অকুস চুক্তি নিয়ে চীনের সতর্কবার্তা
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৬ পিএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৬ পিএম
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থায় (আইএইএ) নিযুক্ত বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ত্রিমুখী অকুস চুক্তির ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে।
শুক্রবার আইএইএ'র বোর্ড অব গভর্নরদের সামনে চীনা রাষ্ট্রদূত লি সং বলেছেন, আকুস চুক্তি পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ (এনপিটি) সম্পর্কিত ঐতিহাসিক চুক্তির "উদ্দেশ্য ও উদ্দেশ্যের পরিপন্থী" এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য হুমকি।
আইএইএ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান জানিয়ে লি বলেন, 'অকুস চুক্তি-সম্পর্কিত ঝুঁকির যথাযথ জবাব দেওয়ার জন্য তাদের যথেষ্ট প্রজ্ঞা, ধৈর্য এবং সংকল্প রয়েছে।
তিন মিত্র দেশের মধ্যে সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের সুবিধার্থে ২০২১ সালে ওয়াশিংটন, ক্যানবেরা এবং লন্ডনের মধ্যে অকুস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনী অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন পেতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
যদিও সদস্য প্রতিটি দেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি কোনও আনুষ্ঠানিক সামরিক জোট নয়। এটি কেবল প্রযুক্তি ভাগ করে নেওয়ার জন্য করা হয়েছে। বেইজিং এই চুক্তির নিন্দা করে দাবি করেছে যে, এটি কেবল এশিয়ায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করবে না বিশ্বজুড়েও পারমাণবিক অস্ত্র ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এ বছরের শুরুতে বলেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে তিনটি দেশ তাদের নিজস্ব ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ভুল ও বিপজ্জনক পথে আরও এগিয়ে গেছে। এই ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তির ক্ষতি করবে।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থাকে দেওয়া আগের মন্তব্যে লি যুক্তি দিয়েছিলেন যে আইএইএ'র বর্তমান সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম নয়। এই চুক্তি আইএইএ'র কর্তৃত্ব এবং সুরক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুতরভাবে আঘাত করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বারবার চীনকে আমেরিকার শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রায় মাসিক ভিত্তিতে চীনের কাছাকাছি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে চলেছেন। যদিও মার্কিন নেতা সম্প্রতি তার চীনা প্রতিপক্ষের সাথে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা করেছেন। তবে বাইডেন বৈঠকের পরপরই শি জিনপিংকে "স্বৈরশাসক" হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন, যার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলো বেইজিং।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছন্দ হারানো সিটি হারল ব্রাইটনের কাছেও
হাঁটুর চোটে মৌসুম শেষ মিলিতাওয়ের
ভিনির হ্যাটট্রিক,বেলিংহ্যামের গোলে ফেরার রাতে রিয়ালের জয়
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা
শারজাহতে ৩৪ বছরের অপেক্ষা ঘোচালেন শান্ত
প্রথম আঘাত তাসকিনের
সিলেটে ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের পরীক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
'ডিডি একা নয় হলিউডে এমন অসংখ্য রাঘব-বোয়াল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে'
শরণখোলায় বিএনপি.র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমাজকর্মী ফয়েজ উদ্দিন এমবিই
পাঠ্যবইয়ে মুসলমানদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রের নারী প্রেসিডেন্ট কি অধরাই থেকে যাবে?
গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণতন্ত্রের স্বার্থে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে
পরিবর্তনের হাওয়া লাগেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অফিস চালাচ্ছেন আওয়ামী কর্মকর্তারা !
ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করলেন লন্ডনে পলাতক আনোয়ারুজ্জামান
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধে কাজ করতে আগ্রহী ট্রাম্প
হতাশ মার্কিনিরা দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন
সহিংসতায় ফের উত্তপ্ত মণিপুর নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা
‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাচ্ছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়