হাট কাঁপাতে প্রস্তুত লাল বাহাদুর ও সুলতান
২০ জুন ২০২৩, ১১:০৬ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
ঈদুল আজহায় আর মাত্র ৭ দিন বাকি। এরিমধ্যে ক্রেতারা ভিড় করছেন পশুর বিভিন্ন হাটে। সেই হাট কাঁপাতে প্রস্তুত ফেনীর লাল বাহাদুর ও সুলতান। ফেনীর ছাগলনাইয়ার জাহান এগ্রোর খামারে লালিত পালিত সুলতানের ওজন ৯০০ কেজি ও লাল বাহাদুরের ওজন ৭০০ কেজি। তাদেরসহ আরও ছোট-বড় অন্যসব পশু দেখতে খামারে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
জাহান এগ্রোর সহ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ইমতিয়াজ চৌধুরী আদর জানান, তাদের খামারে গরু লালন পালনে প্রাকৃতিক খাবারকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাদের খামারের সুলতান ও লাল বাহাদুর জেলার সীমানা ছাড়িয়ে দেশের হাট-বাজার কাঁপাবে বলে তারা আশা করছেন। খামারের মালিক আরেফিন আজাদ চৌধুরী বাদল জানান, ঢাকায় ছোট্ট পরিসরে তার খামার বাড়িতে তিনি শখের বসে কুকুরসহ বিভিন্ন পাখি পোষতেন। তখন দেশের বিভিন্ন খামারে নিত্য আসা-যাওয়া ছিল তার। এক পর্যায়ে নিজের এলাকায় মানুষের কর্মসংস্থানে, ডিম, দুধ ও গোশতের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রথম দিকে দুই শতাধিক বিভিন্ন জাতের গাভী গরু সংগ্রহ করে জাহান এগ্রোর যাত্রা শুরু করেন। গত চার-পাঁচ বছর ধরে দুগ্ধ-গাভীর পাশাপাশি কোরবানির ঈদের জন্য দেশি-বিদেশি জাতের ষাঁড় গরু ও মহিষ প্রস্তুত করতে থাকেন। বিশাল আকৃতির গরু লালন পালনে সংখ্যার দিক থেকে তিনি ফেনী জেলায় শীর্ষে রয়েছেন। তার উৎপাদিত গরুর দুধ বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা ও জেলার বাইরের ব্যবসায়ীরা নিয়ে থাকেন। ছাগলনাইয়া উপজেলাবাসীর জন্য তার খামারের দুগ্ধ ও পশু কিছুটা কম দামে বিক্রি করা হয়।
জাহান এগ্রোতে বর্তমানে কোরবানির গরু ও দুগ্ধ-গাভীসহ ছয় শতাধিক পশু রয়েছে। আসন্ন কোরবানির জন্য তিনি আট মণ ওজনের শাহীওয়াল থেকে শুরু করে ৬-৭ মণ ওজনের চার শতাধিক গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারের পশুগুলোকে নিজ উদ্যোগে উৎপাদিত ভুট্টাগাছ থেকে তৈরি সাইলেট, খড়, ভুসি ও সবুজ ঘাস খাওয়ানো হয়। নিজস্ব অর্থায়নে তিনি খামারটি তৈরি করেছেন। কোনো প্রকার ক্ষতিকর ভিটামিন কিংবা স্টেরয়েড ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তিনি তার পশুগুলো লালন-পালন করেন।
তিনি আরো বলেন, গো-খাদ্য, চিকিৎসা উপকরণ ও ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর ফেনী অঞ্চলে কোরবানির গরু উৎপাদন ও মজুদ কম হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় ভালো দামে কোরবানির পশু বিক্রি হবে বলে আশা করছি। তবে ফেনী জেলা ভারত সীমান্তবর্তী হওয়ায় অবৈধ পথে ভারতীয় চোরাই গরুর কারণে কোরবানির বাজারে দেশীয় খামারে উৎপাদিত গরুর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় আছি।
ফেনী জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিসুর রহমান জানান, ফেনীর চাহিদার তুলনায় বেশী পরিমাণ পশু রয়েছে। তবে ফেনীর মানুষ নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে কোরবানি করতে বেশি পছন্দ করেন। সেই হিসেবেও পশুর ঘাটতির আশঙ্কা নেই। তিনি আরো বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ফেনীতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে কোরবানির পশু সরবরাহ করা হবে। আবার ফেনীতে খামারেও এখন ভালো জাতের বড় গরু লালন-পালন হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রাইটনের বিপক্ষে আর্সেনালের হোঁচট
টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির
রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান
রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা
ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শীতে পশু-পাখিদের যত্ন
মানব পাচার রোধ করতে হবে
মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের
চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর
জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল