ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

চুক্তি বাতিলের পর ফিলিস্তিনের পক্ষে ডাচ ফুটবলার

Daily Inqilab স্পোর্টস ডেস্ক :

০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ায় ডাচ উইঙ্গার আনওয়ার আল গাজির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে জার্মান ক্লাব মেইঞ্জ। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ খবর নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনের পক্ষে পোস্ট দেওয়ার কারণে গত ১৭ অক্টোবর বরখাস্ত করা হয় আল গাজিকে। পরে অবশ্য সেই পোস্টটি মুছে ফেলেন ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এরপর গত সোমবার তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার আবারও একই ইস্যুতে নতুন করে পোস্ট দেন আল গাজি। যে কারণে শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তিই বাতিল করেছে ক্লাবটি। তবে এতে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া আরো দৃঢ়চেতাভাবেই জানিয়েছেন আল গাজি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বার্তায় এই ডাচ ফুটবলার লিখেছেন, ‘যা সঠিক তার পক্ষে দাঁড়ান। এমনকি আপনাকে যদি একা দাঁড়াতে হয় তবু।’ এরপর ‘স্টপকিলিং’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে আল গাজি আরও লিখেছেন, ‘গাজার নিরপরাধ ও বিপন্ন মানুষগুলোর নরক-যন্ত্রণার সঙ্গে তুলনা করলে আমার জীবিকা হারানোর ক্ষতি কিছুই নয়।’

এর আগে গত সোমবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সময় ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ক্লাবের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখা, অনুশোচনা বোধ করা এবং ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আনওয়ার আল গাজি আবার অনুশীলনে ফিরে আসবে এবং মেইঞ্জের ক্লাব-সম্পর্কিত কার্যক্রমে আবার যুক্ত হবে।’
কিন্তু বুধবার আবার আগের অবস্থানে অটল থাকার কথা জানান আল গাজি। যেখানে তিনি সবাইকে সন্দেহ দূর করতে বলেন এবং ২৭ অক্টোবর দেওয়া পোস্টটিই তার চূড়ান্ত অবস্থান বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি লিখেছেন, ‘আমি যুদ্ধ এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে। আমি নিরীহ বেসামরিক মানুষকে হত্যার বিরুদ্ধে। আমি সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমি ইসলামভীতির বিরুদ্ধে। আমি ইহুদিবিদ্বেষী বিরুদ্ধে। আমি গণহত্যার বিরুদ্ধে। আমি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। আমি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে। আমি নিপীড়নের বিরুদ্ধে।’

এ সময় গাজায় তিন সপ্তাহে ৩ হাজার ৫০০ শিশু হত্যার কোনো বৈধতা হয় না বলেও মন্তব্য করেছেন আল গাজি। ২৭ অক্টোবর দেওয়া পোস্টে গাজি লিখেছেন, ‘আমি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে নিরীহ বেসামরিক লোকদের হত্যার নিন্দা জানাচ্ছি। জাতীয়তা যাই হোক, এই সংঘাতে নিহত সব নিরীহ মানুষের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে।’ এ সময় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সংহতি চাওয়ার কথা বলেন আল গাজি।


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
টিভিতে দেখুন
দুই টিটি খেলোয়াড়ের পাশে নাভানা
তারুণ্যের উৎসবে তায়কোয়ান্দো
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত