ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
আবদুল কাইয়ুম শেখ

আল্লাহ যাদের প্রতি করুণার দৃষ্টি দেবেন না

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৭ জুন ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

পৃথিবীর সাধারণ নিয়ম হলো, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব বা বিত্তশালী কোনো লোকের কোনো ব্যক্তির প্রতি যদি দয়ার দৃষ্টি নিক্ষিপ্ত হয়, তাহলে তার ভাগ্য বদলে যায়। তার দুঃখ সুখে পরিবর্তিত হয়। সৌভাগ্যের দরজাগুলো তার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। অথচ মানুষের ক্ষমতা সসীম। আর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর ক্ষমতা অসীম! মহান আল্লাহ নভোম-ল ও ভূম-লের অধিপতি ও রাজাধিরাজ। তার কোন অনটন নেই। অতএব, নিঃসন্দেহে এ কথা বলা যায়, নিখিল বিশ্বের অধীশ্বর ও বিপুল ক্ষমতাধর আল্লাহ তাআলা যদি কারো প্রতি করুণার দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, তাহলে তার সৌভাগ্যের অন্ত থাকবে না। ইহ ও পরকালে সে ভাগ্যবান লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবে। কিন্তু এমন কিছু অপরাধ ও পাপ রয়েছে যেগুলো আঞ্জাম দিলে মহান আল্লাহ সংশ্লিষ্ট পাপীর প্রতি দয়ার দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
পানি দানে বারণকারী: জীবিকার প্রয়োজনে মানুষকে অনেক সময় দূর দূরান্তে সফর করতে হয়। পানি না থাকার কারণে সফররত অবস্থায় কোন ব্যক্তি তৃষ্ণায় ও পিপাসায় কাতর হতে পারে। এ সময় তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি যদি পানি আছে এমন কারো কাছে পানি প্রার্থনা করে, তাহলে তার জন্য সমীচীন হলো তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিকে পানি প্রদান করা। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তি যদি তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিকে পানি দিতে অস্বীকার করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ক্রোধান্বিত হন। পানি দানে অস্বীকারকারী ব্যক্তির প্রতি মহান  আল্লাহ করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
পার্থিব স্বার্থে বাইয়াত গ্রহণকারী: ইসলামি রাষ্ট্রের মুসলিম শাসক কিংবা হক্কানি কোনো পীরের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত অকুণ্ঠ আনুগত্য প্রদর্শন কিংবা আত্মসংশোধন। এ উদ্দেশ্যে বাইয়াত গ্রহণ করা কিংবা মুরিদ হওয়া ইবাদত বলে গণ্য। কিন্তু কতক লোক এমন রয়েছে যারা নিরেট এই ইবাদতকে পার্থিব স্বার্থে ব্যয় করার উদ্দেশ্যে আঞ্জাম দিয়ে থাকে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যদি কোন ব্যক্তি ইসলামি রাষ্ট্রের মুসলিম শাসকের হাতে পার্থিব উদ্দেশ্যে বাইয়াত গ্রহণ করে কিংবা এই লক্ষ্যে পীরের হাতে মুরিদ হয়, তাহলে মহান আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
মিথ্যা বলে পণ্য বিক্রয়কারী: প্রাত্যহিক জীবনে মানুষের বিভিন্ন দ্রব্য ও পণ্যের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় কাক্সিক্ষত বস্তু ক্রয় করার মাধ্যমে এই প্রয়োজন পূরণ করতে হয়। পণ্য কেনার সময় ক্রেতাকে বিক্রেতার কথার উপর নির্ভর করতে হয়। এই সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে। এতে ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদি কোন ব্যক্তি মিথ্যা বলে নিজের পণ্য বিক্রয় করে ক্রেতাকে ঠকায়, তাহলে মহান আল্লাহ এমন ব্যবসায়ীর প্রতি করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না। উল্লিখিত তিন শ্রেণীর লোকের প্রতি আল্লাহ তাআলা করুণার দৃষ্টিতে না তাকানো সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোকের প্রতি মহান আল্লাহ দৃষ্টিপাত করবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। এক ব্যক্তি- যার নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি আছে, অথচ সে মুসাফিরকে তা দিতে অস্বীকার করে। অন্য একজন হলো, যে ইমামের হাতে একমাত্র পার্থিব স্বার্থে বাইয়াত হয়। যদি ইমাম তাকে কিছু দুনিয়াবি সুযোগ দেন, তাহলে সে খুশি হয়, আর যদি না দেন তবে সে অসন্তুষ্ট হয়। অন্য একজন সে ব্যক্তি, যে আসরের নামাজ আদায়ের পর তার জিনিসপত্র বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তুলে ধরে আর বলে, আল্লাহর কসম, যিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, আমার এই দ্রব্যের মূল্য এত এত দিতে আগ্রহ করা হয়েছে। (কিন্তু আমি বিক্রি করি নি) এতে এক ব্যক্তি তাকে বিশ্বাস করে তা ক্রয় করে নেয়।› (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৩৫৮)
খোঁটা দানকারী: দান করা একটি পুণ্যকর্ম। যাকে দান করা হয় সেই ব্যক্তি দান পাওয়ার পর উপকৃত হয়। দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে মিল, মহব্বত ও সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি হয়।  কিন্তু দান করার পর খোঁটা দিলে এর সমূহ উপকারিতা বিনষ্ট হয়। খোঁটা দিলে দান গ্রহীতা নিতান্ত মর্ম বেদনায় কাতর হয়। দান করার পর খোঁটা দেওয়া কবিরা গুনাহ। যদি কোন ব্যক্তি কাউকে খোঁটা দেয়, তাহলে মহান আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। খোঁটা দানকারীর প্রতি আল্লাহ তাআলা করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
টাখনুর নিচে পরিধানকারী: পুরুষের জন্য অহংকারবশত টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করা কবিরা গুনাহ। তাই টাখনুর নিচে লুঙ্গি বা প্যান্ট পরিধান করা হতে বিরত থাকতে হবে। যে সব পুরুষ অহংকারবশত টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরে তাদের প্রতি মহান আল্লাহ রাগান্বিত হন। অহংকারের বশীভূত হয়ে যেসব পুরুষ টাখনুর নিচে লুঙ্গি, প্যান্ট বা অন্য কোন কাপড় পরিধান করবে মহান আল্লাহ তাদের প্রতি করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না। হজরত আবু জর রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন প্রকার লোক আছে, যাদের দিকে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না; আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তারা হলো, যে ব্যক্তি কিছু দান করে তার খোঁটা দেয়, আর যে ব্যক্তি অহংকারবশত পরিধেয় বস্ত্র টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে রাখে, আর যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে মাল চালায়।› (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৪৪৫৯)
পুংমৈথুনকারী: স্ত্রীকে ভোগ করা স্বামীর জন্য হালাল করা হয়েছে। কিন্তু এই সম্ভোগ হতে হবে স্বভাবজাত পন্থায় ও শরিয়ত অনুমোদিত নিয়ম অনুযায়ী। স্বামীর জন্য স্ত্রীর সঙ্গে এমন পন্থায় মিলন করাই কেবল বৈধ যা প্রজননের উপযোগী। স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করা প্রজননের উপযোগী নয়। তাই স্ত্রীর সঙ্গে তার মলদ্বারে সঙ্গম করা হতে বিরত থাকতে হবে। পুংমৈথুন করা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত অপরাধ। যদি কোন ব্যক্তি নর বা নারীর সঙ্গে পুংমৈথুনে লিপ্ত হয়, তাহলে মহান আল্লাহ তার প্রতি ক্রোধান্বিত হন। এমন কুকর্মে লিপ্ত ব্যক্তির প্রতি দয়াময় আল্লাহ করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না। হজরত ইবনু আব্বাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোকের মলদ্বারে সঙ্গম করে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকাবেন না।› (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১১৬৫)
অবাধ্য সন্তান: মাতা পিতা পরম মমতায় সন্তানকে লালন পালন করে বড় করে তোলে। তাই সন্তানের জন্য অপরিহার্য হলো, মাতা পিতার আনুগত্য করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় সেবা করে যাওয়া। হাদিস শরিফের ভাষ্য অনুযায়ী মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত এবং বাবার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিহিত। মাতা পিতার অবাধ্য সন্তানের প্রতি মহান আল্লাহ করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
পুরুষের বেশধারী নারী: মহান আল্লাহ নর ও নারীকে পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। নরের জায়গায় নর সুন্দর এবং নারীর জায়গায় নারী। নর হয়ে নারীর বেশ ধরা এবং নারী হয়ে নরের বেশ ধারণ করা এক ধরনের ধোঁকাবাজি ও বিশ্বাসঘাতকতা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আত্মমর্যাদাহীনতারও পরিচায়ক। নারী হয়ে নরের বেশ ধারণ করা আল্লাহ তাআলার কাছে পছন্দনীয় নয়। কোন নারী যদি পুরুষের বেশ ধারণ করে, তাহলে মহান আল্লাহ তার প্রতি অনুকম্পার দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
দাইয়ুছ ব্যক্তি: মহান আল্লাহ পুরুষকে নারীর উপর কর্তৃত্ব দান করেছেন। তাই পুরুষের জন্য অপরিহার্য হলো তার অধীনস্থ নারীকে পর্দা পুশিদায় রাখা। কর্তৃত্ব কাটাতে পারে এমন নারীকে বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা ও নির্লজ্জতার সর্বপ্রকার কাজ হতে মুক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা। কোন পুরুষ যদি তার অধীনস্থ নারীর বেহায়াপনা ও অশ্লীলতায় সন্তুষ্ট থাকে ও সমর্থন করে কিংবা বারণ না করে, তা হলে ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় তাকে দাইয়ুছ বলা হয়। এমন ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন। এমন আত্মমর্যাদাহীন পুরুষের প্রতি দয়াময় আল্লাহ অনুগ্রহের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। হজরত আব্দুল্লাহ রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির প্রতি মহান আল্লাহ কেয়ামতের দিন দৃষ্টি দেবেন না। পিতা মাতার অবাধ্য সন্তান, পুরুষের বেশধারী নারী এবং দাইয়ুছ (নিজ স্ত্রী কন্যার পাপাচারে যে ঘৃণাবোধ করে না।) (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৫৬২)লেখক  : শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ, চকবাজার, ঢাকা-১২১১


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা