প্রশাসনে উচ্চ পদে নারী কর্মকর্তার কমছে সচিব পদে ১০ জন, ডিসি ৯জন এবং ইউএনও পদে ১৭৪জন
০৮ মার্চ ২০২৩, ০৪:০৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩২ পিএম
পুরুষশাসিত সমাজব্যবস্থায় দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন নারীরা। দেশের সর্ববৃহৎ দুই দল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাদের হাতেই রাজনীতির জিয়নকাঠি। কিন্তু ৯২ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। এ ছাড়াও সংসদের স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সবাই নারী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব নারীদের হাতে থাকায় দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই। রাজনীতির মতোই বর্তমানে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রশাসনেও নারীদের দাপট বাড়ছে। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ‘নির্বাহী পদে’ নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। বর্তমান সরকারের আমলে গত দুই বছর তুলনায় প্রশাসনে সচিব পদমর্যাদায় ১০ জন নারী কর্মকর্তা কমছে। এর দুই বছর আগে ছিলো ১১ জন। প্রশাসনে সচিব পদমর্যাদায় ১১ জন নারী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। অতিরিক্ত সচিব ৫৫ জন, যুগ্মসচিব ১৭৪ জন, উপসচিব ৩৭জন, ডিসি পদে৯ জন, ইউএনও পদে ১৭৪ জন এবং সহকারী কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করছেন ১৩৩জন নারী কর্মকর্তরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষ ও শক্তিশালী প্রশাসন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে নতুনরূপে সাজানোর কাজ শুরু করেছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একাধিক মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগামী সরকারের আস্থাভাজন কয়েকজন কর্মকর্তাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে বসানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। উপ-সচিব থেকে যুগ্মসচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া মাঠ প্রশাসনের ডিসি ও ইউএনও পদেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিসি ফিটলিস্টের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মাসে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদকাল রয়েছে দেড় বছর। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এ রকম উত্তোরণকালে একদিকে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি রাজপথ গরম করে, অন্যদিকে প্রশাসনের ভেতর থেকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ধরনের চাপ ও অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা হয়। এসব বিষয়ে সরকার সচেতন। প্রশাসনের কয়েকটি পর্যায়ে রদবদলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অথচ উন্নত বিশ্বের দেশ আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে নারীদের এই সুযোগ দেখা যায় না। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এর পরে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং গত বছরের ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। তার আমলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আগে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল সাত থেকে আটশ ডলার, বর্তমানে তা বেড়ে ১৯০০ ছাড়িয়েছে ডলার। এ সময়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। যাদের কর্মকান্ড ঘরকন্যার বাইরে কল্পনাই করা যেত না, সেই নারীরা সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, বিজিপিতে এবং র্যাবে চাকরি করছেন। বিমান পরিচালনা এবং রেলগাড়িও চালাচ্ছেন পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। শুধু এই সব কঠিন কাজই নয়, প্রশাসনে নারীরা মর্যাদার সঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বর্তমানে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা কমিশন সদস্য সিনিয়র সচিব,শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব. অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব। বিসিএস ক্যাডারে পাস করেই তারা চাকরিতে প্রবেশ করেন। তবে ২০২২ সালের তুলনায় প্রশাসনে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা কমছে কর্মকর্তার সংখ্যা কমছে।
আজ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে দিনটি উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চলতি বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’। ১৯১০ সালের ৮ মার্চ নিউ ইয়র্কের সেলাই কারখানার নারী শ্রমিকদের নারী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার প্রতি সম্মান জানাতে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পরে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নারীদের নিয়ে আসেন। প্রশাসনে ১০ জন সচিব। অনেক অতিরিক্ত সচিবও নারী। প্রশাসনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আনতে হলে- কে নারী, কে পুরুষ সেটা বিবেচনা করে আনা যায় না, সিভিল সার্ভিসে টপ পজিশনে দিতে হলে টপ ক্লাসেই লাগে। দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা- সবকিছুই লাগে। টপ ক্লাসে বা শীর্ষে যারা আছে তারা নারী হিসাবে যায়নি, তারা মানুষ হিসাবে যোগ্যতা নিয়ে যাচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে প্রশাসনের শীর্ষপদ সচিব ও সমপর্যায়ের ৭৯ জনের মধ্যে নারী রয়েছেন ১০ জন। প্রশাসনে মোট সচিব ৭৯ জন এর মধ্যে নারী সচিব ১০ জন, গ্রেড-১ পদে কর্মকর্তা ২১জন এর মধ্যে ৩জন নারী, ৩২৭জন অতিরিক্ত সচিবের মধ্যে নারী ৫৫ জন, ৮৫৮ জন যুগ্ম সচিবের মধ্যে নারী ১৭৪ জন, এক হাজার ৭০৪ জন উপসচিবের মধ্যে নারী ৩২৯ জন, এক হাজার ৮৬৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবের মধ্যে নারী ৩০৭ জন ও এক হাজার ৪৪২ জন সহকারী সচিবের মধ্যে নারী ১৩৩ জন। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে মাঠপর্যায়ে এখন আটজন বিভাগীয় কমিশনার ও ১৫ জন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। ১১ জন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের মধ্যে কোনো নারী না থাকলেও স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪৫ জন উপ-পরিচালকের ১১ জন, ১৩৩ জন এসিল্যান্ডের (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-ল্যান্ড) মধ্যে ১১৫ জন, ৪৮৩ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে ১৩৫ জন নারী দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।তবে এর আগের দুই বছরের তুলনায় এখন প্রশাসনে বড় পদে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা কমছে।
এদিকে প্রশাসনে পুরুষ কর্মকর্তারা বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম করে থাকে সে তুলনায় নারীরা দুর্নীতি কম করে। সে কারণে নারীদের সংখ্যা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বাড়ানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশকে এখন পৃথিবীতে উদাহরণ হিসেবেই দেখা হয়। প্রধানমন্ত্রী, মাঠের বিরোধীদলীয় নেতা,সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদের স্পিকার- চারজনই নারী। কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক থেকে নয়, শিক্ষা, প্রশাসন, চাকরি- সব ক্ষেত্রেই নারীর অগ্রগতির প্রশংসা করছে সারা বিশ্ব।
প্রশাসনে সচিব পদে ১০ নারী:
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, পরিকল্পনা কমিশন সদস্য ( সিনিয়র সচিব ) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, এনডিসি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এ বিষয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের নতুন সভাপতি ফারহিনা আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, নারী বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তারা কাজের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা ফেইস করছে কিনা কাজের ক্ষেত্রে, এসডিসির জন্য তারা কতটুকু প্রস্তুত। অন্যান্য ক্যাডারের নারীরা উন্নয়নের সাথে কতটুকু খাপ খাইয়ে নিতে পারে; আমরা চাই নারীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে। তারা যেন সমানভাবে এগিয়ে থাকে। যাতে তারা নিজেদের প্রিয়ারড করতে পারে, ভবিষ্যতে বড় পদে যেতে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়। যোগ্যতা, দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে- সেজন্য আমরা মোটিভেশন করি। আমরাও চাই নারীরা এই ক্যাডারে আসুক, বিভিন্ন হলে মোটিভেশন মিটিং করি। বিসিএস দিতে উৎসাহ দেই। তারাও ভালো রেরপন্স দিচ্ছে ভালো। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইউএনডিপির সহায়তায় এই ফোরাম। প্রধানমন্ত্রীর একটি সিড মানি দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকার চায় নারীরা এগিয়ে যাক। ৮২ সালে প্রথম বিসিএসে মেয়েরা এডমিন ক্যাডারে এসেছে, এরআগে এডমিনে আসতে পারত না। এখন সেনাবাহিনী, বিজিবিতে নারীরা এগিয়ে আসছে। নারীরা এখন ভিসি, প্রিন্সিপাল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, বিচারপতি হচ্ছে। সব ক্ষেত্রে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাও তাই। মেয়েরা পিছিয়ে থাকলে দেশও এগোতে পারবে না।
৯ জেলায় নারী ডিসি : বাংলাদেশের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে রাজিয়া বেগমকে রাজবাড়ীতে নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপি সরকার। এরপর বিভিন্ন সময়ে নারীদের জেলা প্রশাসক হিসেবে শুভ সূচনা সৃষ্টি হয় প্রশাসনে। পরে জেলা প্রশাসক হিসেবে নারীর সংখ্যাস বাড়ছে। ৬৪ জেলায় সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে এখন নারীর সংখ্যা ৯। জেলা প্রশাসক হিসেবে একসঙ্গে এত নারী কখনো কাজ করেননি। রক্ষণশীল বাঙালি সমাজে নারীদের বাইরে কাজ করতেই বাধা দেয়া হতো তিন দশক আগেও। কিন্তু কোনো কোনো পরিবার আবার উৎসাহ দিয়েছে, তাদের সাফল্য দেখে আবার অনুপ্রাণিত হয়েছে অন্যরা। দিনে দিনে পড়ালেখা আর চাকরিতেও বাড়ছে নারীর সংখ্যা। ২০০১ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন রাজিয়া বেগম রাজবাড়ীতে। এরপর বিভিন্ন সময়ে নারী জেলা প্রশাসক হয়েছেন।
নারী জেলা প্রশাসকরা হলেন-মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল, মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড.রহিমা খাতুন, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান, শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাহেলা আক্তার, জামালপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রাবস্তী রায়, নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ্ গুল নিঝুম, বান্দরবনের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা বেগম এবং রংপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. চিত্রলেখা নাজনীন।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ ইনকিলাবকে বলেন, ডিসি হওয়ার আগে আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে কাজ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবেও কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি মেয়েদের স্বপ্ন দেখাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে আগের চেয়ে অনেক নারী কর্মকর্তাদের ডিসি করেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের মহাসচিব সায়লা ফারজানা ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনে সচিব পদ থেকে মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সকহারী কমিশনার সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপারের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পদগুলোতে মেয়েরা কাজ করছে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নসহ সবকিছুতেই নারীরা যেভাবে গুছিয়ে বা সিনসিয়ারলি কাজ করতে পারে সেটার প্রতি সরকারের আস্থা আছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভূমি সেবা সংক্রান্ত ৫টি সফটওয়্যারের নতুন সংস্করণ চালু হচ্ছে ডিসেম্বরে : ভূমি সচিব
পার্থে টেস্টের তৃতীয় দিনে দলে যোগ দেবেন রোহিত
দখলদারিত্বভিত্তিক গতানুগতিক ছাত্ররাজনীতি করবে না ছাত্রদল: সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন
বইমেলায় ‘সঠিক নিয়মে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ বাংলা’-এর মোড়ক উম্মোচন
ভারতে খেলতে আসছে মেসির আর্জেন্টিনা
ছাত্র-জনতা গণহত্যার মূলহোতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে আইনী লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে তোপের মুখে পান্না
রহস্যময় ‘ফরেন অফিশিয়াল ১’: আদানি ঘুষকাণ্ডে কে এই সরকারি কর্মকর্তা?
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সম্মানে জাতি আনন্দিত: ফখরুল
পাকিস্তানে মাইক্রোবাসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩৮
রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারী
মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন ঢাকার আনিসুর রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম হবে মুক্ত বিহঙ্গের মতো : খোকন
শহীদদের রক্তের সঙ্গে যাতে বেঈমানি না হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা থাকবে : নতুন সিইসি
খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস ফিরে আনতে হবে -আল-কাউসার পরিষদ বাংলাদেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কুশল বিনিময়
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি
শিখ নেতা হত্যা, মোদীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কানাডার
দলীয় ভিত্তিতে প্রশাসন সাজিয়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না: এ এম এম বাহাউদ্দীন
আদানির সঙ্গে জড়িত মোদিও: রাহুল গান্ধী