চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে ওলকচু চাষ
০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১০ এএম
অল্প ব্যয়ে অধিক লাভ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ওলকচু চাষ। ওলকচু সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এ সবজিটির চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। বিঘা প্রতি ওলকচু ১ লাখ টাকার বেশী লাভ হওয়ায় জেলার বিভিন্ন গ্রামে এ চাষে ঝুঁকে পড়ছে অনেক চাষি।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ১২১ হেক্টর জমিতে ওলকচুর চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর ১৫ হেক্টর, আলমডাঙ্গা ৬২ হেক্টর, দামুড়হুদা ২৯ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে ওলকচুর চাষ হয়েছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলার প্রদর্শনী প্লট ছাড়াও মাদ্রাজী ওলকচুর চাষ হচ্ছে। বর্তমান এসব জমি থেকে ওলকচু তুলে হাটে বাজারে বিক্রি করছে চাষিরা।
আলমডাঙ্গা উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের কৃষাণী রহিমা খাতুন জানান, তিনি আলমডাঙ্গা কৃষি অফিস থেকে ১০ শতক জমিতে ওলকচু চাষের প্রদর্শনী প্লট পেয়ে ছিলেন। কৃষি অফিস থেকে ওলকচু চাষের জন্য তাকে ২ বস্তা জৈবসার, ৯ কেজি পটাশ, ৯ কেজি ড্যাপ, ২ বস্তা ওলকচুর বীজ দিয়েছিলো। চলতি মৌসুমে ওলকচুর ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে ক্ষেত থেকে তোলা শুরু হয়েছে। ৩ কেজি থেকে ৫ কেজি ওজন পর্যন্ত ওলকচু ওজন হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ওলকচু চাষে খ্যাতি অর্জনকারী ছলিম উদ্দীন বলেন, বাংলা চৈত্র মাসের শেষের দিকে ও বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে ওলকচু সাধারণত রোপন করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে কন্দাল ফসল উৎপাদন প্রকল্প থেকে ২০ শতকের ওপর প্রদর্শনী প্লট পেয়েছিলেন তিনি। বিঘা প্রতি আড়াই শত গ্রাম ওজনের বীজ ৭ থেকে ৮ মন, ৫০০ গ্রাম ওজনের বীজ ১০ মণ ও ১ থেকে ২ কেজি ওজনের ওলের বীজ আরো বেশী প্রয়োজন হয়। তবে বীজের যে দাম সেক্ষেত্রে নিজের বীজ না থাকলে ওলকচু চাষ করা অসম্ভব হয়ে যায়। ওলকচু রোপনের সময় ১০ মন বীজের দাম পড়ে ৫০ হাজার টাকা। ১ বিঘায় ওলকচু উৎপাদন বীজের আকারের উপর নির্ভর করে। প্রতি বিঘায় ওলকচু উৎপাদন হয় ৭০ মন থেকে ১০০ মন। জমি থেকে বর্তমানে তিনি ওলকচু বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত দরে। বাজারে খুচরা দরে ওলকচু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। নিজের বীজ থাকলে বিঘায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। ওল বিক্রি হয় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে। চলতি মৌসুমে তিনি ৪ লাখ কাছাকাছি ওলকচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমার সরকার জানান, খাদ্যাভাসে পরিবর্তনের কারণে এখন মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কচু জাতীয় ফসলের সংযোজন আবশ্যক হয়ে পড়েছে। সেই সাথে নিরাপদ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করণের ওপর সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় ও কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে এ ফসল চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় প্রতি হেক্টর জমিতে ২১-২২ মেট্ট্রিক টন ওলকচু উৎপন্ন হচ্ছে। বর্তমানে ওল পাইকারী ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজর ৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা প্রতি কেজি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এমন দর থাকলে চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা ১২১ হেক্টর জমি থেকে উৎপাদত ওলকচু প্রায় ৭ কোটি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেষ বিকেলে লুইস-অ্যাথানেজের 'আক্ষেপে' ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশে
রানআউট হজ,লুইসের ব্যাটে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জমকালো 'কনটেনন্ডার সিরিজ',কে কার বিপক্ষে লড়বেন?
তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল
অবশেষে ২৬ মামলার আসামি কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার
'জুলাই অনির্বাণ’ এ রক্তপিপাসু হাসিনার নির্মমতা দেখে কাঁদছেন নেটিজেনরা
দেশনেত্রীর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও সম্মান
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসহ সরকারের কাজের পরিধি বিশাল
অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারাই চলছে ফার্মেসি
নির্বাচন কমিশন গঠন : গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু
বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার কমেছে অর্ধেক, রাজস্ব আয় ও ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
মসজিদে পরে এসে ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া জায়েজ নেই
দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সুন্দর জীবন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ
যুগে যুগে জুলুম ও জালিমের পরিণতি
সালাম ইসলামী সম্ভাষণ রীতির এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ
করিমগঞ্জের নাম কি আদৌ শ্রীভূমি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেলো চীন
মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে টোকিও : বাড়ছে ভিড়