সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আহত ৩

১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১১ এএম

পাওনা টাকা নিয়ে সালিশ বৈঠক চলাকালে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আরো ৩ জনকে গুরুতর আহত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাজিব হোসেন (৩২) উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন- নবীপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোজাফফর হোসেন (৫০), তার ছেলে আক্তার হোসেন (৩০) ও জসিম উদ্দিন (৫৫)। আহতরা কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থল থেকে মারুফ (১৯) নামের একজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটককৃত মারুফ উপজেলার মোচাগড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
আহত আক্তারের স্ত্রী রাবেয়া জানান, তার ননদ নিলুফা বেগম উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের শিরিনা বেগমের থেকে ১০ হাজার টাকা ধার আনেন। ধারের টাকার জন্য বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। পাওনা টাকা জন্য বৃহস্পতিবার রাতে তার ননদ ও স্বামীকে তুলে নেয়ার জন্য শিরিন ৮/১০ জনের বখাটেদল নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়িতে আসে। এসময় আমাদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে নবীপুর বাজারে কামাল মাস্টারের অফিসে সালিশ বৈঠক বসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সালিশ চলাকালে অফিসের বাইরে শিরিনা বেগমের সাথে আসা মারুফ, মারফতসহ কয়েকজন রাবেয়া বেগমকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এসময় রাবেয়ার স্বামীর বন্ধু রাজিব রাবেয়াকে উঠাতে গেলে মারুফ, মারফত, কোমর থেকে ছুরি বের করে রাজিবের বুকে ও শরীরে এলোপাথারি কুপাতে থাকে।
এ সময় রাজিবকে বাঁচাতে আসলে তার বন্ধু আক্তার হোসেন ও তার বাবা মোজাফফর এবং কাকা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয়রা মারুফ নামের একজন হামলাকারী আটক করে এবং আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ওসি মাহবুবুল হক বলেন, হত্যার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

বিভাগ : অভ্যন্তরীণ