ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার সংগ্রাম চলছে, চলবে
৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৪ এএম | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৪ এএম
একটি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী এবং টেকসই সমাধান হবে। এর কোনই বিকল্প নেই। ফিলিস্তিনিদের ভূমি তাদের ফেরত দিতে হবে এবং তাদের ভূমিতে তাদের নিরাপদে ও স্বাধীনভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে। বিশ্ব নেতাদের উচিত, এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তার জন্য ইসরাইলি দখলদারিত্বের চির অবসান ঘটাতে হবে।
১৯৬৭ সালের ৫ জুন ইসরাইল আরব রাষ্ট্রসমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল। ইসরাইল মাত্র এক সপ্তাহের যুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজা, পশ্চিম তীর, জেরুজালেম, মিসরের সিনাই এবং সিরিয়ার গোলান উপত্যকা দখল করে নেয়। পশ্চিমারা ইসরাইলকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে। ১৯৭৮ সালের ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমে মিসর ইসরাইলকে স্বীকৃত দিলে ইসরাইল সিনাই এলাকা মিসরের কাছে ফেরত দেয়। বাকী সব এলাকাতেই এখনো চলছে ইসরাইলের অব্যাহত দখলদারিত্ব। এভাবে শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিরা একটি পরাধীন জাতি হয়ে আছে। তারা কেবল মোকাবেলা করেছে যখন তখন ইসরাইলি নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞ। ফিলিস্তিনের যে মানুষগুলো ৫৬ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছে, তারা সবাই জন্মের পর থেকেই ইসরাইলের নির্যাতনকে মোকাবেলা করে আসছে। সেই নির্যাতনে নিহত হয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। কারাগারে বছরের পর বছর ধরে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি এবং চালিয়ে যাচ্ছে কঠিন এবং অসম এক স্বাধীনতা সংগ্রাম। কয়েক লক্ষ ফিলিস্তিনি জন্ম থেকেই উদ্বাস্তু। নিজ মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার জন্য ফিলিস্তিনের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতারা সংগ্রাম করছে এবং জীবন দিচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য ইসরাইলি আক্রমণ ও নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য ফিলিস্তিনিদের প্রতি কোনো পরাশক্তি সাহায্যের হাত বাড়ায়নি এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেনি। এমনকি বিশ্বে শান্তি এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে নিয়োজিত জাতিসংঘও ফিলিস্তিনিদের জন্য কিছুই করেনি। পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র বৃটেনসহ পশ্চিমারা সব সময় ইসরাইলকে তার সকল কর্মের জন্য নিঃশর্ত সমর্থন এবং সাহায্য সহযোগিতা করে চলেছে। তাদেরই প্রত্যক্ষ সাহায্য, সহযোগিতা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরাইল আজ পৃথিবীর অন্যতম বড় সামরিক শক্তির দেশ। ইসরাইলকে রক্ষায় তাদের রয়েছে অব্যাহত কর্মসূচি। আর ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে কোনো রাষ্ট্র যখনই জাতিসংঘে কোনো প্রস্তাব এনেছে তখনই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে তা নাকচ করে দিয়েছে। এভাবে ইসরাইলকে কখনই তার অপকর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হয়নি এবং শাস্তি পেতে হয়নি। এটা ইসরাইলকে করে তুলেছে বেপরোয়া এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ। কিন্তু এত কিছুর পরেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রাম দিন দিন বেগবানই হচ্ছে।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত ইহুদিদের জন্য পৃথিবীতে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। ১৯১৭ সালে সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী আর্থার বেলফার তার বেলফার ঘোষণার মাধ্যমে সর্বপ্রথম ইহুদিদের জন্য একটি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২২ সালে ফিলিস্তিন এলাকাটি বৃটিশ ম্যান্ডেট প্রাপ্ত হয়। ১৯৪৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ফ্রাংকলিন রুজভেল্ট একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ইহুদি কমনওয়েলথ গঠনের অনুমোদন দেন। ১৯৪৭ সালে বৃটেন ফিলিস্তিন প্রস্তাবটি জাতিসংঘে উত্থাপন করে। সে বছর ৩১ আগস্ট ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘ বিশেষ কমিটির রিপোর্টে ফিলিস্তিনকে আরব ও ইহুদি রাষ্ট্রে বিভক্তির সুপারিশ করা হয়। ২৯ নভেম্বর প্রস্তাবটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। এতে ফিলিস্তিন ভূখন্ডের ৫৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয় একটি ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য এবং আরবদের জন্য রাখা হয় ৪৫ শতাংশ। অথচ, তখন ফিলিস্তিনে আরব ছিল ১২ লাখ ৬৯ হাজার আর ইহুদি ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার। ১৯৪৮ সালে ১৫ মে ফিলিস্তিনের ওপর বৃটিশ ম্যান্ডেট অবসানের তারিখ ঘোষিত হয় এবং এর একদিন আগেই ইসরাইল তার স্বাধীনতা ঘোষণা করে। তৎকালীন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট স্তালিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান তৎক্ষণাৎ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। এই হলো ইসরাইল রাষ্টের জন্মকথা। এর পরপরই আরব-ইসরাইল যুদ্ধ হয়। ১৯৪৮ সালের জুলাইয়ের ১০ দিনের যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় আরব বাহিনী পরাজিত হয়। অক্টোবরে ইসরাইল হামলা চালায় উত্তর লেবাননের সীমান্ত ও গোলান মালভূমিতে এবং দক্ষিণ আকাবা উপসাগর ও সিনাই উপত্যকায়। এতে ফিলিস্তিনের ৭০ শতাংশের ও বেশি ভূখন্ড ইসরাইলিদের দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩ সালে ইসরাইল আবারো আরব দেশ আক্রমণ করে এবং তার সীমানাকে বিস্তৃত করে। এভাবে বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর ইসরাইলের অব্যাহত দখলদারিত্ব, সীমাহীন নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও বর্বরতা চলে আসছে।
পরাধীন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন তরুণ প্রকৌশলী ইয়াসির আরাফাত। কুয়েতে লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি আজকের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ কয়েকজন মিলে ষাটের দশকে গঠন করেন ফাতাহ আন্দোলন। গড়ে তোলেন পিএলও। তৎকালীন বিশ্বে সমাজতন্ত্রের জয় জয়কার। আরাফাত এবং তার দল ও ক্রমান্বয়ে অনেকটা ধর্মনিরপেক্ষ ও বাম চেতনায় গড়ে ওঠে। ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে পিএলও’র স্বাধীনতা সংগ্রাম চলতে থাকে। এ আন্দোলন পুরো মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক আনূকল্য লাভ করে। সাথে সাথে সোভিয়েত এবং তাদের সমাজতান্ত্রিক জোটের সমর্থনও লাভ করে। ইয়াসির আরাফাত হয়ে ওঠেন ফিলিস্তিনি জনগণের অবিসংবাদিত নেতা। ইয়াসির আরাফাত ও তার দল যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের চরম শত্রুতে পরিণত হন। তিনি দীর্ঘদিন নির্বাসনে থাকতে বাধ্য হন। ইসরাইলের নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য তিনি বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন দেশে সফর করতে থাকেন। কিন্তু বিগত শতাব্দীর শেষভাগে এসে সমাজতন্ত্রের পতন শুরু হলে তার প্রভাব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামকেও প্রভাবিত করে। ১৯৯১ সালে খোদ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেংগে গেলে ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে পরিচালিত আরাফাতের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও অনেকটা গতিহীন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনকে গড়তে শেখ আহমদ ইয়াসিন, ড. আব্দুল আজিজ রানতিসি এবং খালেদ মোশলেরা ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠা করেন। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আন্দোলন সম্পূর্ণ দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। একপক্ষ হচ্ছে আরফাত ও তার দল ফাতার নেতৃত্বে পিএলও’র ধর্মনিরপেক্ষ ধারা অপরটি হচ্ছে ইয়াসিন ও তার দল হামাসের নেতৃত্বে ইসলামী পুনর্জাগরণবাদী ধারা। ফাতাহ ক্রমেই দুর্বল হতে থাকে অপরদিকে হামাস ক্রমেই শক্তিশালী হতে থাকে। এ অবস্থায় আরাফাত ও তার দল ফাতাহর চিন্তায় পরিবর্তন আসতে থাকে এবং ক্রমেই তারা ইসরাইলের প্রতি নমনীয় হতে থাকে। তারা আস্তে আস্তে সশস্ত্র সংগ্রাম থেকে সরে আসে। এ অবস্থায় ১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরাইল এবং পিএলওর মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং পিএলও ইসরাইলকে স্বীকৃত দেয়। আরাফাত দীর্ঘ নির্বাসন শেষে নিজ জন্মভূমি ফিলিস্তিনে ফিরে আসেন। এর পর ইয়াসির আরাফাত ও তার দল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বন্ধু হয়ে যায়। ইয়াসির আরাফাতকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। অথচ, এক সময় তিনি ও তার দল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কাছে ছিল চরম শত্রু। হামাস এ চুক্তিকে প্রত্যাখান করে এবং একে স্বাধীনতাকে পরিহার করে ইসরাইলের কাছে আত্মসমর্পণ হিসাবে অভিহিত করে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে হামাস অংশ নেয়নি। সেবার ফাতাহ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। আরাফাত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল চেয়েছিল আরাফাত ও তার দলের আনুগত্য। তারা চেয়েছিল সাহায্য, সহযোগিতা এবং পৃষ্টপোষকতা দিয়ে আরাফাত ও তার দলের মাধ্যমে অধিকৃত ভূখণ্ডকে শাসন ও নিয়ন্ত্রণ করতে। কিন্তু আরাফাত তাতে রাজি না হওয়ায় তিনি আবারো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের শত্রুতে পরিণত হন। ইসরাইল তাকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে তাকে দীর্ঘদিন ধরে তার সদর দপ্তর রামাললায় অন্তরীণ করে রাখে। অন্তরীণ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সে আরাফাত ইন্তেকাল করেন। আরাফাতের পর প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ফাতার দ্বিতীয় নেতা মাহমুদ আব্বাস। আরাফাত পরবর্তী ফিলিস্তিনের নেতৃত্বে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয় তাতে হামাস এগিয়ে যায়। ফলে হামাসকে দমনের জন্য ইসরাইল বেছে নেয় হত্যা ও নির্যাতনের পদ্ধতি। ইসরাইল ২০০৪ সালের ২২ মার্চ হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমদ ইয়াসিনকে এবং ১৭ এপ্রিল হামাস প্রধান ড. আব্দুল আজিজ রানতিসিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যা করে। এরপর ইসরাইল ঘোষণা করে, প্রয়োজনে হামাসের সকল নেতাকে হত্যা করবে। কিন্তু ইসরাইলের নির্যাতনে হামাস দুর্বল হয়নি, বরং গতি লাভ করেছে। ২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনের সংসদ নির্বাচনে হামাস মোট ১৩২টি আসনের মধ্যে তারা ৭৬টি আসনে বিজয়ী হয় এবং সরকার গঠন করে। ফলে ফিলিস্তিনের নেতৃত্ব প্রথমবারের মতো ইসলামপন্থীদের হাতে চলে যায়। এতে ইসরাইল বেকায়দায় পড়ে এবং হামাসকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। হামাসের বিজয়ে ইসরাইলসহ পুরো পাশ্চাত্যেই সৃষ্টি হয় হতাশা ও আতংক। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনে সাহায্য সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। তারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু হামাস বরাবরই তা প্রত্যাখান করে এবং ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করে। ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন কংগ্রেস একটি বিল পাস করে। আর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বুশ ২১ ডিসেম্বর এই বিলটিতে স্বাক্ষর করেন। ফলে ‘প্যালেস্টাইনিয়ান এন্টি-টেররিজম এ্যাক্ট ২০০৬’ নামের এই বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনে পরিণত হয়। এই আইন পাসের পর হামাস বলেছে, তারা তাদের নীতিতে অটল থাকবে, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে না এবং জেরুজালেম মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে।
হামাসকে সরকার থেকে উৎখাতে সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর পশ্চিমারা হামাস এবং ফাতাহর মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয়। পশ্চিমাপন্থী ও ইসরাইলের প্রতি আপোসকামী এবং ধর্মনিরপেক্ষ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ২০০৭ সালের ১৪ জুন নির্বাচিত হামাস সরকারকে বরখাস্ত করে। এ অবস্থায় ঐদিনই হামাস গাজা দখল করে। সেই থেকে গাজায় চলছে হামাসের শাসন এবং পশ্চিম তীরসহ বাকী এলাকায় চলছে ধর্মনিরপেক্ষ মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ’র শাসন। হামাসের গাজা দখলের পর থেকে ইসরাইল পুরো গাজা এলাকাকে অবরোধ করে রেখেছে এবং ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা সমর্থন করে চলেছে। এমনকি জাতিসংঘও এক্ষেত্রে নির্বিকার। গাজা দখলের জন্য ইসরাইল ইতোমধ্যেই কয়েকবার সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে। এখনো গাজা দখল এবং হামাসকে নির্মূলের জন্য ইসরাইল সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু হামাস এখনো অনড়, অনমনীয় আর ফিলিস্তিনের জনগণও ইসরাইলের আগ্রাসন, দখলদারিত্ব এবং পরাধীনতাকে কখনো মেনে নেবে না।
লেখক : প্রকৌশলী ও উন্নয়ন গবেষক।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারলে নোবেল পাওয়া উচিৎ : মাত্তেও সালভিন
গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত, নিহত আরও ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত
আজ থেকে রাজধানীর ১৩ স্থানে সুলভমূল্যে মিলবে ডিম
আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস
অসুস্থ পলক ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি
যশোর আর্মি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দম্পতিকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়, আটক ১
কাউন্সিলর কাশেম মোল্লা ৯ বছরে শতকোটি টাকার মালিক
শেখ হাসিনার কথিত অডিও ক্লিপের নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী গ্রেপ্তার
রাজধানীর আ. লীগ কার্যালয় থেকে আটক ১
রাজধানীর জিরো পয়েন্টে ছাত্রদলের মিছিল
যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দু’জন নিহত
মধ্যরাতে হানিফ ফ্লাইওভারে চলন্ত ট্রাকে আগুন
যশোর জেনারেল হাসপাতালে টেন্ডার নিয়ে তত্বাবধায়ক লাঞ্ছিত, ২ নেতা বহিষ্কার
সল্টের বিধ্বংসী শতকে উড়ে গেল উইন্ডিজ
নুনেজ-সালাহ নৈপুণ্যে জিতে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়াল লিভারপুল
ছন্দ হারানো সিটি হারল ব্রাইটনের কাছেও
হাঁটুর চোটে মৌসুম শেষ মিলিতাওয়ের
ভিনির হ্যাটট্রিক,বেলিংহ্যামের গোলে ফেরার রাতে রিয়ালের জয়
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা
শারজাহতে ৩৪ বছরের অপেক্ষা ঘোচালেন শান্ত