মানিকগঞ্জে বীজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত
২০ জুন ২০২৩, ১১:০০ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বাজার থেকে বোরো ৫৮-জাতের ধান বীজ কিনে অনেক কৃষকরাই এবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্যাকেটের গায়ে উচ্চ ফলনশীল ভিত্তি বীজ ব্রি ধান-৫৮ লেখা থাকলেও রোপনের পর তা হয়েছে পাঁচ মিশালী, এগুলো কি জাতের ধান তাও বলতে পারছেন না কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ গুরুত্ব না দিয়ে, দায় চাপাচ্ছেন কৃষকদের ঘাড়ে। তারা বলছেন, দেরিতে রোপন এবং জমিতে সঠিকভাবে সার, কিটনাশক প্রয়োগ করা হয়নি বলে ধান দেরিতে পাকাসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আরিচা কাশাদহ সেচ প্রকল্পসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
শিবালয় উপজেলয়ের কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, যমুনা নদী বেষ্টিত ঘেরা এ অঞ্চলের জমিগুলো নীচু হওয়ায় বোরো আবাদে একটু দেরী হয়। এতে আগাম বর্ষায় ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এদিকে ৫৮-জাতের ধান অন্যান্য ধানের চেয়ে ২০/২৫ দিন আগে কাটা যায় এবং ফলনও ভাল হয়। তাই এ এলাকার বিশেষ করে শিবালয় উপজেলার কৃষকরা প্রতি বছরের মতো এবারও ব্রি-৫৮ জাতের ধান আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। জমিতে রোপনের পর ব্রি- ৫৮ জাতের ধান না হয়ে, হয়েছে অন্য জাতের এবং পাঁচ মিশালী।
বড় আনুলিয়া গ্রামের কৃষক মো. বাহের শেখ বলেন, সে বাজার থেকে ব্রি-৫৮জাতের ধানের বীজ এনে রোপন করেছিলেন। এবার তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ২ বিঘা জমির ধান হয়েছে পাঁচ মিশালী। যে করণে ধান কাটা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।
ছোট আনুলিয়া গ্রামের কৃষক মোকছেদ আলী বলেন, আগে কাটা যায় এবং ফলন ভাল হয় বলে তিনি বাজার থেকে ব্রি-৫৮জাতের ধান বীজ ক্রয় করে জমিতে রোপন করেন। কিন্তুু রোপনের পর তা হয়নি। জমদিয়ারা গ্রামের কৃষক মো. রুপ চাঁন বলেন, তিনি বাজার থেকে ভিত্তি ৫৮-জাতের বীজ কিনে এনে জমিতে রোপন করেন। কিন্তুু বাস্তবে তা হয়নি। এ জাতের ধান আরো ২০/২৫দিন আগে কাটা হয়েছে।
শিবালয় কাশাদহ পানি ব্যাবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান ইনকিলাবকে জানান, তার সেচ প্রকল্পের কৃষক আফেকুল, আজিজ গায়ান, বারেক গায়ান, হারুন গায়ান, ফারুক হোসেন টিটু, যুবরাজ, বাবলু, জামাল, ইমান, বাচ্চু, বাশার, লালন, মানু, সায়েদুর, আনন্দ হলদার, ইয়াকুব আলী, পিয়ার আলী এবং ছাবের আলীসহ অনেক কৃষকই ব্রি-৫৮ জাতের বীজ কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, শিবালয়ের কিছু কিছু এলাকায় দেরিতে আবাদ করা হয়েছে বলে ধান পাকতে এবং কাটতে দেরি হয়েছে। এছাড়া কৃষকরা সঠিকভাবে সময়মতো সার ও কিটনাশক প্রয়োগ করতে পারেনি বলে ধানের এ এরকম অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রাইটনের বিপক্ষে আর্সেনালের হোঁচট
টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির
রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান
রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা
ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শীতে পশু-পাখিদের যত্ন
মানব পাচার রোধ করতে হবে
মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের
চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর
জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল