৮০৩ জন এসআইয়ের পাসিং আউট হবে, যার মধ্যে দুই'শ জনের বাড়িই গোপালগঞ্জে: রিজভী

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যেহেতু ছাত্র জনতার সরকার নিরপেক্ষতার সরকার বটে। কিন্তু নিরপেক্ষ সরকারের যে আবরণ সেই আবরণের নিচে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশসহ অনেক কর্মকর্তা আছে স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদের দোসর। ক'দিন পরেই পাসিং আউট হবে পুলিশের ৮০৩ জন সাব ইন্সপেক্টর। যারা পাসিং আউট হওয়ার পরে বিভিন্ন কাজে যোগদান করবে। এখানে ৮০৩ জন আছেন শুধু সাব ইন্সপেক্টর আর ক্যাডার সার্ভিসের আছেন ৬৩/৬৪ জন, তারা সবাই শেখ হাসিনার আমলের নিয়োগ। এই ৮০৩ জন সাব ইন্সপেক্টরের মধ্যে ২০০ জনই হচ্ছে শুধু গোপালগঞ্জের লোক। তাহলে এখানে কোন নিরপেক্ষভাবে যাচাই-বাছাই হয়েছে? এখানে নিরপেক্ষভাবে কোন কম্পিটিশন হয়েছে, হয়নি । আরো অনেক ঘটনা আছে যেটা বললাম না। এসপির ৬২/৬৩ জন আর ৮০৩ জন সাব ইন্সপেক্টর এরা কারা?কি করে এক জেলার গোপালগঞ্জের ২০০ জন লোক সাব ইন্সপেক্টরে ঢুকতে পারে। আর বাদবাকি লোক কারা? এরা সব ছাত্রলীগ -যুবলীগ। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই আবার পুনঃতদন্ত করুন। এই ৮০৩ জন সাব ইন্সপেক্টর এবং এতোগুলো এএসপি তারা ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত সাপ হয়ে গোটা বাংলাদেশকে নীল বিষে ভরিয়ে দিবে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরের আমির কমপ্লেক্সের সামনে ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে এক কর্মসূচিতে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। এই কর্মসূচি একটা সমাবেশে রূপ নেয়। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। পরে রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।
এর আগে কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, আপনারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতার দাবি করছেন। ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দিয়ে তো এই সরকার। এই সরকারকে সবাই সমর্থন জানিয়েছে। সেটা আপনার দেখার দরকার নাই? এক জেলার যদি ২০০ জন সাব ইন্সপেক্টর হয় , তাহলে এখানে কি পরিমাণ জালিয়াতি করেছেন শেখ হাসিনা। তা খতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, এই যে কোটা আন্দোলন করল ছাত্ররা আত্মাহতি দিল, শার্টের বোতাম খুলে শেখ হাসিনার র‍্যাবের সামনে তারা দাঁড়িয়ে বুলেট বরণ করেছে। একজন মারা গেছে তার পাশে আরেকজন দাঁড়িয়েছে আমাকে মারো। এই যে আত্মদান , এই যে নিজের জীবন দিয়ে একটা মহান গণতন্ত্রের শুভ সূচনার যে বার্তা, সেই রক্তের সঙ্গে যারা বেইমানি করবে, এই বেইমানি তো মানুষ মেনে নেবে না। এটা তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেখা দরকার। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদকে বিস্তার করার জন্য যাতে আর কেউ টু' শব্দ করতে না পারে সেজন্য তারা পুলিশ প্রশাসন তৈরি করেছে। এজন্য তারা র্যাব তৈরি করেছিল তার নমুনা হচ্ছে এইটা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গোটা বাংলাদেশকে যেন গণ কবরে পরিণত করেছিল। শেখ হাসিনার সেই গণকবরে আর এ দেশের জনগণ যেতে চায় না।
রিজভী বলেন, আইনের শাসন কোথায়? আইনের শাসন আমরা আকাশের তারার মতো দেখতে পাই। ন্যায়বিচার আকাশের তারা যেমন দেখা যায়, ধরা যায় না সেই রকম আমরা দেখতে পেতাম। না ছিল ন্যায়বিচার, না ছিল আইনের শাসন , না ছিল কথা বলার স্বাধীনতা। কথা বলার স্বাধীনতা থাকলেই তার স্থান হতো কারাগারের মধ্যে। সাইবার নিরাপত্তা অ্যাক্টের নামে কত সাংবাদিক, কত মুক্ত চিন্তার মানুষ, কত মানুষ যারা ফেসবুকে কমেন্ট করেছে শেখ হাসিনার বিষয়ে বা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোন বিষয়ে তাকে ধরে নিয়ে গেছে রাতের অন্ধকারে। এবং সেখান থেকে মা বোন কেউ বাদ যায়নি। যখন আমাকে কারাগার থেকে কোর্টে নিয়ে এসেছিল, তখন দেখেছিলাম এক মহিলাকে। নাম তার খাদিজা। তখন সে কারাগারের মধ্যে বদ্ধ ঘরে এক দুর্বিষহ জীবন যাপন করেছে। এই ছিল শেখ হাসিনার আমল। আমি আয়না ঘরের কথা কথা না হয় বাদই দিলাম। আয়না ঘরে সাত বছর, নয় বছর কত লোক যে ধরে রেখেছে, সেখান থেকে চিরদিনের জন্য অদৃশ্য করে দিয়েছে তার কোন ঠিক নেই।

