ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

কমিশন খাওয়ার জন্যই এয়ারবাস কিনতে চায় সরকার: মির্জা ফখরুল

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০১ পিএম | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০১ পিএম

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, না খেয়ে আছে মানুষ। এমন একটি মুহূর্তে নাচ-গান গেয়ে বিদেশীদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে না, হাসপাতাল তৈরি করতে পারছে না, মানুষের ভোটাধিকার দিচ্ছে না অথচ কমিশন খাওয়ার লক্ষ্যে ১০ টি এয়ারবাস কেনা হচ্ছে। এখন আবার স্যাটেলাইট-২ কেনার পাঁয়তারা করতেছে। এই দানব সরকারকে সরাতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণপূর্বক এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ড্যাবের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিব নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় থেকে জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন। পরে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিএনপি কার্যালয় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রদের অনির্বাচিত দাবি করে তাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা ডেঙ্গু মশা নিধনের নামে যে ওষুধ সরবরাহ করেছে সেখানেও তারা চুরি করেছে, তাদের প্রধান লক্ষ্যই চুরি করা।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন প্রমুখ।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত