ইউক্রেন যুদ্ধ,রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত প্রতিযোগিতা!
ইউক্রেনে যুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে এবং রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন কৌশলগত প্রতিযোগিতার সূচনা করেছে।ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবার হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার মাত্র দুই মাস আগে উভয় দেশ নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে।এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হল ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি এবং নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করা।
সম্প্রতি, রাশিয়া ইউক্রেনের উপর বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইউক্রেনকে নতুন সামরিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,যার মধ্যে দীর্ঘ-পাল্লার অ্যাটাকমস মিসাইল এবং অ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন অন্তর্ভুক্ত।
এটি উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার সৈন্যের উপস্থিতিকে মার্কিন প্রশাসনের "বড় উত্তেজনা" হিসেবে বিবেচনার পর নেওয়া একটি পদক্ষেপ।অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শর্তগুলো শিথিল করেছেন,যা যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের পরাজয় কার্যত অসম্ভব করতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই সপ্তাহে,রাশিয়া ইউক্রেনের উপর তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আক্রমণগুলি রাশিয়ার একটি "মনস্তাত্ত্বিক বার্তা" পাঠানোর অংশ।রাশিয়া মনে করছে, এই মুহূর্তে তাদের শক্তি ও অবস্থান ট্রাম্পের সাথে ভবিষ্যৎ আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।রাশিয়ার পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিও বেড়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়া এখন আরও জোরালো অবস্থান নিতে চাইছে,যাতে ট্রাম্পের সাথে আলোচনায় তারা শক্তিশালীভাবে নিজেদের দাবি রাখতে পারে। তবে ইউক্রেনের জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রাশিয়ার অগ্রযাত্রা রোধ করা।
এই সংঘর্ষের সমাপ্তি নির্ভর করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের উপর।ইউক্রেনের জনগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তারা তাদের সম্পূর্ণ ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এই যুদ্ধের ভবিষ্যত নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যসূত্র : বিবিসি