ঢাকা   রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৬ কার্তিক ১৪৩১

জলাশয় বাঁচানো জরুরি

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৩ জুন ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩, ১২:০২ এএম

সভ্যতার প্রথম থেকেই নদীকে কেন্দ্র করে জনবসতি গড়ে উঠেছে। রাজধানী ঢাকাও ব্যতিক্রম নয়। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে ঢাকা নগরীর গোড়াপত্তন ঘটে। কিন্তু কালের বিবর্তনে বুড়িগঙ্গা নদীকে আর নদী বলা যাচ্ছে না। দখল এবং মাত্ররিক্ত দূষণে বুড়িগঙ্গা নদীর অস্তিত্ব বিলীনের পথে। একটি সময় রাজধানীতে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু নদীসহ বড় পুকুর, ঝিলসহ অসংখ্য জলাশয় ছিলো। নদীগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত, মাঝিরা নৌকা বাইতো, মানুষ ঘুরতে আসতো নদীতে। কিন্তু প্রভাবশালী দখলবাজরা নদীগুলো ভরাট, বালু উত্তোলন এবং দূষণের ফলে নদীর অস্তিত্ব হুমকির পথে। অবৈধ স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান, সীমানা প্রাচীরসহ বিভিন্নভাবে দখল করে নদীগুলোকে সরু করে ফেলা হচ্ছে। আবার নদীর পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। শহরের বাসাবাড়ির পয়োঃবর্জ্য, শিল্পকারখানা কাপড় ধোঁয়ার রঙ, ট্যানারি কারখানাগুলোর বর্জ্যের কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দূষণের কারণে নদীর পানিতে অক্সিজেন পরিমাণ কমে গিয়ে মাছসহ জলজ প্রাণী বেঁচে থাকতে পারছে না। নদীকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্য হারিয়ে গেছে। রাজধানীর ছোট জলাশয়গুলোতে একটু চোখ দিলে দেখা যায় প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি, দুর্গন্ধসহ বিভিন্ন ময়লা দিয়ে পরিপূর্ণ। নদীগুলা এভাবে দূষণ ও ভরাট হতে থাকলে জনজীবনে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, একটি ‘আদর্শ শহর’ গড়ে ওঠে কংক্রিট, সবুজ ও পানির সমন্বয়ে। অন্তত ২৫ শতাংশ সবুজ, ১৫ শতাংশ জলাধার থাকবে। বাকি ৬০ ভাগের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কংক্রিট এলাকা করতে পারে, বাকিটা ভবনের মাঝখানে খালি জায়গা হিসেবে থাকবে। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত জলাশয় ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যার কারণে অগ্নিকান্ডে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ফায়ার সার্ভিসকে প্রচুর বেগ পেতে হয়। তাই, আদর্শ নগর বাস্তবায়ন, ভবিষ্যৎ নগরকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে অতিসত্বর নদীগুলোকে সংস্কার করতে হবে। নদী রক্ষা কমিশনকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। জনসাধারণকে নদীর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

শামীম আহমেদ
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

যুক্তরাষ্ট্রের নারী প্রেসিডেন্ট কি অধরাই থেকে যাবে?
গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণতন্ত্রের স্বার্থে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে
মুসলিম দেশগুলোতে সুশাসনের ঘাটতি
তরুণ প্রজন্ম এবং ৭ নভেম্বরের বিপ্লব
আরও

আরও পড়ুন

ছন্দ হারানো সিটি হারল ব্রাইটনের কাছেও

ছন্দ হারানো সিটি হারল ব্রাইটনের কাছেও

হাঁটুর চোটে মৌসুম শেষ মিলিতাওয়ের

হাঁটুর চোটে মৌসুম শেষ মিলিতাওয়ের

ভিনির হ্যাটট্রিক,বেলিংহ্যামের গোলে ফেরার রাতে রিয়ালের জয়

ভিনির হ্যাটট্রিক,বেলিংহ্যামের গোলে ফেরার রাতে রিয়ালের জয়

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা

শারজাহতে ৩৪ বছরের অপেক্ষা ঘোচালেন শান্ত

শারজাহতে ৩৪ বছরের অপেক্ষা ঘোচালেন শান্ত

প্রথম আঘাত তাসকিনের

প্রথম আঘাত তাসকিনের

সিলেটে ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের পরীক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সিলেটে ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের পরীক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

'ডিডি একা নয় হলিউডে এমন অসংখ্য রাঘব-বোয়াল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে'

'ডিডি একা নয় হলিউডে এমন অসংখ্য রাঘব-বোয়াল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে'

শরণখোলায় বিএনপি.র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শরণখোলায় বিএনপি.র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমাজকর্মী ফয়েজ উদ্দিন এমবিই

সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমাজকর্মী ফয়েজ উদ্দিন এমবিই

পাঠ্যবইয়ে মুসলমানদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে

পাঠ্যবইয়ে মুসলমানদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে

যুক্তরাষ্ট্রের নারী প্রেসিডেন্ট কি অধরাই থেকে যাবে?

যুক্তরাষ্ট্রের নারী প্রেসিডেন্ট কি অধরাই থেকে যাবে?

গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গণতন্ত্রের স্বার্থে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে

গণতন্ত্রের স্বার্থে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে

পরিবর্তনের হাওয়া লাগেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অফিস চালাচ্ছেন আওয়ামী কর্মকর্তারা !

পরিবর্তনের হাওয়া লাগেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অফিস চালাচ্ছেন আওয়ামী কর্মকর্তারা !

ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করলেন লন্ডনে পলাতক আনোয়ারুজ্জামান

ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করলেন লন্ডনে পলাতক আনোয়ারুজ্জামান

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধে কাজ করতে আগ্রহী ট্রাম্প

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধে কাজ করতে আগ্রহী ট্রাম্প

হতাশ মার্কিনিরা দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন

হতাশ মার্কিনিরা দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন

সহিংসতায় ফের উত্তপ্ত মণিপুর নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

সহিংসতায় ফের উত্তপ্ত মণিপুর নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাচ্ছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়

‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাচ্ছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়