে ইকরাসহ আরও ৭ শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন তিনি। অন্যদের মধ্যে ডা. কে এম বশিরুল হক থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন তিনি।
এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক আসামির সিআরপিসি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ডা. বশিরুল হকের নাম রয়েছে। প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীমের গোপন ডায়েরিতেও তার নাম কাছে। ডা. অনিমেষ কুমার কু-ু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন মেডিক্যাল অফিসার। ২০১৫ সালে ১০ জন শিক্ষার্থীকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে পড়িয়েছেন তিনি। তাদের মধ্যে ৮ জনই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
আর জাকিয়া ফারইভা ইভানা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি ২০০৬-০৭ সেশনের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ৬০তম স্থান অর্জন করেন। প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতা ডা. ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধানের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে তিনি ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এছাড়া সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তারকৃত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে চান্স পান তিনি। জাকারিয়া আশরাফ ও মৈত্রী সাহা ২০১৫-১৬ সেশনের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। তারাও অভিযুক্ত ডা. অনিমেষের মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যান্য সদস্য ও ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া যায়। এছাড়াও এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নুর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গোপন ডায়েরি থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা চক্রের সদস্যদের তথ্য পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার থেকে ১২ সেপ্টেম্বর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতাসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত