সীমান্তাঞ্চলে শীতে বাড়ছে খেজুর গুড়ের সন্দেশের কদর
০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ এএম
শীত এলেই পিঠা-পুলি মিষ্টি গুড়ের স্বাদের কথা বেশি মনে পড়ে গ্রামীণ মানুষের। সেই স্বাদেই শীতে শেরপুর গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের মানুষের খাবারে যোগ হয় খেজুর গুড়ের সন্দেশ। শীতকালে খেজুর গুড়ের তৈরি সন্দেশের কদর বেড়ে যায় বহুগুণে। শেরপুর জেলা ও উপজেলা শহরের মিষ্টি দোকানগুলোয় ছানার পায়েস-ম-া ও অন্য মিষ্টির সাথে বেচাকেনা বাড়ে খেজুর গুড়ের সন্দেশের। এই সন্দেশ পাওয়াও যায় শুধু শীতকালেই। তাই শীতের জন্য অপেক্ষায় থাকেন শেরপুর গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলবাসী।
শেরপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীত মৌসুমে গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের উপজেলাগুলো থেকে শহরে আসা মানুষ বাড়ি ফেরার সময় এই গুড়ের সন্দেশ নিয়ে যান। এছাড়া জেলার বাইরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বেড়াতে গেলেও এই সন্দেশ কিনে নিয়ে যান।
শেরপুর জেলা ব্র্যান্ডিং স্টার্টআপ ‘আওয়ার শেরপুর’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন জানান, গত ৩ বছর ধরে শেরপুরের ছানার পায়েস ও ম-ার পাশাপাশি গুড়ের সন্দেশ অনলাইনে প্রচার ও বিক্রি করছি। ক্রেতারা সারা বছর গুড়ের সন্দেশের অপেক্ষায় থাকেন। শীত যখন ঘনিয়ে আসে। তখন ক্রেতাদের অনেকে তুলশীমালা চাল বা ছানার পায়েস অর্ডার করার সময় গুড়ের সন্দেশেরও খোঁজ নেন। কেউ কেউ ওয়েবসাইটে প্রি-অর্ডার করে রাখেন। অনলাইনের এক ক্রেতা জানান, শেরপুরের গুড়ের সন্দেশ আমার খুব প্রিয়। পাওয়া মাত্র খেতে দ্বিধা করি না। হালকা মিষ্টি বিধায় খেতে ভীষণ মজা ও স্বাদ অতুলনীয়। তাই পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে। শেরপুর নিউমার্কেট, গোয়ালপট্টিসহ শহরের প্রায় সব মিষ্টির দোকানেই পাওয়া যায় গুড়ের সন্দেশ। মূলত খাঁটি গুড়ের স্বাদ, হালকা মিষ্টি মানুষের কাছে এই মিষ্টান্নকে জনপ্রিয় করেছে।
এই মিষ্টি বানানোর পদ্ধতি হলো, প্রথমে দুধ ফাটিয়ে ছানা করে নিতে হয়। অবশ্যই ছানার কোয়ালিটি ভালো হতে হয়। তারপর খেজুরের গুড় মিশিয়ে ভালো করে জাল করে আবার ঠা-া করতে হয়। তারপর বরফি আকৃতি করে কেটে নিতে হয়। এই সন্দেশ ফ্রিজে রাখা ছাড়াও বেশ কয়েকদিন খাওয়া যায়।
শহরের নিউমার্কেট মোড়স্থ অনুরাধা মিষ্টান্ন ভা-ারের মালিক বাপ্পিদে ইনকিলাবকে জানান, শীত এলেই চাহিদা মেটাতে খেজুরের গুড় দিয়ে এই সন্দেশ তৈরি করি। চিনি দিয়ে তৈরি সন্দেশ ডায়াবেটিস রোগীরা এড়িয়ে চললেও এই গুড়ের সন্দেশ কিনে অনেকেই। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, খেজুরের গুড়ের সন্দেশ দারুন মজাদার। শুধু শেরপুর বা গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলেই নয়, বাইরেও অনেকেই আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও নিয়ে যান খেজুর গুড়ের সন্দেশ।
***************
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রাইটনের বিপক্ষে আর্সেনালের হোঁচট
টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির
রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান
রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা
ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শীতে পশু-পাখিদের যত্ন
মানব পাচার রোধ করতে হবে
মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের
চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর
জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল