সেতু যেন মরণফাঁদ
০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম
প্রায় দেড় যুগ ধরে ভেঙে আছে সেতুটির পাটাতন। এখনো ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও ছোট খাটো যানবাহন চলাচল করছে। তবে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ রয়েছে।
ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার ২নং জোড়াদহ ও ৬নং ফলসী ইউনিয়নের বেলতলা-শড়াতালা গ্রামের মাঝামাঝি জিকে প্রধান সেচ খালের ওপর সেতুটির অবস্থান। বেলতলা-শড়াতালা প্রধান সড়কের মাঝামাঝি জিকে সেচ প্রকল্পের আলমডাঙ্গা মেইন খালের ওপর নির্মিত এ সেতু। দীর্ঘদিন ভেঙে পড়ে আছে অথচ কারো নজর নেই সেদিকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সেতুটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি আজ অবধি। সেতুর ওপর দিয়ে অসংখ্য পথচারী ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছেন। ছোট-ছোট যানবাহন চলাচল করছে। কৃষকেরা বিভিন্ন ফসল যানবাহনে করে কুলবাড়িয়া বাজার, ঐতিহ্যবাহী মান্দিয়াবাজার এবং উপজেলা শহর হরিণাকু-ু বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। সেতুর ভাঙা স্থানে যানবাহন ধরাধরি করে পার করতে হচ্ছে। মোটরসাইকেলের চালকরা অতি সাবধানে সেতু পার হচ্ছেন। সেচখালের অপরপ্রান্তে ফলসী ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রাম। যেখানকার মানুষও এই সড়কে চলাচল করে এবং আবাদী জমিতে ফসল ফলানোর জন্য যাওয়া আসা করছে। তিনটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষ এই সড়কটি ব্যবহার করে। এই সড়কের বেলতলা ও শড়াতালা এলাকায় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। ষাটের দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত সেতুটি যেন এখন মরণফাঁদ। এক সময় ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করত এই সেতুটি বুকের ওপর দিয়েই। দীর্ঘ সময় পার করে ২০০৯ সালের দিকে সেতুটির পলেস্তরা খসে পড়ে ও পাটাতন ভেঙে যায়। ১০ ফুট চওড়া পাটাতনের প্রায় সবটুকু ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে বাঁশ-চাটাই দিয়ে ভেঙে পড়া সেতুর কিছু অংশে পাটাতন তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। সেটাও মাঝে-মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তখন আবার মেরামত করে স্থানীয় লোকজন।
বর্তমানে সেতুটির রেলিংও সিংহভাগ ভেঙে গেছে সেচ খালের মধ্যে। যে কারণে ভাঙা পাটাতনের ওপর চলাচল করতে গিয়ে একটু অসাবধান হলেও সেতুর নিচে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চলাচলের সময় মাঝেমধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কেউ পড়ে গেলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার করেন ব্রিজের পাশের দোকানিরা। সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে খরচ বাড়ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- এটা আমার নিজ গ্রামের ব্রিজ।
অসংখ্যবার পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে ধরনা দিয়েছি। তারা আশ্বাস দিলেও কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি। বিগত সকল সংসদ সদস্যই বলেন- এই সেতুটির জন্য বরাদ্দ হয়েছে, কিন্তু আজ অবধি তা আলোর মুখ দেখেনি। তিনি আরও বলেন- উপজেলা শহরের সাথে সংযোগের একটিমাত্র পথ এ সেতুটি। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না করার ফলে সেতুটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত একটি নতুন সেতু স্থাপনের দাবিও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এই সেতু ছাড়াও তাঁদের আরও কয়েকটি সেতু মেরামত করা প্রয়োজন। তাদের রিহ্যাবিলিটেশনের একটি প্রোজেক্টে সবগুলো ব্রিজের তালিকা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে পাস হওয়ার পর সবগুলো ভাঙা ব্রিজের কাজ শুরু করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেষ বিকেলে লুইস-অ্যাথানেজের 'আক্ষেপে' ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশে
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়