মুসলিম-খ্রিষ্টান নির্বিচারে হামলা করছে ইসরাইল : আব্বাস
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে মুসলিম ও খ্রিস্টান উভয়কেই লক্ষ্য করে ইসরাইল নির্বিচারে হামলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান তীব্র আগ্রাসন এবং ১৯৪৮ সালের নাকবার মধ্যে সাদৃশ্য তুলে ধরতে গিয়ে রোববার এই মন্তব্য করেন তিনি। মাহমুদ আব্বাস বলেন, ইসরাইলি বোমা হামলা নির্বিচার এবং মুসলিম ও খ্রিস্টান উভয়কেই লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ ‘একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং সম্পূর্ণ সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।’ সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেছেন, খ্রিস্টের জন্মস্থান বেথলেহেম (পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শহর) অভূতপূর্ব বিষণ্ণতার সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমান এই ইসরাইলি আগ্রাসন তাকে ১৯৪৮ সালের নাকবার কথাই মনে করিয়ে দেয়। ১৯৪৮ সালের মে মাসে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইল রাষ্ট্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পরপরই প্রায় আট লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয় ও তাদের রাষ্ট্রহীন হওয়ার বিপর্যয় শুরু হয়। আরবিতে এই বিপর্যয়কে বলা হয় ‘নাকবা’। ফিলিস্তিনিরা প্রতিবছর তাই ১৫ মে দিনটিকে ‘আল-নাকবা’ দিবস হিসেবে পালন করেন। ‘নাকবা’কে ফিলিস্তিনের ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃখজনক দিন বলে বিবেচনা করা হয়। বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে আব্বাস বলেন, ইসরাইলি বাহিনী ইভানজেলিকাল ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল, অর্থোডক্স কালচারাল সেন্টার, গ্রীক অর্থোডক্স চার্চ হল এবং হলি ফ্যামিলি চার্চের পাশাপাশি গাজার মসজিদ, স্কুল এবং হাসপাতালগুলোতেও নৃশংসভাবে বোমাবর্ষণ করেছে এবং ‘এসব হামলা চালানোর সময় একজন মুসলিম এবং একজন খ্রিস্টানের মধ্যে কোনও পার্থক্য করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘খ্রিস্টানরা যেখানে উপস্থিত হয়েছে সেখানে, আমাদের সমস্ত লোক এবং জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে আমাদের ইসলামিক ও খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে দখলদার সেনারা।’ উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি বাহিনীর টানা আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৩৬ জন। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। আনাদোলু।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দু’জন নিহত
মধ্যরাতে হানিফ ফ্লাইওভারে চলন্ত ট্রাকে আগুন
যশোর জেনারেল হাসপাতালে টেন্ডার নিয়ে তত্বাবধায়ক লাঞ্ছিত, ২ নেতা বহিষ্কার
সল্টের বিধ্বংসী শতকে উড়ে গেল উইন্ডিজ
নুনেজ-সালাহ নৈপুণ্যে জিতে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়াল লিভারপুল
ছন্দ হারানো সিটি হারল ব্রাইটনের কাছেও
হাঁটুর চোটে মৌসুম শেষ মিলিতাওয়ের
ভিনির হ্যাটট্রিক,বেলিংহ্যামের গোলে ফেরার রাতে রিয়ালের জয়
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা
শারজাহতে ৩৪ বছরের অপেক্ষা ঘোচালেন শান্ত
প্রথম আঘাত তাসকিনের
সিলেটে ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের পরীক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
'ডিডি একা নয় হলিউডে এমন অসংখ্য রাঘব-বোয়াল রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে'
শরণখোলায় বিএনপি.র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমাজকর্মী ফয়েজ উদ্দিন এমবিই
পাঠ্যবইয়ে মুসলমানদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রের নারী প্রেসিডেন্ট কি অধরাই থেকে যাবে?
গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
গণতন্ত্রের স্বার্থে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে
পরিবর্তনের হাওয়া লাগেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অফিস চালাচ্ছেন আওয়ামী কর্মকর্তারা !