সিন্ডিকেটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করে জনগণকে স্বস্তি দিন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমাদেরকে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে হবে। মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলছি, এখনো মার্কেট সিন্ডিকেট যারা করে আছে তাদেরকে কেন ধরছেন না? কেন পেঁয়াজের দাম বাড়বে, কেন কাঁচা মরিচের দাম বাড়বে, কেন সয়াবিন তেলের দাম বাড়বে, কেন সব কিছুর দাম বাড়বে? আপনাদেরকে তো জনগণের কাছ থেকে শুভেচ্ছা দেওয়া হয়েছে , সমর্থন দেওয়া হয়েছে। তবে কেন দাম বাড়বে? সিন্ডিকেটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করে জনগণকে স্বস্তি দিন।
তিনি বলেন, গত জুলাই -আগস্টে যে আন্দোলন যেখানে শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছে, সেখানে রিক্সাচালক মারা গেছে না? তার পরিবার খাবে কি। আমি নিজেও ১৪ জন নিহত রিক্সাওয়ালার বাড়িতে গিয়েছি।, দেখেছি। আরো কত যে শ্রমিক মারা গেছেন। তাদের উপার্জনের কেউ নেই। সে পিঁয়াজ কিনবে কি করে? সয়াবিন তেল কিনবে কি করে? সে কাঁচা বাজারের জিনিসপত্র কিভাবে কিনবে? এগুলো আপনাদেরকে মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে। শুধু নিরপেক্ষতার কথা বলে চুপচাপ থাকলে মানুষের ক্ষোভ কিন্তু প্রশমিত থাকবে না।
ডেঙ্গুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে যদি জনগণের ভোট হতো তাহলে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করত তাবির আউয়াল। ডেঙ্গুর এই পরিস্থিতি অত্যন্ত তারা (দলীয় নেতাকর্মীরা) গুরুত্ব সহকারে প্রচার করছেন। বিএনপি জনগণের দল, মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। ডেঙ্গু আজকে মহামারী আকারে ভয়ঙ্কর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ঢাকায়। এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রয়োজনে আরো কিছু ব্যবস্থার জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি কাজ করছে। ডেঙ্গু রোগাক্রান্ত রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়, প্রয়োজনীয় ওষুধ লাগে তা নাহলে কাজ শুরু করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কারন আমাদের দেশে হাসপাতালে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। একটা মহামারী হলে সেজন্য প্রয়োজনীয় বিছানা দেওয়া, বেড দেওয়া এগুলো নেই। এগুলোর সচেতনতা অত্যন্ত দরকার।
রিজভী বলেন, আমরা যদি আগাম প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে পারি, যদি আমাদের বাসার ভিতরে যে ফুলের টপ আছে, যেখানে স্বচ্ছ পানি লাগে পরিষ্কার পানি লাগে, এই ডেঙ্গু রোগকে ঠেকাতে হলে এই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানির দরকার নেই। কোথাও যেন স্যাঁতস্যাঁতে না থাকি। ঘরের মেঝে যেন শুকনো থাকে। ফ্রিজের নিচে এবং এসির নিচে মাঝেমধ্যে লিক করে পানি পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে পানি মুছে ফেলতে হবে। বালতির নিচে যাদের পানি জমে থাকা, সেই পানি মুছে ফেলে বালতি উল্টে করে রাখতে হবে। যে হাঁড়ি বা বাতিলে রান্না করা হয় তা রান্নার পরে উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি জমতে না পারে। আরো আগাম প্রস্তুতি আছে, দেশের বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিএনপি লিফলেট তৈরি করেছে, সেটা নেতৃবৃন্দ জনগণের মাঝে পৌঁছে দেবে।
তিনি বলেন, এখন তো শেখ হাসিনা নেই, স্বৈরাচার নেই ফ্যাসিস্ট নেই। জনগণের জন্য বিএনপি অনেক ধরনের কাজ করেছে, অনেক সচেতনতামূলক কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু পুলিশ করতে দিতো না, র্যাব করতে দিত না, যুবলীগ -ছাত্রলীগ অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করত। সে জায়গা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া গেছে। ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার পেয়েছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যেখানে সরকারের প্রধান ড. ইউনূস, সেখানে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। শেখ হাসিনার আমলে করোনার সময় যে চাল দেওয়া হয়েছিল, সেই চাল আওয়ামী লীগের নেতার চৌকির নিচে পাওয়া গেছে, খাটের নিচে পাওয়া গেছে। রান্নার জন্য যে তেল দেওয়া হয়েছিল, তা পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের নেতা যারা স্থানীয় চেয়ারম্যান তাদের বাড়িতে বাড়িতে। কিন্তু এটা তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এই সরকারের দায়িত্ব আরো বেশি। জনগণ যাতে কোন মহামারিতে মৃত্যুবরণ না করে সেজন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধের সমস্ত ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে বেড বাড়াতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য যত ধরনের সরঞ্জাম আছে সেটির ব্যবস্থা করতে হবে।
রিজভী বলেন, হরিলুট করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। টাকা পাচারের সরকার ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। যারা জনগণকে তোয়াক্কা করত না, জনগণের টাকা ডাকাতি করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে নিজেদের লোকদের দিয়েছে। সামিট গ্রুপ অরিয়ন গ্রুপ, না হলে শেখ হেলালের বন্ধু, না হলে শেখ রেহানার আপনজন তাদেরকে দিয়ে এগুলো করেছেন। তারা কি ডেঙ্গু নিধণ করবে? ২০২০ সালে করোনা কি নিধন করেছিল? করোনার জন্য ত্রাণ তারাই আত্মসাৎ করেছিল। দক্ষিণের মেয়র কে? শেখ হাসিনার আপন ভাতিজা। সে শুধুমাত্র দুপুরের খাবার তার বাসা থেকে সিটি কর্পোরেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেছেন। এক মাসের কথা বলছি। তেল ব্যবহার করেছেন এবং ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছেন যেতে। শুধু ভাত আনার জন্য সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছে। তারা কি জনগণের জন্য কাজ করার জন্য গিয়েছে? তারা তো গিয়েছে দেশটাকে তাদের নিজস্ব তালুকদারি করার জন্য। ওরা মনে করত আপনার টাকা আপনার বাড়ি সব হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাপ্য। এই কারণে যাদের যেখানে যাকে পেয়েছে, যাদেরকে তাদের বিরোধী মনে করেছে, যারা অসহায় মানুষ তাদের সর্বোচ্চ কেড়ে নিয়েছে তারা।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে , জাতীয়তাবাদী আদর্শের সকল নেতা- কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গত ১৭ বছর যে আন্দোলন করেছেন, সে আন্দোলনের সফলতা হিসেবে গত জুলাই- আগস্টের ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে‌ বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। গত সতেরো বছরে বাংলাদেশে যখনই কোন দুর্যোগ এসেছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য জনগণের পাশে ছিলেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে আপনারা দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচন দিবেন। গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি।
বাংলাদেশের জনগণের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন চায়।বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়। তাই অনতিবিলম্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিবেন। যে নির্বাচনে জনগণ জনগণ ভোট দিবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে । তখনই পরিপূর্ণ গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আজকে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে চলবে না, আমাদের এন্টিবায়োটিক পদ্ধতি চলতে হবে। কারণ এদেশে প্রত্যেকটি আনাচে-কানাচে এখনো আওয়ামী লীগের প্রেত্ত্বারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা হত্যার নির্দেশদাতা তাদেরকে এতো সহজে জামিন দিয়ে দেন। আর গত ১৭ বছর ধরে আমাদের উপরে যে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে, যত অত্যাচার চালিয়েছে আপনারা এতো সহজে ভুলে যাবেন না। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করে গত ১৭ বছর যে স্বৈরাচার মানুষের উপরে যে জুলুম নির্যাতন করেছে সেই জুলুম নির্যাতনের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে অবশ্যই হবে ইনশাল্লাহ।
আমিনুল হক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানদের দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। এখন যে ডেঙ্গুর প্রকট বেড়েছে আমরা প্রতিটি পাড়া মহল্লায়, থানা ওয়ার্ডের সব জায়গায় গিয়ে চেষ্টা করছি লিফলেট বিতরণ করে মানুষকে সচেতন করতে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে যেন ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে পারি। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা-ওয়ার্ডে লিপলেট বিতরণ কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আমরা সব বাসাবাড়িতে পর্যন্ত যাব, মানুষকে সচেতন করব।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, দেশের কল্যাণে আমরা কাজ করি, মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াই। এবং মানুষের সেবা এবং মানুষের জীবন রক্ষাই হলো আমাদের প্রদান কর্তব্য। এই কর্তব্যকে সামনে রেখে আমরা আবারো রাজপথে আপনাদের সঙ্গে মিলিতভাবে বাড়িতে বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডেঙ্গুর ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করার জন্য। কেউ যদি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় তাদের চিকিৎসা কিভাবে দেওয়া হবে সেই তথ্য দেওয়ার জন্য। ডেঙ্গু যেন জন্মই না নেয়, সেজন্য কি কি করনীয় তা জানানোর জন্য। এগুলো আমাদের সামাজিক কর্মসূচি আর আমাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব। তাই সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জনাব তারেক রহমানের ডাকে ও নির্দেশনায় সকলে ঐক্যবদ্ধ হই , দেশকে বাঁচাতে চাই, দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আর ডেঙ্গু বিরোধী কর্মসূচিকে সফল করি।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক নেতা আক্তার হোসেন, আনুয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, মোস্তফা জামান, আনোয়ার হোসেন, এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ, এস এম জাহাঙ্গীর, জাসাসের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, উত্তর যুবদলের সাজ্জাদুল মিরাজ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফুর রহমান তুষার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ সভাপতি ডাঃ আউয়ালসহ উত্তরের ৭টি থানা ও সব ওয়ার্ডের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

 


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

‘দেশে নয়া ইসলামি সভ্যতা গঠনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনার করলো ইরান দূতাবাস
ভারতীয় অপসংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করতে হবে
উত্তরখানে পুলিশ ছাত্র-জনতা ও নাগরিক সমাজের সমন্বয় সভা
কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও রিনাত ফৌজিয়া
ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হচ্ছে জনতার বাজার
আরও

আরও পড়ুন

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক