অবৈধ রোজগারের পরিণাম

Daily Inqilab অধ্যক্ষ মোঃ ইয়াছিন মজুমদার

০৫ জুলাই ২০২৩, ০৮:০২ পিএম | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেছেন- তোমরা মানুষের সম্পদ অন্যায় ভাবে ভোগ করো না। বিচারককে অন্যায় ভাবে সম্পদ ভোগের জন্য জেনে বুঝে উৎকোচ দিও না। সুরা বাকারা, আয়াত - ১৮৮। এ বিষয়ে প্রথমে আমি একটি ঘটনা উল্লেখ করছি- হযরত মূসা আঃ একজন দাঁড়ি পাকা অতি বৃদ্ধের দেখা পেলেন। যিনি সারাদিন নফল রোজা রাখছেন ও রাতভর নফল নামাজে সময় অতিবাহিত করছেন। হাত তুলে আল্লাহর কাছে এত কান্নাকাটি করছেন, চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে ফোটায় ফোটায় জমিনে পড়ছিল। বৃদ্ধের ইবাদত সাধনার কষ্ট ও কান্না দেখে মুসা আঃ এর খুব মায়া লাগলো। তিনি তুর পাহাড়ে আল্লাহর সাথে দেখা করতে গিয়ে আল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ, একজন বৃদ্ধকে আমি অমুক জায়গায় দেখেছি যে সারাদিন নফল রোজা রাখে নফল নামাজ পড়ে, হাত তুলে আপনার কাছে এত কান্নাকাটি করছে তার চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে জমিন ভিজে যাচ্ছে, লোকটি আপনার অলিদের কাতারে আছে কি? আল্লাহ বললেন মুসা, অলি হওয়া দূরে থাকুক, তার কোন ইবাদতই কবুল হচ্ছে না। মুসা আঃ ভাবলেন আল্লাহর দয়া সকল সৃষ্টির চেয়ে ৯৯ গুণ বেশি। এই বৃদ্ধকে দেখে আমার দয়া হল অথচ আল্লাহ তার ইবাদাত কবুলই করছেন না। এ কথা ভেবে মুসা আঃ চুপ করে রইলেন। তখন আল্লাহ বললেন কিভাবে তার দোয়া ইবাদাত কবুল হবে, সে খেয়েছে হারাম, অবৈধ রোজগার, অপরের অর্থ করেছে আত্মস্বাৎ । নবী সাঃ বলেছেন- যে দেহে হারাম গোস্ত থাকবে তা জান্নাতে যাবে না,( তিরমিজি- ৬১৪)। নামাজে শরীর পাক শর্ত। নাপাক শরীরে নামাজ হবে না। তেমনি ভাবে আমরা হারাম খেলে আমাদের রক্তই নাপাক হলো, সে নাপাক শরীরের এবাদত কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে? সাহাবায়ে কেরাম এ ব্যাপারে ছিলেন খুবই সতর্ক। আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আবু বকর (রাঃ) এর একজন গোলাম ছিল, যাকে বাইরে ও কাজ করার সুযোগ দেয়া হতো। সে মাঝে মাঝে তার রোজগার থেকে কিছু খাদ্য এনে আবু বকর (রাঃ) কে দিতেন। একবার সে কিছু খাদ্য নিয়ে আবু বকর (রাঃ) কে দিলেন। আবু বকর (রাঃ) তা খেলেন। সে বলল আপনি কি জানেন এটা কিসের আয়? আবু বকর (রাঃ) বললেন আমি জানিনা। সে বলল আমি জাহেলী যুগে গণনার কাজ করতাম, আমি ভালো গণনা করতে পারতাম না, মানুষকে ধোঁকা দিতাম। আমি একজন লোককে বাকিতে গণনা কাজ করেছিলাম, আজকে সে আমার বাকি টাকা দিয়েছে।সেখান থেকে খাদ্য নিয়ে আপনাকে দিয়েছি। আবু বকর (রাঃ) দিনে রোজা রেখে ক্ষুধার্ত ছিলেন। একথা শুনে তাড়াতাড়ি তিনি গলার ভিতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে অনেক কষ্ট করে খাদ্যগুলো বমি করে বের করে ফেলে দিলেন, (বোখারি)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন- যে ব্যাক্তি অপর মুসলমানের হক নষ্ট করল, তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেল, জান্নাত হারাম হয়ে গেল। একজন লোক প্রশ্ন করল ইয়া