সখিপুরে সংরক্ষিত বন ঘেঁষে শতাধিক অবৈধ করাতকল
০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
টাঙ্গাইলের সখিপুরে ১ লাখ একর জমির মধ্যে প্রায় ৫২ হাজার একর জমি বনবিভাগের। সখিপুর উপজেলায় বহেড়াতৈল রেঞ্জের বহেড়াতৈল সদর, কাকড়াজান (মরিচা), এমএম চালা (আন্দি), কচুয়া, ডিবি গজারিয়া (কৈয়ামধু) বিট, হতেয়া রেঞ্জের হতেয়া সদর, বাজাইল, কড়ইচালা, কালমেঘা, কালিদাস বিট, বাঁশতৈল রেঞ্জের পাথরঘাটা, বংশিনগর, নলুয়া বিট, ধলাপাড়া রেঞ্জের ধলাপাড়া সদর, সাগরদিঘী বিট নিয়ে সখিপুরে সংরক্ষিত বনাঞ্চল গঠিত।
এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে বনভূমি বা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মূল্যবান বৃক্ষের ওপর নির্ভরশীল। ২০১২ সালের বন আইনে রয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন করাতকল নির্মাণ করা যাবে না। অথচ বাঁশতৈল, হতেয়া, বহেড়াতৈল, ধলাপাড়া রেঞ্জের বিভিন্ন বিটাধীন আইনের তোয়াক্কা না করে বনবিভাগের সীমানার মধ্যে বনাঞ্চল ঘেঁষে শতাধিক অবৈধ করাতকল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে কালিদাস একটি ও চতলবাইদ বেগপাড়া একটি করাতকল নির্মিত হয়েছে। সখিপুর উপজেলার বনবিভাগের বনাঞ্চলের ভেতরে বিভিন্ন এলাকায় করাতকলগুলো হলো-খানের মোড় একটি, ইন্দারজানি একটি, হেঙ্গারচালা একটি, গড়বাড়ি ২টি, হামিদপুর একটি, আইলসার বাজার একটি, মহানন্দপুর একটি, কুতুবপুর ৪টি, আবেদনগর ১টি, দেবরাজ ১টি, মাচিয়া ১টি, খাইলারবাইদ একটি, বানিয়ারসিট ১টি, আড়াইপাড়া ২টি, বড়চওনা ৫টি, ডাবাইল ২টি, গোহাইলবাড়ি ১টি, বেতুয়া ১টি, দাড়িয়াপুর আবাদীবাজার ১টি, আকন্দপাড়াবাজার ১টি, নাকশালা ২টি, বেড়বাড়ি ১টি, জসীমবাজার ১টি, কামালিয়াচালা ১টি, কাশেমবাজার ১টি, তক্তারচালা ৫টি, নাপিতের পুকুরপাড় ২টি, হলিদ্রাচালা ১টি, ভাতকুড়াচালা ২টি, কাজীপাড়া ১টি, হতেয়া ২টি, ওয়াজেদ মার্কেট ১টি, ভাতকুড়া ১টি, নলুয়ায় ৫টি, সুন্দলা ১টি, ছলংগা ১টি, পাথার ২টি, ইছাদিঘী ২টি অবৈধ করাতকল রয়েছে। মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও অভিযান শেষে পুনরায় পুরোদমে এসব অবৈধ করাতকলে অবাধে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মূল্যবান বৃক্ষ চিড়াই করা হচ্ছে। আবার একটি করাতকল উচ্ছেদ করার সময় অন্যান্য করাতকল মালিকরা খবর পেয়ে তাদের করাতকল খুলে অন্যত্র সরিয়ে রাখে অভিযান শেষ পুনরায় স্থাপন করে ফেলে।
পৌর এলাকায় করাতকল নির্মাণে লাইসেন্স দেয়া হয়, অথচ সখিপুর পৌর এলাকায় বনবিভাগের জমি রয়েছে। সেক্ষেত্রে বন আইনে কোন সুষ্পষ্ট বিধান নেই। ফলে সখিপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৪৫টি করাতকল স্থাপিত হয়েছে।
প্রতিটা দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ১০ ভাগ। এ কারণে সুজলা সুফলা ষড়ঋতুর বাংলাদেশ দু’ঋতুর দেশে পরিনত হচ্ছে। মনুষ্য ব্যভিচারে অতিরিক্ত কার্বনডাই অক্সাইড নির্গত হবার ফলে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেই সাথে এই ধরিত্রীতে জনমানব বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এ প্রসঙ্গে বহেড়াতৈল রেঞ্জ অফিসার একেএম আমিনুর রহমান বলেন, অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে, এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেষ বিকেলে লুইস-অ্যাথানেজের 'আক্ষেপে' ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশে
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়