প্রশ্ন : আমার মা গত ২০১৭ সালে দীর্ঘ দিন কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা জঠিল রোগে ভুগে আমার উপর বেশ রাগ, অভিমান নিয়ে মারা গেছেন। মা খুব অসহায় অবস্থায় মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে তার প্রতি দায়িত্ব পালন করিনি। অনেক অবহেলা করেছি, রাগারাগি করেছি, তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করিনি। আমি এখন খুব মর্মাহত, ক্ষমা পাওয়ার উপায় আছে কি?
২২ মার্চ ২০২৫, ০১:২৯ এএম | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ০১:২৯ এএম

উত্তর : যে বিবরণ আপনি দিয়েছেন, এটি আপনার অনুশোচনা ও অনুতাপ থেকেই এসেছে। এরই নাম তওবা। আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে খুব কান্নাকাটি ও মিনতি করে তওবা ইস্তেগফার করতে থাকুন। যে অপরাধ আপনি করেছেন, সেটি মূলত মায়ের কাছে। কারণ, এটি ছিল বান্দার হক। আল্লাহর নয়। আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনার আম্মাকে রাজী করিয়েও আপনাকে মাফ করতে পারেন। তবে আপনার অপরাধের নাম ‘ওকুকুল ওয়ালিদাইন’। যা শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। বড় ছেলে হিসাবে মায়ের প্রতি এত অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা কেন দেখালেন? আপনার এ আচরণ অনেকটাই অমানবিক নির্মমতার পর্যায়ে পড়ে। আপনার গুনাহ আল্লাহ মাফ করবেন। তবে, মায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া বাকি রয়ে গেছে। মা হয়তো অভিমান করে চলে গেলেও আপনাকে ক্ষমা করেও দিয়েছেন। মায়েরা এমনই হয়। এরপরও আপনার জন্য তিনটি পথ শরিয়তে খোলা আছে। ১. মায়ের জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। ২. দান, সদকাহ, নফল ইবাদত ইত্যাদির মাধ্যমে মায়ের নামে সওয়াব পাঠানো। ৩. নিজের ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে আজীবন রোনাজারি করে যাওয়া। যা প্রথমেই বলা হয়েছে।
প্রশ্ন : গত বছর আমার শ্বশুর মারা যান। আমার শ্বশুরের কোন ছেলে নেই। এমতাবস্থায় আমার শাশুড়ী আমাকে নিয়ে পবিত্র হজ্জ পালন করতে চান। আমার হজ্জের খরচ তিনি বহন করবেন। এটা কতুটুকু শরীয়ত সম্মত? আবার আমি কি আমার শ্বশুরের বদলী হজ্জ করতে পারব?
উত্তর : শাশুড়ীকে সাথে নিয়ে মেয়ের জামাতা হিসাবে আপনি হজ্জ পালন করতে পারেন। কারণ, আপনি তার মাহরাম (মাহরাম এমন আত্মীয়কে বলে যার সাথে বিয়েশাদি চিরতরে হারাম)। মহিলাদের হজ্জের সফরে মাহরাম থাকা জরুরী। যদি সহজে মাহরাম হজ্জ যাত্রী পাওয়া যায়, তাহলে মহিলাদের হজ্জ ফরজ হয়। অতএব, অনেক সময় দেখা যায়, মহিলারা দু’জনের খরচ জোগাতে পারলেই তাদের হজ্জ ফরজ হয়। যদি এমনিতেই মাহরাম পুরুষ নিজে হজ্জ যাত্রী হয়, তখন মহিলাদের একটি হজ্জের খরচ থাকলেও হজ্জ ফরজ হয়ে যায়। তিনি আপনার ব্যয় বহন করতে পারেন। প্রথম হজ্জটি হবে আপনার নিজের। খরচ যেই দিক, নিয়ত অনুযায়ী হজ্জ হবে। পরে অন্য সময় বদলি হজ্জ করবেন। অবশ্য নিজে হজ্জ পালন করার আগেও অন্যের বদলি হজ্জ করা জায়েজ। আপনার ওপর হজ্জ ফরজ হয়ে থাকলে শাশুড়ীকে বুঝিয়ে তার সাথে নিজের হজ্জটি করে নিন। আবার আপনি অবশ্যই বদলি হজ্জ করতে পারবেন। এটিই বরং বেশি নিয়মসিদ্ধ হবে।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সল্ট-কোহলির ঝড়ে অন্যরকম শুরু বেঙ্গালুরুর

চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি

‘বিদেশি’ আনছে ভারতও!

কর্ণফুলীতে বন্যহাতির আক্রমণে শিশুর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত

ঝিনাইদহে জমে উঠেছে ঈদের বাজার ক্রেতাদের ঝোঁক দেশি পোশাকে

সুশীল বিপ্লবীরা আ.লীগের পুনর্বাসন করতে চায় : রাশেদ খান

ধানমন্ডিতে নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরীরের ৭ সদস্য রিমান্ডে

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৯০% ভোট পেয়ে বিএনপি জয়লাভ করবে : কায়কোবাদ

আপন চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৪ বছরের বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে : মাহমুদুর রহমান মান্না

টিভিতে দেখুন

অমর একুশে হল ছাত্রদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিশ্বকাপে এক পা আর্জেন্টিনার

মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ায় হাফেজ ছেলের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নামাজরত অবস্থায় বাবা নিহত

‘‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ কিংবদন্তি জর্জ ফোরম্যান আর নেই

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে : নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী

৬ এপ্রিল ক্যাম্পে ফিরছেন সাবিনারা

আর্জেন্টিনা ম্যাচে ‘বেকার’ আলিসনও

ইউট্যাবের ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়ার সুস্থতার কামনা