ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

রামগতিতে শশুরবাড়ীতে স্ত্রী ও শশুরকে গলা কেটে হত্যা করল জামাই

Daily Inqilab রামগতি(লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পারিবারিক কলহের জেরধরে স্ত্রী ও শশুরকে জবাই করে হত্যা করেছে জামাই। নিহতরা হচ্ছেন স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৮) এবং শ্বশুর বাদশা আলম (৫৫)। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাতটার সময় উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় শ্বাশুড়ি আংকরি বেগম (৫০), বাদশা আলমের মা আমেনা বেগম (৭০) আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত রাশেদা বেগমের চার বছর আগে নরসিংদী জেলার মো: জয়নালের ছেলে মো: সুমন (৩২) এর সাথে বিয়ে হয়। রাশেদা চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাদের ঘরে জাহিদ নামের ২বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকেই সুমন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত সুমনকে গত বছর তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন রাশেদা।

রাশেদার স্বামী মো: সুমন স্ত্রীর আয়ের টাকায় নেশা করতেন। নেশার টাকা না দিলে স্ত্রীকে এর আগেও কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করেছেন। গত মাসে পারবাবিরক ভাবে একই এলাকার মো:আব্দুল কাদেরের সাথে রাশেদা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। স্ত্রী রাশেদা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে আজ বুধবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে এসে ছুরি দিয়ে স্ত্রী রাশেদা বেগম শশুর বাদশা আলমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। শ্বাশুড়ী আংকরি বেগম এগিয়ে এলে তাকেও চুরিকাঘাত করে সুমন। চুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই রাশদা এবং বাদশা আলম নিহত হন। আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটি এলে কৌশলে পালিয়ে যায় সুমন।

পরে স্থানীয় আকবর হোসেন নামের একজন ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে পুলিশ কিংবা স্থানীয় কেউই সুমনের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে উপস্থিত হন সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি-কমলনগর সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী। তিনি জানান, খরব পেয়ে আমি রামগতি থানার ওসিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। খুনিকে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে গিয়েছে। ঘাতক জামাইকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত