এ সপ্তাহের পদাবলী
১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম

বউ বরণ
মুকুল মুহাম্মদ
বয়সের আলমারিটা খইস্যা পড়ছে
জলের গহিনে যেমন জলের ছায়া
সময়ের অন্দরে তেমনি বয়সের মায়া।
মাইজ্যা পুলার বউ বরণ, ছোট খালার অনুরোধে সরস্বতী কুলা কিনি, দুবলার কুশি আর চাউলের মুষ্ঠি
ভবিষ্যতের গোষ্ঠী উদ্ধার কইর্যা আসমানে তুলবো।
ও ছাদুর বাপ, কলসি ভইর্যা পানি আনো
গামছাডা য্যান লাল হয় বায়ান্নর মতন।
ফজর মাদবরের কুনজর এ্যাড়াইয়া বউডারে ঘরে তুলতে হইবো,
গেল রাইতে মুরুব্বীরা শপথ পড়াইছে, বিয়ের পিঁড়িতে
গামছা গলায় শপথ, বউ হইবো বউ,বীরাঙ্গনার ভাত নাই
এই এক টুকরা জমিনের রক্ষা করা চাই।
বেকারত্বের বোঝা
ফজিলা ফায়েজ
হতাশার ছায়া গলিতে পড়ে আছে বেকারত্বের বোঝা
প্রতিটি সকালের সূর্য তিক্ত
টং দোকানের মোড়ে গায়ের চাচা জিগায় বাপজান খবর টবর কিছু হলো, ধোঁয়া ওঠা চায়ের চুমুক বছর তিনেক আগে থেকে হামার চ্যাংড়া পাটির বড় নেতা, রহিমের মা বুবু, আর কতদিন ঘুটঘুটে আঁধারে দিন পার করবে, পায়ের তলার স্যান্ডেল ধুলায় খায়, প্রতিভা যেখানে বিলীন, বুবু, দিনের স্বপন কি সত্যি হয়,
দূর হও হতচ্ছাড়া, ঘড়ির অ্যালার্ম বেজে ওঠে
এত দূরের পথ, বাপজান বেলা ডুবলে
সন্ধের বাতি জ্বলে তবে।
স্বভাব
নূর মোহাম্মদ দীন
হেমন্ত এহন আর আমাগো পাড়ায় আহে না, হেমন্ত আহে শহরে; সকাল-সন্ধ্যায় হেমন্ত নামে, শহরের গলিতে গলিতে পিঠার দোহানে, শুঁটকি বা সর্ষে ভর্তায় চিতই পিঠা গিলে গিলে খায়, গ্রামে বেড়ে ওঠা শহরের বড় বড় স্যারেরা; ভাপা, পিঠায় তৃপ্তি গিলে স্যারদের লালসা। কী যুগ এলো রে বাবা মুলার মূল্যও ঊর্ধ্বগতি! স্টেশনের পাগলিটা বাজারে যায় না-বাজারেই থাহে, খাবার কুড়ায় দোহানে দোহানে, পথে পথে, হাত পেতে স্যারদের ডাস্টবিনে-গন্ধবনে। পাগলি ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে দ্যাখে সব, শুধু কিছু মনে রাখে না বলেই ভোর হয় অন্ধকারে, আর মনে রাখেন বলেই পাগল হয় না বড় স্যারেরা। পাগলির হাত লম্বা হলেই বড় স্যারেরা, বেনসন ফুঁকে ফিরিয়ে দেয়- ‘নাইক্যা সামনে যা...’ পাগলি কয়- ‘তোমরা বাজার বোঝ,
বেনসন বোঝ, কিন্তু...
অসময়ে সময়
আবু ইউসুফ
বড় অসময়ে এলো সময়
সময়ে বাজেনি ঘন্টা, জীবনটাই অদ্ভূত, অয়োময়
পাহাড়েও স্থির নয় মনটা।
আজ ঘন্টা বাজায় সময়ের বৃহন্নলা
পেতে চেয়ে পরিপূর্ণ তৃপ্তি, জলের ঘর্ষণে কর্ষণে , ছড়ায় কি প্রদীপের দীপ্তি?
বোহেমিয়ান থেকেছে সে আজীবন, ময়দানে আঁটোসাটো লড়েনি, বুভুক্ষু হৃদয়ে যতনে কভু
কুসুমিত মিনার গড়েনি, বেলা শেষে আজ কড়া নাড়ে দ্বারে, ভিখ মেগে প্রেম নেয় দত্তক, ফলভোগী মৌসুমে, জেগে ওঠে তার অজেয় সংশপ্তক।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রাঙা সকালে শাবনাজের না বলা কথা

জে-হোপের সুইট ড্রিমস

ঈদে চ্যানেল অইতে ৭ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার

বিশাল আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে জেমসের কনসার্ট

অ্যাভাটারের তৃতীয় পর্ব মুক্তি পাবে ১৯ ডিসেম্বর

মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে রুল

কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরির চেষ্টা করছে : মির্জা আব্বাস

জুলাই-আগস্টে ঢাবি ক্যাম্পাসে সহিংস ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন ভিসির কাছে হস্তান্তর

বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাক্বওয়ার শিক্ষা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে Ñজমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন উপসচিব রেজাউল করিম

চার্চের শিক্ষক সুব্রত বৈদ্য হত্যায় সব আসামি খালাস

জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে কর্মবিরতি

আছিয়ার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য লজ্জাজনক : ইউট্যাব

সংস্কার সুপারিশ নিয়ে মতামত দিয়েছে ৭ দল, ১৬ দল সময় চেয়েছে

ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স সুপারভাইজার সমিতি গঠিত

রামপালে অবাধে চলছে ঘের দখল ও চাঁদাবাজি

মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার

সুন্দরবনের কাঠসহ ১০ চোরাকারবারী আটক

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

নোবিপ্রবিতে ৮০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন উদ্বোধন