চট্টগ্রামের শহর কুতুব শাহ্ আমানত (র.)
০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম

(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
সৈয়দ সূফি দায়েম (র.)’র মাধ্যমে আমানাতিয়া সিলসিলার বেশ প্রচার ঘটে। এ দরাবারের মাধ্যমে বহু মানুষ ফয়েজান হয়েছেন। সূফি মাওলানা কেয়ামুদ্দীন (র.) ছিলেন আরবের অধিবাসী; ধর্মপ্রচার করতে ভারতের বিহারে আসেন। পরবর্তীতে শাহ্ আমানত (র.)’র সঙ্গে বঙ্গদেশে চলে আসেন (মাজার- মস্তাননগর, মিরসরাই)। তিনি সেমা তথা কাওয়ালী পছন্দ করতেন। তাঁর উল্লেখ্য খলিফা হলেন- মধ্যযুগীয় কবি-সাহিত্যিক ও পীরে কামেল হজরত শাহ্ সূফি আলী রজা কানু রহ. (মাজার- ওষখাইন, আনোয়ারা)। শাহ্ সূফি মাওলানা আজিম (র.)’র মাজার লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী।
জনশ্রুতি আছে, শাহ্ আমানত (র.) হায়াতে জিন্দেগীর কোন এক সময় চট্টগ্রামের শহর কুতুব হিসেবে খোদা প্রদত্ত অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিশেষত চট্টগ্রামে এ মহান অলির প্রভাব ও অবদান অনস্বীকার্য; যা অবর্ণনীয় ও অকল্পনীয়। বাংলাদেশ সরকার তাঁর এ অবদান কে সম্মান জানিয়ে চট্টগ্রাম বিমানন্দরকে; ‘শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’, কর্ণফুলী সেতুকে ‘শাহ আমানত সেতু’, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রাবাস নামকরণ করেন ‘শাহ আমানত ছাত্রাবাস’। আল্লাহর অলিরা দুনিয়াতে যেমনিভাবে সম্মানিত অনুরূপে আখেরাতেও সম্মানিত। এটার বাস্তব প্রমাণ শাহ্ আমানত (র.)। তিনি ইন্তেকাল করেছেন প্রায় ২৫০ বছর পূর্বে; তাঁরপরও শতশত মানুষ প্রতিদিন-রাত তাঁর মাজারে ভীড় জমায়। এ মহান অলির ফয়ুযাত হাসিলের জন্য বাংলাদেশ সহ বিশে^র নানান প্রান্ত থেকে ছুটে আসে হাজারো ভক্ত আশেকান।
শাহ্ আমানত (র.)’র ইন্তেকালের সময়কাল নিয়ে নানান মতানৈক্য রয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনা পূর্বক অনুমান করা যায় যে, শাহ্ আমানত (র.) ১৭৭০-১৭৭৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেছালে হক্ব লাভ করেন। শাহ্ সূফি আজিম (র.) ছিলেন, শাহ্ আমানত (র.)’র বায়’আত। শাহ্ আমানত (র.)’র তত্ত্বাবধানে ইলমে মারিফতের বেশ কিছু পথ এগিয়েছিলেন; কিন্তু বার্ধক্য জনিত কারণে শাহ্ আমানত (র.) তাঁকে সবক দিতে অপারগ হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় তিনি তাঁকে সূফি দায়েম (র.)’র কাছে প্রেরণ করেন এবং সুফি দায়েম (র.) তাঁকে উপযুক্ত করে ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে ১৭৭৬ সালে নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরে প্রেরণ করেন। এ থেকে বুঝা যায়, আমানত শাহ্ (র.) ১৭৭৬ সালের পূর্বে ইন্তেকাল করেছেন। আরো একটি বিষয় আলোকপাত করা দরকার; সেটি হলো ঐতিহাসিক মৌলভী হামিদুল্লাহ খান এর যুগ ছিলো ১৮০৮-১৮৭০ সাল। তিনি তাঁর লেখনীর মধ্যে শাহ্ আমানত (র.) সর্ম্পকে তেমন তথ্য দিতে পারেনি। কারণ তাঁর জন্মের প্রায় বহু বছর আগে শাহ্ আমানত (র.) দুনিয়া থেকে পর্দা করেন। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, শাহ্ আমানত (র.)’র ওফাতকাল হিজরী ১১৮৭ সনের ৩০ ই জিলক্বদ (১২ ই ফেব্রুয়ারী ১৭৭৪ সাল) বা হিজরী ১১৮৭ সনের পহেলা জিলহজ¦ (১৩ ই ফেব্রুয়ারী ১৭৭৪ সাল)। হে আল্লাহ! আপনার এ মহান অলিদের মত আমাদের জিন্দেগী গঠন করার তৌফিক দান করুন। (সমাপ্ত)
লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিষ্ট, সুফী, গবেষক।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ভারতে আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যেভাবে নাটকীয়ভাবে বেঁচে গেল একটি পরিবার

অবশেষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেন উখিয়ার ১৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী

পবিপ্রবি শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে আহত হওয়ার পরে চিকিৎসা অবহেলার মৃত্যুর অভিযোগ

শেরপুর জেলা উপজেলায় নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

নববর্ষ উদযাপনে মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রা

মাজারের বার্ষিক ওরসের মেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করল স্বামী

কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পৌনে দুই কোটি টাকার মালামাল ভস্মীভূত

সরকার নয়, আমরা একটি দেশ হিসেবে কাজ করছি: জ্বালানি উপদেষ্টা

মতলবে উপজেলা বিএনপির বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

ফিলিস্তিনবাসীদের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল

বর্ণাঢ্য ‘ড্রোন শো’ দেখে মুগ্ধ লাখো মানুষ

নতুন বছরে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হোক : মঞ্জু

বুধবার ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পুরোনো পদে ফিরলেন গাঙ্গুলি

আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী ক্রিকেট দল

রূপায়ণ সিটিতে শতকন্ঠে বর্ষবরণ

বর্ষবরণকে স্বাগত জানিয়ে গাজীপুরে জেলা বিএনপির শোভাযাত্রা

আমরা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি: ফারুকী

ভারতীয়দের হজ কোটা ৮০ শতাংশ কমাল সৌদি

চীনা দূতাবাসের সৌজন্যে ঢাকার আকাশে ব্যতিক্রমী ড্রোন শো