জসীম উদ্দীন পল্লীকবি কিন্তু গ্রাম্য কবি নন
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯ এএম | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯ এএম
পল্লীকবি জসীম উদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬) রবীন্দ্রত্তোর বাংলা কবিতায় অন্যতম প্রধান মৌলিক কবি। বিষয়ের অভিনবত্বে এবং করণকৌশলের অত্যাশ্চর্য বিন্যাসে তিনি বাংলা কাব্যভূবনে সঞ্চারিত করেছেন নবতর আবহ। গ্রামীণ সহজ-সরল ও অনাড়ম্বর জীবনকে কবিতার বিষয়বস্তু হিসেবে নির্বাচন করেছেন তিনি। পল্লী বাংলার শষ্য, শ্যামল প্রকৃতি ও পল্লী নর-নারীর জীবনের প্রাত্যহিক আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ, বিরহ-মিলনের চিরন্তন গাঁথা তাঁর কবি কল্পনাকে উদ্দীপ্ত করেছে। আধুনিক মার্জিত রুচি ও সচেতন দৃষ্টি নিয়েই তিনি উপমা, উৎপ্রেক্ষা, রূপক প্রভৃতি অলঙ্কার ব্যবহার করেছেন তাঁর কাব্যে।
জসীম উদ্দীন দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে রবীন্দ্রানুসারীদের অনেকটা স্বগোত্রীয় হলেও নানাদিক থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যম-িত। তিনি পল্লীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন অন্তরধর্মের প্রেরণায়। পল্লী তাঁর কাছে শান্তি ও সৌন্দর্যের আশ্বাসমাত্র নয়, একান্ত সহজ-সরল, স্বাভাবিক পরিবেশ। এ পরিবেশেই তিনি লালিত-পালিত ও বর্ধিত। তাঁর সমগ্র ব্যক্তিত্ব আচ্ছন্ন করে রেখেছে পল্লীর উদার শ্যামল রূপ। পল্লী যেন তাঁর আত্মার আত্মীয়। তাই কোনো যুগ সমস্যার কথা উল্লেখমাত্র না করে, কোনো ইজম্রে দোহাই না দিয়ে তিনি দেশের গণমানুষের অন্তর্নিহিত শক্তিকে কাব্যে রূপায়িত করতে সক্ষম হয়েছেন।
গ্রাম ও গ্রামীণ জনসাধারণের সুখ-দুঃখের বর্ণনায় জসীম উদ্দীনের ঐকান্তিক আগ্রহ মোটেই আরোপিত নয়। কারণ জনসম্মূখে তিনি ছিলেন পল্লীবাসী। ঐতিহ্যসূত্রেও তিনি সম্পর্কিত ছিলেন গ্রামীণ গীতি-গাঁথা ও রূপকথার সঙ্গে। পল্লীর সঙ্গে তিনি সুনীবিড় একাত্মতা অনুভব করেছেন। এর রূপ, রস-মোহ-গন্ধে হয়েছেন বিমোহিত। পল্লীর প্রাত্যহিক হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার সঙ্গে আশৈশব তিনি ছিলেন পরিচিত। এ পরিচয়কে তিনি খ-কাব্যে ও কাহিনি কাব্যে শিল্পম-িত করে পরিবশেন করতে সক্ষম হয়েছেন। এতদ্প্রসঙ্গে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘কবিতায় জসীম উদ্দীনই প্রথম গ্রামের দিকে সংকেত, তাঁর চাষা-ভূষো, তাঁর ক্ষেত খামার, তাঁর নদী-নালার দিকে; তাঁর অসাধারণ সাধারণতার দিকে; যে দুঃখ সর্বহারার হয়েও সর্বময়, যে দৃশ্য অপজাতের হয়েও উঁচুজাতের।’ (কল্লোল যুগ)
পল্লী জীবনের সঙ্গে নিবিড় একাত্মতার প্রেক্ষাপটে কবিতায় তাঁর যে উচ্চারণ তা একান্তভাবে হৃদয়স্পর্শী। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭)-এর দৃষ্টান্ত। এ কাব্যে পল্লীবাসীদের বিচিত্র দুঃখ-বেদনাকে তিনি পরিবেশন করেছেন। প্রেম-ভালোবাসা-বিরহ-মিলনপূর্ণ বিচিত্র মানব জীবনই এ কাব্যে ভাষারূপ পেয়েছে। কৃষিনির্ভর বিপুল জনসাধারণকে তিনি এ কাব্যে অঙ্কন করতে যে প্রয়াসী ছিলেন, তার প্রমাণ পাওয়া যায় এ কাব্যের নামকরণের মধ্যেই। ‘রাখালী’র ‘রাখল ছেলে’ কবিতায় একজন রাখালের দৈনন্দিনতা উন্মোচন করেছেন এভাবে : ‘খেলা মোদের গান গাওয়া ভাই, খেলা লাঙ্গল চষা/সারাটা দিন খেলতে জানি, জানিনেকো বসা।’