রাসূলাল্লাহ যদি সামান্য জিনিস হয়? রাসূল সঃ বললেন যদি একটি আরাক গাছের ডাল ও হয়, অর্থাৎ সামান্য জিনিসও হয়, (মুসলিম ৩৭০)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি অন্যায় ভাবে দুনিয়ায় কারো এক বিঘত জমি দখল করে নিল, কেয়ামতের দিন সাত জমিন তার মাথায় চাপিয়ে তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আমাদের মধ্যে বোন ফুফু এ জাতীয় ওয়ারিশদের তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে ঠকানোর চেষ্টা করা হয়। এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন ওয়ারিশকে তার মিরাছ থেকে বঞ্চিত করল, আল্লাহ তাকে জান্নাত থেকে বঞ্চিত করবেন,(ইবনুমাজাহ)। কর্মক্ষেত্রে ফাঁকি দেয়া কবিরা গুনাহ। কর্মক্ষেত্রে ফাঁকি দিলে তার বেতন ভাতা বৈধ হবে না। বৈধ অর্থ বেশি এর সাথে অল্প অবৈধ অর্থ মিশ্রিত হলে পুরোটাই অবৈধ গণ্য হয়। বিষয়টি একটু জটিল মনে হলেও বুঝা সহজ, যেমন এক বালতি পবিত্র পানি, যা দ্বারা আপনি অজু গোসল করতে পারবেন। তাতে যদি সামান্য পরিমাণ নাপাকি মিশে, পুরো পানিটাই নাপাক হয়ে যাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন- কোন ব্যক্তি বৈধভাবে কষ্ট করে নয় টাকা রোজগার করেছে, অবৈধ এক টাকা তার সাথে মিশিয়ে ১০ টাকায় সে একটি কাপড় কিনেছে। এ কাপড় যতক্ষণ তার গায়ে থাকবে তা তার নামাজ কবুল করা হবে না,(বায়হাকি)। অতীত মনীষীদের দিকে যদি তাকাই দেখা যায় তারা ও এ বিষয়ে অনেক সতর্ক ছিলেন। ইমাম আবু হানিফা রঃ এর কাপড়ের ব্যবসা ছিল। তিনি পাইকারি কাপড় বিক্রি করতেন। একবার এক বান্ডিলের একটি কাপড়ে একটু ত্রুটি ছিল। কর্মচারীকে বলে গেলেন কাস্টমার এলে ত্রুটি দেখিয়ে টাকা কম নিবে। পাইকাররা এলে কর্মচারী তা ভুলে গেল। সে সম দামে সকল বান্ডিল বিক্রি করে দিল। ইমাম আবু হানিফা রঃ যখন এলেন তা শুনে তিনি ওই দিনের বিক্রির সকল টাকাই দান করে দিলেন। একবার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখে ইমাম আবু হানিফা রঃ দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন। অন্যরা বলল এত তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন কেন? তিনি বললেন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, দোকানের ভিতর কিছুটা অন্ধকার, কাস্টমাররা ভালো ভাবে মালের রং বুঝতে না পেরে ধোঁকায় পড়তে পারে এই ভয়ে আমি দোকান বন্ধ করে দিচ্ছি। নবী সঃ বাজার পরিদর্শনে গিয়ে এক খেজুর বিক্রেতার খেজুরের বস্তার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে দেখলেন উপরের গুলো থেকে নিচের গুলো কিছুটা ভেজা। নবী সঃ বললেন এটা কেন করেছো? সে বলল একটু আগে সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল। নবীজি বললেন ভেজা গুলো উপরে রাখলে না কেন? যে মানুষকে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়। নবীর উম্মতই যদি না হয় সে কি জান্নাতে যেতে পারবে? খালিফা ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রঃ এর নিকট পরিপক্ক কয়েক কার্টন আপেল হাদিয়া হিসেবে এলো। আপেলগুলো থেকে মিষ্টি গন্ধ ছড়াচ্ছিল। তিনি এ হাদিয়া তথা উপহার গ্রহণ করলেন না, ফেরত দিলেন। তখন একজন বলল নবী সাঃ ও হাদিয়া গ্রহণ করতেন, আপনি কেন ফেরত দিলেন? তিনি বললেন নবী সাঃ জন্য হাদিয়া যেভাবে ছিল আমার জন্য সেভাবে হবে না। কারণ এটা রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহণের জন্য তার পক্ষ থেকে কোন ধরনের উৎকোচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সরকারি কর্মকর্তা ও শাসকদের জন্য হাদিয়া গ্রহণ করা অবস্থার আলোকে বৈধ নয়। ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রঃ বাতি জ্বালিয়ে রাষ্ট্রের কাজ করছিলেন। তার স্ত্রী এসে পারিবারিক কথা শুরু করলে তিনি বাতি নিভিয়ে দিলেন। তার স্ত্রী বলল আমি এলাম, আর আপনি বাতি নিভিয়ে ঘরটি অন্ধকার করে দিলেন? তিনি বললেন রাষ্ট্রের বাতি জ্বালিয়ে রাষ্ট্রের কাজ করা যাবে, ব্যক্তিগত কাজ করা বৈধ হবে না। ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রঃ বায়তুল মাল পরিদর্শন করছিলেন। সাথে ছিল তার ছোট শিশু বাচ্চা। হঠাৎ বাচ্চাটি খেজুরের বস্তা থেকে একটি খেজুর মুখে পুরে দিল। ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রঃ খেজুরটি আঙ্গুল দিয়ে তার মুখ থেকে বের করে মুছে আবার বস্তায় রেখে দিলেন । ছেলেটি কান্না করতে করতে মায়ের নিকট গেল। ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রঃ এর স্ত্রী বলল আপনি এটা কি করলেন? তিনি বললেন শিশু সন্তানের মুখ থেকে এটা বের করতে আমার হৃদয়ে ও ব্যাথা লেগেছিল। কিন্তু এটা রাষ্ট্রের জনগণের হক এটা আমার বাচ্চার খাওয়ার কোন অধিকার নেই। মক্কায় প্রচন্ড খরা চলছিল। মাঠে ঘাস না জন্মানোতে পশু খাদ্য সংকট দেখা দিল। সরকারিভাবে পানি সেচ দিয়ে কিছু চারণভূমি সতেজ রাখা হলো। জনগণের মধ্যে চারণভূমির নির্দিষ্ট অংশ ভাগ করে দেয়া হলো। খলিফা ওমর রাঃ পশুর হাট পরিদর্শনে বের হলেন। তিনি দেখলেন পশুগুলো দুর্ভিক্ষের কারণে দুর্বল, একটি পশু তাজা। তিনি জিজ্ঞেস করলেন পশুটি কার? জবাব এলো খলিফার ছেলের। তিনি পশুটি বিক্রি করে সম্পুর্ণ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিলেন, কারণ হতে পারে খলিফার সন্তান হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে চারণভূমিতে সে তার পশুকে বেশি ঘাস খাইয়েছে। আব্দুল কাদের জিলানী রঃ এর পিতা ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হয়ে নদীর ধারে হাটছিলেন। একটি ভাসমান আপেল দেখে তা তুলে খেলেন। পরবর্তীতে মালিকের খোঁজ করে তিনি মালিকের কাছে মাফ চাইতে গেলে মালিক১২ বছর গোলামীর শর্ত দিলেন, তার অন্ধ, বধির এবং লেংড়া মেয়েকে বিয়ে করার শর্ত দিলেন। পরের হক থেকে মাফ পেতে তিনি এ কঠিন শর্ত মেনে নিলেন। অথচ বর্তমান যুগে আমরা দেখি অধিকাংশ মানুষ বৈধ অবৈধ আয়ের কোন পার্থক্য করছে না। নবী সাঃ বলেছেন- অচিরে এমন এক যুগ আসবে মানুষ হালাল না হারাম উপার্জন করছে তার পরোয়া করবে না, (বুখারী)। অবৈধভাবে উপার্জন করে যদি সকল অর্থ দান করে দেয়া হয় তার দান কবুল করা হবে না, (মিশকাত)। ব্যক্তির সম্পদ হলে ব্যক্তি থেকে হয়তো মাফ নেয়া সম্ভব, রাষ্ট্রীয় সম্পদ হলে রাষ্ট্রের সকল জনগণ থেকে মাফ নেয়া কি সম্ভব? সম্পদ কোথা থেকে আয় করেছে কোথায় ব্যয় করেছে হাশরের দিন এ প্রশ্নের জবাব দেয়া ছাড়া এক পা সামনে যেতে দেয়া হবে না। নবী সঃ একবার কিছু সাহাবায়ে কেরাম রাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন আমাদের মধ্যে নিঃস্ব, অসহায় কে? সাহাবারা বললেন যার কোন সম্পদ নেই সে নিঃস্ব। নবী সঃ বললেন আমার উম্মতের মধ্যে সে হচ্ছে সবচেয়ে নিঃস্ব যে কেয়ামতের দিন অনেক নামাজ, রোজা, নেক আমল নিয়ে উঠবে। কিন্তু সে কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে গালি দিয়েছে, কারো প্রতি জুলুম করেছে। সে অনুযায়ী তার নেক আমলগুলো বন্টন করে দেয়া হবে। নেক আমল খালি হয়ে যাবে। পরবর্তীতে তার কাছে যারা হক পাবে তাদের বদ আমল গুলো তাকে দিয়ে দেওয়া হবে এবং তাকে নিঃস্ব অবস্থায় সকলের পাপের বোঝা সহ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে,(বুখারী)। নবী সাঃ সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাঃ কে বলেন- তোমার খাওয়াকে পবিত্র কর, তাহলে তোমার দোয়া কবুল করা হবে,(তাবারানী)। নবী সাঃ বলেছেন- যদি আদম সন্তানকে একটি উপত্যকা পূর্ণ স্বর্ণ দেয়া হয় তাহলে সে আরও একটি উপত্যকা চাইবে। যদি দ্বিতীয় উপত্যকা দেয়া হয় তাহলে তৃতীয় আরেকটি উপত্যকা সে চাইবে। আদম সন্তানের মাটি(কবর) ছাড়া আকাক্সক্ষা মিটবে না, (বোখারি)। নবী সাল্লাল্লাহু সালাম বলেছেন- দুটি ক্ষুধার্ত বাঘকে যদি বকরির পালের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়, বকরির পালের জন্য সে বাঘ যেভাবে ক্ষতিকর। সম্পদ এবং পদের লোভ ব্যাক্তির দ্বীনের জন্য তদ্রুপ ক্ষতিকর, (তিরমিজি)। সুদ, ঘুষ, ওজনে কম দেয়া, খাদ্যে ভেজাল, কর্মে ফাঁকি দেয়া ইত্যাদি নানা ধরনের অবৈধ কাজে আমরা লিপ্ত। আমরা মনে করছি দুনিয়াটাই চিরস্থায়ী। মৃত্যুর পর আমাকেই আমার আয়ের হিসাব দিতে হবে তা ভাবছি না। অবৈধ আয় করে সম্পদ আমি দুনিয়াতে রেখে চলে যাব। ভোগ করবে ওয়ারিশরা, অন্যেরা, কিন্তু শাস্তি ভোগ করতে হবে আমাকে, তা আমাদের মনে হয় না। আমি আমার সন্তানের জন্য ব্যাকুল হচ্ছি। অথচ সন্তানের রিজিক আল্লাহ বরাদ্ধ রেখেছেন। আমাদের মৃত্যুর পর সন্তানরা আমাদের কথা কতটুকু মনে রাখবে? আমরাই বা আমাদের পিতা-মাতার কথা কতটুকু মনে রাখছি। অবৈধ সম্পদ ও হারাম ভক্ষণে দুনিয়ার শান্তি ও বিনষ্ট হয়। আমরা দেখতে পাই অনেক নায়ক-নায়িকা যারা অনেক সম্পদের মালিক কিন্তু তাদের ঘরোয়া শান্তিটুকু নেই। বয়স চল্লিশের কোটা পেরুলেই মানুষকে দেখা যায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিস হাই প্রেসার ইত্যাদিতে আক্রান্ত হওয়ার ফলে অর্থ সম্পদ থাকলেও ভোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। খাওয়ায় সীমাবদ্ধতা, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা স্বাভাবিকভাবেই এসে যায়। অল্প সময়ের যৌবনকাল। এ সামান্য সময় টুকু যদি আমরা আল্লাহর হুকুম মেনে আমাদের জীবন পরিচালনা করতে পারি তবেই চিরস্থায়ী সুখ জান্নাত আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

লেখক: অধ্যক্ষ, ফুলগাঁও ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, লাকসাম, কুমিল্লা।


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

রোহিঙ্গাসংকট: সমাধানের পথ খুলুক দ্রুত
মাইজভা-ার শরিফ : ঐশ প্রেক্ষিত
রমজানে খাদ্য গ্রহণে সচেতন হোন
রমজানের রহমত-মাগফিরাত-নাজাতের বানে ভেসে যাক পাপ
আল্লাহ ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল নাই
আরও
X

আরও পড়ুন

ভারতে আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যেভাবে নাটকীয়ভাবে বেঁচে গেল একটি পরিবার

ভারতে আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যেভাবে নাটকীয়ভাবে বেঁচে গেল একটি পরিবার

অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেন উখিয়ার ১৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী

অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেন উখিয়ার ১৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী

পবিপ্রবি শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে আহত হওয়ার পরে চিকিৎসা অবহেলার মৃত্যুর অভিযোগ

পবিপ্রবি শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে আহত হওয়ার পরে চিকিৎসা অবহেলার মৃত্যুর অভিযোগ

শেরপুর জেলা উপজেলায় নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

শেরপুর জেলা উপজেলায় নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

নববর্ষ উদযাপনে মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রা

নববর্ষ উদযাপনে মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রা

মাজারের বার্ষিক ওরসের মেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করল স্বামী

মাজারের বার্ষিক ওরসের মেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করল স্বামী

কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পৌনে দুই কোটি টাকার মালামাল ভস্মীভূত

কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পৌনে দুই কোটি টাকার মালামাল ভস্মীভূত

সরকার নয়, আমরা একটি দেশ হিসেবে কাজ করছি: জ্বালানি উপদেষ্টা

সরকার নয়, আমরা একটি দেশ হিসেবে কাজ করছি: জ্বালানি উপদেষ্টা

মতলবে উপজেলা বিএনপির বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

মতলবে উপজেলা বিএনপির বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

ফিলিস্তিনবাসীদের শান্তি কামনায়   বিশেষ দোয়া মাহফিল

ফিলিস্তিনবাসীদের শান্তি কামনায়  বিশেষ দোয়া মাহফিল

বর্ণাঢ্য ‘ড্রোন শো’ দেখে মুগ্ধ লাখো মানুষ

বর্ণাঢ্য ‘ড্রোন শো’ দেখে মুগ্ধ লাখো মানুষ

নতুন বছরে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হোক  : মঞ্জু

নতুন বছরে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হোক : মঞ্জু

বুধবার ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বুধবার ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পুরোনো পদে ফিরলেন গাঙ্গুলি

পুরোনো পদে ফিরলেন গাঙ্গুলি

আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী ক্রিকেট দল

আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী ক্রিকেট দল

রূপায়ণ সিটিতে শতকন্ঠে বর্ষবরণ

রূপায়ণ সিটিতে শতকন্ঠে বর্ষবরণ

বর্ষবরণকে স্বাগত জানিয়ে গাজীপুরে জেলা বিএনপির শোভাযাত্রা

বর্ষবরণকে স্বাগত জানিয়ে গাজীপুরে জেলা বিএনপির শোভাযাত্রা

আমরা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি: ফারুকী

আমরা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি: ফারুকী

ভারতীয়দের হজ কোটা ৮০ শতাংশ কমাল সৌদি

ভারতীয়দের হজ কোটা ৮০ শতাংশ কমাল সৌদি

চীনা দূতাবাসের সৌজন্যে ঢাকার আকাশে ব্যতিক্রমী ড্রোন শো

চীনা দূতাবাসের সৌজন্যে ঢাকার আকাশে ব্যতিক্রমী ড্রোন শো