আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)

Daily Inqilab এ. কে. এম ফজলুর রহমান মুন্শী

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
আর নেয়ামতকে প্রচার করার মর্ম হলো, শুধু কেবল স্মরণ রাখাকেই যথেষ্ট মনে করবে না, বরং সেই নেয়ামতকে প্রচার ও করতে হবে। যেন আল্লাহর মাখলুক সে সম্পর্কে অবহিত হয় এবং মানুষের মধ্যে এর চর্চা বেশি হয়। আর আল্লাহপাকের উদ্দেশ্যও তাই। নেয়ামতের প্রচার ও প্রসারের মধ্যে বড় হেকমত হচ্ছে এই যে, আল্লাহর নেয়ামত নাজিলের বিষয়টি যেন মাখলুক পর্যন্ত পৌছে যায় এবং মানুষ অধিক হারে যেন শোকর আদায়ে অংশগ্রহণ করে। সুতরাং এ পর্যায়ে শোকর এবং প্রচারের মধ্যে বড় পার্থক্য এই দাঁড়াল যে, জিকির একা একাও আদায় করা যায়। আর এর প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্য হচ্ছে বড় বড় জলসায়, মজলিসে, সম্মেলনে মাখলুকের নিকট নেয়ামতের শোকর গুজারীর বিষয়টি পৌঁছে দেয়া। এর শোকর গুজারীর জন্য সেই নেয়ামতের শান ও মর্যাদা অনুসারে বড় বড় মাহলি ও জনসমাবেশের আয়োজন করা এবং খোলাখুলিভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামতের বিষয়টি আলোচনা করা।

(ঘ) নেয়ামতের প্রচার ও প্রসার কিভাবে করবে।

লক্ষ্যণীয় দৃষ্টিকোণ হচ্ছে এই যে, মুসলিম উম্মত নিজেদের নবী ও রাসূল (সা:)- এর শুভ জন্মের মতো শ্রেষ্ঠতম নেয়ামতের শোকরগুজারী করবে, এই নেয়ামতের প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই নেয়ামতের স্মরণে কখনও কখনও হুজুর (সা:)-এর নাত পাঠ করা হয়, কখনও তাঁর সৌভাগ্যপূর্ণ বেলাদতের আলোচনা হয়, কখনও তাঁর উত্তম চরিত্রের বিষয়াদি আলোচিত হয়। আবার কেউ হুজুর (সা:)-এর হুসনে সুরত এবং দিলরুবা কর্ম প্রবাহের কথা আলোচনা করে। কেউ তাঁর বিন¤্র স্বভাব ও চিত্তাকর্ষক ব্যবহারের তফসীর করে এবং এই সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামতকে স্বরণ করার বিভিন্ন তরীকা ও সুরত যা নেয়ামতের স্মরণের সাথে সংযুক্ত তা’ আদায় করে। এ সম্পর্কে যদি সামান্যতম চিন্তা ও করা হয়, তাহলে বুঝা যাবে যে সকল মাহফিলে মীলাদের সাধারণ অবস্থা এটাই। আর এ সকল বিষয়ের আলোচনাকেই মীলাদ মাহফিলে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়।

এক্ষেত্রে কারও অন্তরে যদি এই খেয়াল পয়দা হয় যে, হুজুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-এর মীলাদ মাহফিলে তাঁর জিকির ও স্মরণ কিভাবে করা যায় এবং এর সীমারেখা ও শর্তাদি কিরূপ হবে এবং অতিরঞ্জন ও অতিসংকোচনের হাত হতে বেঁচে থেকে আমরা হুজুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-এর স্মরণে তাঁর প্রশংসা কিভাবে করব? সুতরাং এ সকল জিজ্ঞাসার উত্তর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর প্রশংসাকারীদের অন্যতম নেতা, মহব্বতের কাফেলার অগ্রবর্তী ইমাম শরফুদ্দীন বুসেরী (৬০৮-৬৯৬ হি:) কয়েকটি কবিতায় সুস্পষ্টভাবে অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রদান করেছেন, যা সকল সন্দেহ-জিজ্ঞাসা ও কূটচিন্তার অবসান ঘটিয়েছে।

তিনি বলেছেন :
অর্থাৎÑনাসারাগণ (খৃস্টানগণ) স্বীয় নবী ঈসার ব্যাপারে খোদায়ীত্বের যে সকল দাবি করেছে (এবং তাঁকে খোদা, খোদার বেটা ইত্যাদি বানিয়ে সীমা লংঘনকারী ও কুফুরীর সাথে সংযুক্ত করেছে) তা বর্জন কর। হুজুর (সা:)-এর প্রশংসায় এ জাতীয় ভয়ংকর সীমালংঘন ও অতিরঞ্জনের হাত হতে বিমুক্ত হয়ে তোমাদের মনে যা চায় তা বল এবং পূর্ণ বিশ্বাস ও আন্তরিকতার সাথে দোজাহানের বাদশাহের প্রশংসা কর।

তিনি আরও বলেছেন :
অর্থাৎ সেই পবিত্র সত্তার বুযুগী ও মহত্বকে প্রচার কর, প্রকাশ কর এবং যে সকল শ্রেষ্ঠত্বকে চাও, হুজুর আকরাম (সা:)-এর সাথে সংযুক্ত কর এবং বুলন্দ হতে বুলন্দতর পন্থায় তা ব্যক্ত কর।

অত:পর তিনি বলেছেন :
অর্থাৎ এ কথা নি:সন্দেহে বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর স্মরণে তাঁর প্রশংসা ও নাত সবদিক থেকেই জায়েয এবং উত্তম। তবে আমাদের উচিত খোদাইত্বের সাথে তাঁর নবুওতকে সংযুক্ত না করা এবং আল্লাহকে আল্লাহ মেনে তাঁর হামদ করা এবং রাসূলুল্লাহ (সা:)- কে সাইয়েদুল আম্বিয়া ও সাইয়্যেদুল মুরসালিন হিসেবে স্মরণ ও সম্ভাষণ করা।

(ঙ) জশনে ঈদ বা ঈদের আনন্দ।
নেয়ামতের স্মরণ এবং নেয়ামতের প্রচার এবং প্রসার ছাড়াও আল্লাহর নেয়ামত সমূহ ও অনুগ্রহসমূহের উপর শোকর গুজারী প্রকাশ করার একটি তরীকা এবং সুরত এই যে, এই খুশি ও আনন্দের প্রকাশ জশন এবং ঈদের মতো করে আদায় করা। পূর্ববর্তী উম্মতগণের মধ্যেও শোকর গুজারীর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বলবৎ ছিল। যার কথা পূর্ববর্তী আলোচনায় স্থান লাভ করেছে। আর ইহা হচ্ছে সুন্নাতে আম্বিয়া যে, যেদিন আল্লাহপাকের কোন খাস নেয়ামত পাওয়া যায় সেই দিনকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করা হয়। হযরত ঈসা (আ:) আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের দরবারে এই কামনা পেশ করেছিলেন :

অর্থাৎ-হে আল্লাহ, হে আমার রব! আমাদের জন্য আকাশ হতে নেয়ামতের খাঞ্চা নাজিল করে দিন যে, (ইহার অবতরণের দিন) আমাদের জন্য ঈদ হয়ে যায়। আমাদের পুর্ববর্তীদের জন্যও এবং আমাদের পরবর্তীদের জন্যও।
এ কথা মনে রাখা দরকার যে, এই খাঞ্চার মতো স্বল্পমেয়াদী নেয়ামত হাসিলের জন্য হযরত ঈসা (আ:) ঈদ উদযাপন করার কথা উল্লেখ করেছেন। সুতরাং এর প্রতি লক্ষ্য রেখে খৃস্টানগণ আজও রোববার দিন এই নেয়ামত লাভের শোকরিয়া স্বরূপ ঈদ উদযাপন করে।

খাঞ্চা অবতরণের নেয়ামতকে আমাদের নেতা আমাদের মাওলা হুজুর সরওয়ারে কায়েনাত (সা:)-এর পৃথিবীতে আগমনের সাথে তুলনা করা যায় কি? কোন সম্পর্ক আছে কি? কোথায় সেই স্বল্পমেয়াদী খাঞ্চার নেয়ামত এবং কোথায় সেই চিরস্থায়ী উভয় জাহানে অবিনশ্বর নেয়ামত, যা হুজুর রাহমাতুল্লিল আলামিনের সুবতে মানব জাতির নসিব হয়েছে। এই উভয় নেয়ামতকে পরস্পর তুলনা করার কোন সুযোগই নেই। আমাদের জন্য চিন্তার বিষয় হচ্ছে এই যে, আমরা এই অবিনশ্বর ও চিরস্থায়ী নেয়ামতের উপর যথাযথভাবে শোকর আদায় করি, নাকি করছি না। এক্ষেত্রে খাঞ্চার অবতরণ এবং বেলাদতে মোস্তফা (সা:)-এর সাথে তুলনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং ইতিহাসের নিরিখে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ দিক নির্দেশনার প্রতি ইশারা করা হচ্ছে মাত্র। খৃস্টানরা এখনও পর্যন্ত রোববার দিনে খুশি ও আনন্দ উদযাপন করে চলেছে। কেননা, রোববার দিনই তাদের উপর খাঞ্চা নাজিল হয়েছিল। পূর্ববর্তী উম্মতগণ খাঞ্চার মতো নেয়ামতের শোকর গুজারী স্বরূপ ঈদ উদযাপন করছে। যার বিবরণ আল কুরআনে সংরক্ষিত আছে। কেননা ইহাও আল্লাহর রেজামন্দি হাসিলের একটি সুবত ও সুন্নাতে আম্বিয়া (আ:)। যখন সাধারণত মামুলী ধরনের নেয়ামতের অর্জন এবং এর নাজিলের উপর ঈদ উদযাপন করা আম্বিয়া (আ:)-এর সুন্নাত এবং আল্লাহপাকের নির্দেশ পালন বলে সাব্যস্ত হয়েছে, তাহলে মিলাদে মোস্তফা (সা:)-এর মতো সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত অর্জনের উপর কেন খুশি মানানো যাবে না? আনন্দ প্রকাশ করা যাবে না? যার ওসিলার এই সৃষ্ট জগত অস্তিত্ব লাভ করেছে এবং সব নেয়ামত তাঁর কারণেই দান করা হয়েছে। তাঁর স্মরণে কি এই উম্মত ঈদ উদযাপন করতে পারে না? প্রাণ ভরে তার স্মরণকে উজ্জীবিত করতে পারে না?

পূর্ব বর্ণিত বিস্তৃত আলোচনার নিরিখে এ কথা সুস্পষ্ট অনুধাবন করা যায় যে, মিলাদুন্নবী (সা:)-এর অনুষ্ঠান করা, আলোচনার ব্যবস্থা করা আল কুরআনের বিধান মোতাবেক বৈধ ও পুণ্যময় আমল। এর উপর কোনরকম আপত্তি উত্থাপন করা, ওজর পেশ করা বা অনিহার ভাব প্রদর্শন করা আল কুরআনের নির্দেশের বিরোধিতা ছাড়া কিছুই নয়। তবে বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)-এর যায়েজ ও বৈধ অনুষ্ঠানকে বিতর্কের বিষয় হিসেবে পরিচিত্রিত না করা এবং নিজের ঈমান ও আমলের মূলে কুঠারাঘাত করে রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর শান ও মানকে ক্ষুন্ন না করা। যে বা যারা রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর আদর্শকে অনুসরণ করার এবং তাঁর উম্মত হওয়ার দাবি করে অথচ তার বেলাদত ও মিলাদকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে অবলোকন করে, তারা কতখানি ঈমানদার এ বিষয়ে চিন্তার অবকাশ আছে। এ ব্যাপারে আল্লাহপাকই ভালো জানেন। তবে ঈমানদারদের উচিত মনেপ্রাণে রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর জীবনাদর্শ মোতবেক নিজের জীবনকে পরিচালনা করা এবং নবুওতের ফয়েজ ও বরকত দ্বারা অভিসিক্ত হওয়া। আল্লাহপাক আমাদেরকে সে তাওফিক এনায়েত করুন, এটাই একান্ত প্রার্থনা। (সমাপ্ত)

 


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

রোহিঙ্গাসংকট: সমাধানের পথ খুলুক দ্রুত
মাইজভা-ার শরিফ : ঐশ প্রেক্ষিত
রমজানে খাদ্য গ্রহণে সচেতন হোন
রমজানের রহমত-মাগফিরাত-নাজাতের বানে ভেসে যাক পাপ
আল্লাহ ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল নাই
আরও
X

আরও পড়ুন

বিতর্কিত ওয়াকফ বিল নিয়ে উত্তাল ভারতের মুর্শিদাবাদ

বিতর্কিত ওয়াকফ বিল নিয়ে উত্তাল ভারতের মুর্শিদাবাদ

এশিয়ার তিন দেশ সফর করবেন শি জিনপিং

এশিয়ার তিন দেশ সফর করবেন শি জিনপিং

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উজ্জীবিত আশার প্রতীক: মেক্সিকোতে স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুশফিক

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উজ্জীবিত আশার প্রতীক: মেক্সিকোতে স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুশফিক

গাজা ‘পৃথিবীর দোযখে’ পরিণত হয়েছে, সংকট চরমে

গাজা ‘পৃথিবীর দোযখে’ পরিণত হয়েছে, সংকট চরমে

উত্তাল কলকাতা, মোদি-অমিত শাহের কুশপুত্তলিকা দাহ

উত্তাল কলকাতা, মোদি-অমিত শাহের কুশপুত্তলিকা দাহ

হার দিয়ে পিএসএল শুরু রিশাদের দলের

হার দিয়ে পিএসএল শুরু রিশাদের দলের

শেরাটন ভবনের মালিকানা বিতর্কের অবসান, হিস্যা বুঝে নিল ডিএনসিসি

শেরাটন ভবনের মালিকানা বিতর্কের অবসান, হিস্যা বুঝে নিল ডিএনসিসি

দেশের সাংবিধানিক নামে ‘জনকল্যাণ’ শব্দ চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

দেশের সাংবিধানিক নামে ‘জনকল্যাণ’ শব্দ চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ছাগলনাইয়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে সাতটি পিক-আপ জব্দ ও দুইটি এস্কেভেটর অকেজো

ছাগলনাইয়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে সাতটি পিক-আপ জব্দ ও দুইটি এস্কেভেটর অকেজো

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে  রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে : মাওলানা আহমদ হাসান ফুলতলী

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে : মাওলানা আহমদ হাসান ফুলতলী

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায়  এক দিনে নিহত ২৬ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় এক দিনে নিহত ২৬ ফিলিস্তিনি

সম্প্রীতির দেশে আগুন লাগাতে চায় এরা কারা

সম্প্রীতির দেশে আগুন লাগাতে চায় এরা কারা

অর্থনীতিতে আমরা স্বস্তির জায়গায় রয়েছি : গভর্ণর

অর্থনীতিতে আমরা স্বস্তির জায়গায় রয়েছি : গভর্ণর

উৎসবের নামে মুসলিমদের শিরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

উৎসবের নামে মুসলিমদের শিরকের পথে ঠেলে দিচ্ছে সরকার

নির্বাচন নইলে আন্দোলন

নির্বাচন নইলে আন্দোলন

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে : আমিরাতের প্রেসিডেন্ট

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে : আমিরাতের প্রেসিডেন্ট

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে

কালুরঘাট সেতুসহ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জায়গা পরিদর্শন রেল সচিবের

কালুরঘাট সেতুসহ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জায়গা পরিদর্শন রেল সচিবের

মডেল মেঘনা কারাগারে

মডেল মেঘনা কারাগারে

ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে ঐক্য গড়ে তোলার আহবান গণসংহতি আন্দোলনের

ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে ঐক্য গড়ে তোলার আহবান গণসংহতি আন্দোলনের