অভাবগ্রস্ত গ্রামীণ মানুষের চালচিত্র অঙ্কনে জসীম উদ্দীন এ কাব্যে বিস্ময়কর পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ‘কত কথা আজ মনে পরে মার, গরীবের ঘর তার/ছোট খাট কত বায়না ছেলের পারে নাই মিটাবার/আরঙের দিনে পুতুল কিনিতে পয়সা জোটেনি তাই/বলেছে আমরা, মুসলমানের আরঙ দেখিতে নাই।’ (পল্লী জননী)
তাঁর এ পারদর্শিতা পরবর্তী কাব্যগ্রন্থ ‘বালুচরে’ও (১৯৩০) প্রত্যক্ষ করা যায়। এ কাব্যে পল্লীর আবহ চিত্রণের পাশাপাশি মানুষের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ প্রকাশিত হয়েছে। ‘বালুচরে’র ‘বাঁশরী আমার’ কবিতায় তিনি পল্লীর জীবনচিত্রকে ভাষারূপ দিয়েছেন এভাবে : ‘বাঁশরী আমার হারায়ে গিয়েছে/বালুর চরে/কেমনে ফিরিব গোধন লইয়া/গায়ের ঘরে।’ ‘ধানক্ষেত’ (১৯৩২) কাব্যে কবি ফসলের সঙ্গে গ্রামীণ মানুষের সম্পর্ক আবিষ্কার করেছেন অত্যন্ত চমৎকারভাবে; ‘ধানক্ষেত’ কবিতায় : ‘হেথায় নাহিকো সমাজ-শাসন, নাহি প্রজা আর সাজা/ মোর ক্ষেত ভরি ফসলেরা নাচে আমি তাহাদের রাজা।’
গ্রাম আর গ্রাম অর্ন্তগত মানুষ, তাদের চালচিত্র, প্রত্যাশা-অচরিতার্থতা প্রভৃতি বর্ণনায় জসীম উদ্দীনের কবিতাগ্রন্থসমূহ অতুলনীয়। এর একমাত্র কারণ পল্লী জীবনের সঙ্গে তাঁর সুনিবিড় আত্মীয়তা। যতদিন তিনি তাঁর কবিতায় পল্লী জীবনের বর্ণনায় একাত্ম ছিলেন, ততদিন সুন্দর ও ঘনিষ্ঠভাবে তিনি চিত্রিত করেছেন পল্লী মানুষের সুন্দর হাসি-আনন্দ, ব্যথা-বেদনাময় জীবন। তিনি ‘রূপবতী’ (১৯৪৬) কাব্যের পর্যায়ে এসে তাঁর কবিতায় অর্ন্তভূক্ত করলেন আধুনিকতা। অবশ্য আধুনিক উপায় উপকরণ ধারণ করেও তাঁর কবিতা এ পর্যায়ে সত্যিকার অর্থে আধুনিক হয়ে ওঠে নি। কাব্যেও আধুনিকতা শুধু যে বক্তব্যেও অভিনবত্ব নয়, টেকনিকের পরিবর্তনও দাবি করে এ সত্য তিনি অনুধাবন করেছেন পরবর্তী কাব্যগ্রন্থ ‘মাটির কান্না’ (১৯৫১) পর্যায়ে। এ কাব্যে তিনি গ্রামীণ জীবনকে পরিবেশনের সূত্রে নিয়ে এসেছেন ইসলামী ঐতিহ্য ও ভারতীয় পুরাণ।
খ-কাব্যের মতো কাহিনি কাব্যেও জসীম উদ্দীন আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পল্লী জীবন ও প্রকৃতিকে তুলে ধরেছেন। ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ (১৯২৯), ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ (১৯৩৩) ‘সকিনা’ (১৯৫৯), ‘মা যে জননী কান্দে’ (১৯৬৩) প্রভৃতি কাব্যে পল্লী প্রকৃতির চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। এ কাব্যসমূহে তিনি নর-নারীর মৌল আবগগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছেন। ব্যক্তি ও সমাজের বৃহত্তর পটভূমিতে জীবনের জটিলতা অনুধাবনের কোনো চেষ্টাই সেখানে পরিলক্ষিত হয় না। এখানেই তাঁর কাহিনি কাব্যের বিশিষ্টতা।
‘নকশী কাঁথার মাঠ’ কাব্যে রূপা ও সাজুর বিবাহ, বিবাহ পরবর্তী দূর্যোগ-দুর্বিপাকের বর্ণনায় কবি গ্রামীণ উপায় উপকরণকে অত্যন্ত জীবন্ত করে উপস্থাপন করেছেন। সাজু ও রূপার বিবাহের আনন্দ উল্লাসের যে চিত্রটি এ কাব্যে পরিবেশিত হয়েছে, তা বর্ণনার গুণে হয়ে উঠেছে বাস্তব : ‘বিয়ের কুটুম এসেছে আজ সাজুর মায়ের বাড়ি/কাছারী ঘর গুম-গুমা গুম, লোক হয়েছে ভারি/গোয়াল-ঘরে ঝেড়ে পুছে বিছান দিল পাতি/বসল গাঁয়ের মোল্লা মোড়ল গল্প-গানে মাতি।’
‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কাব্যে দুলী ও সোজনের প্রণয় সম্পর্ক চিত্রণে তিনি পল্লী আবহের সঙ্গে সমীপৃত করে সুন্দর মনোরম ভাষায় বর্ণনা করেছেন। নায়িকার রূপের বর্ণনায় তিনি ব্যবহার করেছেন পল্লী অনুষঙ্গ : ‘ধানের আগায় ধানের ছড়া, তাহার পরে টিয়া/নমুর মেয়ের গায়ের ঝলক সেই না রঙ নিয়া/দুর্বাবনে রাখলে তারে দুর্বাতে যায় মিশে/মেঘের ঘাটে শুইয়ে দিলে খুঁজে না পাই দিশে।’ (সোজন বাদিয়ার ঘাট)
কবি জসীম উদ্দীন গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতি নিয়ে তাঁর শিল্পকর্ম রচনা করলেও প্রকরণে ও পরিচর্যায় তিনি ছিলেন আধুনিক। বাংলা কবিতার আধুনিক রীতি পদ্ধতিকে অস্বীকার করেছেন তিনি তাঁর কাব্যে। পল্লীগীতি-গাথার শব্দ, বাক্য অলঙ্কার ও ছন্দের সংমিশ্রণে তিনি যেকাব্য ধারার সৃষ্টি করেছেন তা উচ্চাঙ্গের শিল্পবোধের পরিচয়বাহী। পল্লীর সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা প্রকাশের জন্য তাঁর ভাষা নিঃসন্দেহে সার্থক। সর্বসাধারণের গ্রহণযোগ্য করার জন্য তিনি পল্লী অনুষঙ্গদ্যোতক অত্যাবশ্যক শব্দগুলোকে বর্জন না করে তার সঙ্গে মার্জিত ভাষাকে সুকৌশলে কাব্য শরীরে সন্নিবেশিত করেছেন। অনায়াস স্বাচ্ছন্দে তিনি গ্রামীণ শব্দ ব্যবহার করেছেন : ‘শেয়াল চলে শ্বশুর বাড়ি খালুই মাথায় দিয়ে।’
বিভিন্ন অলঙ্কার নির্মাণে তাঁর আধুনিক সচেতনতার পরিচয় লক্ষণীয়। অনুপ্রাস : ‘মাঝখানেতে জলীর বিলে জলে কাজল জল।’ উপমা : ‘লাল মোড়গের পাখার মতো ওড়ে তাহার শাড়ী।’ উৎপ্রেক্ষা : একটি মেয়ে লাজুক বড় মুখর আর একজন/লজ্জাবতী লতা যেন জড়িয়ে গোলাপ বন।’(কৃষাণী দুই মেয়ে, ধানক্ষেত) রূপক : ‘চলে বুনোপথে জোনাকী মেয়েরা কুয়াশা কাকন ধরি।’ সমাসোক্তি : আমার সাথে করতে খেলা প্রভাত হাওয়া ভাই /সরষে ফুলের পাপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই।’ (রাখাল ছেলে, রাখালী)
অধ্যায়ের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কোনো বিখ্যাত উদ্ধৃতি, অর্থাৎ এপিগ্রাফ জুড়ে দেয়া আধুনিক সাহিত্যের অন্যতম রীতি। এর প্রয়োগ দেখা যায় জসীম উদ্দীনের নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ প্রভৃতি কাব্যের বিভিন্ন অধ্যায়ের শুরুতে। এ এপিগ্রাফের সংযুক্তি তাঁর আধুনিক কবি মেজাজের পরিচয় বহণ করে। সমালোচক হাসান হাফিজুর রহমান তাঁর ‘আধুনিক কবি ও কবিতা’ গ্রন্থে এক বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের সঙ্গে জসীম উদ্দীনের সাযুজ্যু দেখিয়েছেন।
সার্বিক বিবেচনায় এ কথা বলা যায় যে, জসীম উদ্দীন তাঁর কবিতায় বাংলার অবহেলিত পল্লীর জীবন ও প্রকৃতিকে শিল্প-সাহিত্যের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেছেন। কবিতার করণকৌশলের মধ্যেও তিনি গ্রাম্য আবহকে এনেছেন। একারণে পল্লীকবি হিসেবে পরিচিত হলেও গ্রাম্য ও লোককবি তিনি নন। উপমা. উৎপ্রেক্ষা, রূপক প্রভৃতি অলঙ্কার প্রয়োগে যথেষ্ট অনুশীলনে, এপিগ্রাফ ব্যবহারে, কাব্য কাহিনি নির্মাণে, উপন্যাসের গঠনরীতি অনুসরণে, নাগরিক রুচিবোধের পরিচয়ে তাঁর আধুনিক কবি সত্ত্বাই শেষাবধি জয়ী হয়েছে। এজন্য এ কথা বলা খুবই সঙ্গত যে, জসীম উদ্দীনের কাব্যে গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতি রূপায়িত হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন আধুনিক কবি।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান