১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস মানেন না- বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিলেন ফুয়াদ

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০১ এএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০২ এএম

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস মানেন না- এমন বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সমালোচনার মুখে তার ওই বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা চায় এবি পার্টি। পরে তিনি নিজের বক্তব্যের বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দলীয় ফোরামে জমা দেন।

 

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দলের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কে যাওয়া এবি পার্টির নীতিবিরোধী। দলের কেউ এই বিষয়ে বিতর্কে জড়াতে পারে না।

 

দলীয় সূত্রের দাবি, নোটিশে বলা হয়, আপনি নিজেও বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করেছেন। এখনো করছেন। তারপরও কেন এ বিষয়ে এই বক্তব্য দিয়েছেন। দলীয় নোটিশের জবাবে ব্যারিস্টার ফুয়াদ অবশ্য নিজে বিজয় দিবস পালন করেন এবং করছেন এমনটি স্বীকার করে বলেন, তিনি দিবসটি অস্বীকার করেননি। দলীয় নীতি অনুযায়ী তিনি রাজনীতি করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন। ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক করা যাবে না দলের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হলে ব্যারিস্টার ফুয়াদ তা মেনে নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

 

গত ২১শে ডিসেম্বর সিজিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমি ১৬ই ডিসেম্বর মানি না, আমি নতুন দিবসের খোঁজ করছি। গত ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘ভারতের বিজয়’ উল্লেখ করে যে টুইট করেছিলেন সে বিষয়টি সামনে এনে ব্যারিস্টার ফুয়াদ এই বক্তব্য দিয়েছিলেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা আসে। অনেকে বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর একটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে নতুন করে বক্তব্য দেওয়া উদ্দেশ্যমূলক।

 

এ বিষয়ে এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, উনার বক্তব্য শুনার পর আমরা তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় নীতির বিষয়ে আমরা উনাকে নির্দেশনাও দিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ এবং ধর্ম নিয়ে কোনো বিতর্কে যাবে না আমার বাংলাদেশ পার্টি। এটি আমাদের দলীয় নীতি।

 

উল্লেখ্য, বিজয় দিবস মানি না- এমন বক্তব্য দিয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেছিলেন, বিষয়টি আলাপ করতে হবে রাষ্ট্রকে। ১৬ ডিসেম্বরের পরে কী হয়েছিল- আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিল, যুদ্ধের পরে আমাদের প্রত্যেকটা পুলিশ স্টেশনের দখল নিলো ভারত। ওসি রিপ্লেসমেন্ট করে দিয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তা দিয়ে। ন্যূনতম তিনটি জেলাতে তিনজন ডিসিকে অ্যাপয়েনমেন্ট করা হয়েছে। তাহলে সেই বাংলাদেশে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হয় কী করে? আলোচনাটা এই জন্য করছি, আমাদের রাষ্ট্রসত্তা এখনো তৈরি হয়নি। এ জন্যই নরেন্দ্র মোদির মতো লোক ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কার সঙ্গে কার যুদ্ধ, কে মরছে আর কে বিজয়ী হয়েছে।

 

ফুয়াদ বলেন, আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠাতারা রাষ্ট্র কী তা তারা বুঝতে পারেননি। রাজনৈতিক দলগুলো আর্টিকেল ৭ এর মধ্যে আটকে আছে। এই রাষ্ট্রে জমিদারি অবস্থা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এখনো চলছে। এখান থেকে বের হতে হবে। আমাদের এ দেশের নাগরিক হতে হবে, বাসিন্দা নয়।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
সিন্ডিকেটের প্রভাবে কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজচাষীদের মাথায় হাত
বছরজুড়ে সড়কে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা
বর্ষপণ্য আসবাবপত্রের মূল্য আকাশচুম্বি
চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই :কুষ্টিয়ায় জামায়াতের আমির
আরও

আরও পড়ুন

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর

মাছের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার সীমায় বন্দি হচ্ছেন ভারতীয় জেলেরা

মাছের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার সীমায় বন্দি হচ্ছেন ভারতীয় জেলেরা