ঘোগ নামের প্রাণীটি
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
আমাদের অনেক পরিচিত একটি শব্দ ঘোগ। কিন্তু আমরা অনেকই জানি না এই ঘোগ আসলে কি। এর কোন অস্তিত্ব ছিলো কিনা। যদিও বুঝে বা না বুঝেও আমরা "বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা" প্রবাদটি বলে থাকি। কবি বন্দে আলী মিয়া এই নামে একটি শিশুতোষ গ্রন্থও রচনা করে গেছেন।
যাই হোক, ইংরেজীতে ঘোগ শব্দটিকে থাইলাসিন (Thylacine) নামে ডাকা হয়। এ প্রাণীটির আরেক নাম তাসমানিয়ান টাইগার। ঘোগ প্রাণীটিকে ১৯৩৬ সাল থেকে বিলুপ্ত প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মাংসাশী এই প্রাণীটিকে নিয়ে বাংলায় প্রবাদ থাকলেও এর আদি নিবাস বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে, সুদুর অস্ট্রেলিয়ায়। তবে আদি নিবাস থেকেই ঘোগ নামের প্রাণীটি প্রায় ২ হাজার বছর আগে ‘বিলুপ্ত প্রায়’ পর্যায়ে চলে যায়।
মূলত অস্ট্রেলিয়ায় ইউরোপের উপনিবেশ স্থাপনের পর থেকেই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে থাকে। তবে তাসমানিয়া দ্বীপাঞ্চলে এটি টিকে থাকার চেষ্টা করলেও আদিবাসী ও হিংস্র ডিংগো কুকুরের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে জানা যায়, এটি ছিলো একধরণের নেকড়ে প্রজাতির প্রাণী। এদের মুখ এবং শারিরিক গঠন ছিলো কুকুরের মতন। গায়ে ছিলো বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ। গায়ের রং ছিল বাদামী। উচ্চতায় ছিলো বাঘের থেকে ছোট এবং কুকুরের থেকে লম্বা। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পরিচিত প্রাণী ক্যাঙ্গারুর সঙ্গে ঘোগের একটি অদ্ভুত মিল রয়েছে। আর সেটি হলো এই দুটি প্রাণীই marsupial অর্থাৎ উপজঠরী। ক্যাঙ্গারুর মতো এরাও তাদের বাচ্চা পরিণত হওয়ার আগে থলিতে বহন করতো। এই প্রাণীটি ছিলো স্তন্যপায়ী। বর্তমানে কিছু যাদুঘরে মমি হিসেবে প্রদর্শিত ছাড়া বাস্তবে ঘোগ নামের প্রাণীটিকে আর কোথাও দেখা যায় না।
বিভাগ : স্পটলাইট
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মাগুরায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
দেশের প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা তৈরিতে বাজারে অত্যাধুনিক ফিড নিয়ে এল আকিজ রিসোর্স
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের টানা ষষ্ঠ সিরিজ জয়
কমিউনিটি ব্যাংকে ট্রাফিক মামলার জরিমানা দেওয়া যাবে
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: দ্য ইকোনমিস্টকে ড. ইউনূস
‘ফ্যাসিবাদী প্রধানমন্ত্রী ও এমপিরা তাদের কৃত কর্মের জন্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে’
ব্রাহ্মণপাড়ায় ট্রাক্টরের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, আহত ২
কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর উত্তরের নগর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
এবি ব্যাংক পিএলসি. এর "বিজনেস রিভিউ মিটিং" অনুষ্ঠিত
উথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল সোনালী লাইফ
নেতাকর্মীদের রেখে লক্ষণ সেনের মত পালিয়ে গেছে স্বৈরাচার: ব্যারিস্টার সালাম
অভিনেতা অপূর্বকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার
বরিশালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অংশীজন সভায় প্রধান প্রকৌশলী
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস
সংস্কারোত্তর পিআর পদ্ধতিতেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে
‘শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে’
‘রাষ্ট্রের সকল স্তরে ইসলামী সংস্কৃতির অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে’
মেট্রোকে থামিয়ে ফাইনালে রংপুর
৪৩ বছর পর কুয়েতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি, হাসিনার ভরসা ভারতে: দুলু