সংবাদ সম্মেলনে ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত সমিতি

ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত ৭২ হাজার শরণার্থী প্রতারণার শিকার

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম


১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের কারণে ইরাক-কুয়েত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৭২ হাজার বাংলাদেশি শরণার্থীর সাথে প্রতারণার শিকারের অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘ ক্ষতিপূরণ কমিশন থেকে লেইট ক্লেম এর অর্থ, ৩৩৪ প্রত্যাগত এবং ৪৪৪ যুদ্ধবন্দির ক্ষতিপূরণের অর্থ অদ্যাবধি পাওয়া যায়নি। সোনালী ব্যাংকে জমাকৃত কুয়েতী দিনার অদ্যাবধি ফেরত দেয়া হয়নি। কুয়েতের আমির বাংলাদেশে সফরকালে তার দেয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশিদের ৯ মাসের বকেয়া বেতন দেয়া হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি এসব প্রত্যাগত ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের ৯ মাসের বকেয় বেতনের অর্থ আদায়ে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়নি। উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়ে ইরাক-কুয়েতের ব্যাংকে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীদের জমাকৃত লাখ লাখ মার্কিন ডলার অদ্যাবধি উদ্ধার করা হয়নি। এসব প্রত্যাগত বাংলাদেশিদের অনেকেই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। প্রত্যাগত ৭২ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার চরম দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশিদের অর্থের প্রায় ১৮ কোটি টাকা এবং সরকারের দেয়া ১০ কোটি টাকাসহ মোট ২৬ কোটি টাকায় রাজধানীর ভাটারা মৌজায় ১৫১ দশমিক ৫৪ একর জমি ক্রয় করে প্রবাসীদের উন্নয়নে কাজে লাগানো হয়নি। উক্ত জমিতে একটি আধুনিক হাসপাতাল ও প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকলেও ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত ৭২ হাজার শরণার্থীর সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। উল্লেখিত জমি প্রত্যাগতদের মাঝে ফেরত দিতে হবে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব হলরুমে ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। উক্ত জমিক্রয়ে এবং জাতিসংঘ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যাগতদের ক্ষতিপূরণের অর্থ বিলিবন্টনের শেষ প্রক্রিয়া ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। একজন যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান করে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে অবিলম্বে প্রত্যাগতদের প্রস্তাবিত দশ দফা দাবি পূরণের লক্ষে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের আশু হস্তক্ষে কামান করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি মো. মিজানুল হক মিজান, বীর মুক্তিযোদ্ধ মো. আবু তাহের সরকার, হাজী আব্দুর রউফ বাচ্চু, মো. লোকমান হোসেন, মিয়া আব্দুল হান্নান, লাবীব উদ্দিন, শামীমা আক্তার, এসএম ওয়ালী উল্লাহ ও আহম্মেদ উল্লাহ রতন।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

‘দেশে নয়া ইসলামি সভ্যতা গঠনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনার করলো ইরান দূতাবাস
ভারতীয় অপসংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করতে হবে
উত্তরখানে পুলিশ ছাত্র-জনতা ও নাগরিক সমাজের সমন্বয় সভা
কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও রিনাত ফৌজিয়া
ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হচ্ছে জনতার বাজার
আরও

আরও পড়ুন

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক