যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ফিনল্যান্ড
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও ইইউ তথা ন্যাটো দেশগুলির স্থলসীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। ফিনল্যান্ডের মানুষ ন্যাটোয় যোগ দিয়ে সুরক্ষা বাড়িয়ে নিলেও রাজধানী হেলসিংকির নীচে পাতাল জগতে আশ্রয় নিতে প্রস্তুত।
মাত্র আধ মিনিটেই একেবারে ভিন্ন এক জগতে পৌঁছানো যায়। হেলসিংকি শহরের তিরিশ মিটার নীচে সেই পাতাল জগত। সুড়ঙ্গ ও ঘরের বিশাল এক গোলকধাঁধা নয় লাখ মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারে। যুদ্ধের সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, রাসায়নিক অস্ত্র ও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থেকে বাঁচতে তারা সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। হেলসিংকির অন্যতম জনপ্রিয় প্লেগ্রাউন্ডে ছোট-বড় সবার জন্য হকির মাঠ, জিম, ক্যান্টিন, গাড়ির পার্কিং রয়েছে। অনেকে আবার সেখানে জন্মদিন পালন করতেও আসে।
শহরের হাকেনিমি এলাকায় সবচেয়ে বড় বাংকার রয়েছে। তার মধ্যে দু-দুটি ফুটবল স্টেডিয়াম ঢুকে যেতে পারে। যুদ্ধ ঘটলে খুব কম সময়ের মধ্যে সেটি পুরোপুলি চালু এয়ার রেড শেল্টারে রূপান্তরিত করা সম্ভব। হেলসিংকি সিটি রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের টোনি রাস্ক বলেন, ‘‘স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একটি বাংকার কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত কাজে লাগানোর ব্যবস্থা রয়েছে। বেশিরভাগ শেল্টারে আমরা প্রয়োজনে সেই সময়সীমা আরো বাড়াতে পারি। তবে সেখানে মানুষ থাকলে অনেক সমস্যাও হবে। মানুষের শরীরের উষ্ণতা একটা সমস্যা। আমি একাই যেমন সব সময়ে প্রায় একশো ওয়াট উত্তাপ সৃষ্টি করছি।’’
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রায় ছয় হাজার মানুষ এমন এক বাংকারে আশ্রয় নিলে সমস্যা দেখা দেবে। এমন সমস্যা অবশ্য শুধু হেলসিংকিতেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি গ্রানাইট ও গ্নিসের এক প্লেটের উপর অবস্থিত। বাংকারটি মাটির নীচে পাথুরে কাঠামোর মধ্যে রয়েছে। সেই পাথর স্থিতিশীলতা দিলেও খুবই শীতল। সেই বাংকারে অনেক ব্যবস্থা করতে হয়। যুদ্ধ ঘটলে বিশাল হল প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক ছোট ঘরে ভাগ করতে হবে। হাজার হাজার মানুষ পাতাল জগতেও যাতে অনেক সময়ের জন্য বাস করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা জরুরি। টোনি রাস্ক বলেন, ‘এখানে কিছু মানুষের মৃত্যু হবে। শিশু জন্মগ্রহণ করবে। অসুস্থ মানুষ, মনে সুখ-দুঃখওলা মানুষও থাকবেন। একেবারে স্বাভাবিক সমাজ শেল্টারের মধ্যেও চলতে থাকবে।’
ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার স্থলসীমান্ত রয়েছে। অনেক বছর ধরে দেশটি সামরিক জোট ন্যাটোর অংশ হতে চায় নি। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশটি ন্যাটোরও সদস্য হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ফিনল্যান্ডের মানুষের মনোভাব বদলে দিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ আরো সুরক্ষা এ নিরাপত্তা চাইছেন। হেলসিংকি সিটি রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের টোনি রাস্ক বলেন, ‘আমরা এই আশা নিয়ে আমাদের কাজ করে চলেছি, যে কোনোদিন এই সব বাংকার ব্যবহার করতে হবে না। তা সত্ত্বেও আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এমনটা যে ঘটতে পারে, ইতিহাস আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছে।’ হেলসিংকির মানুষ এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে চান। প্রয়োজনে তারা রাজধানী শহরের ৩০ মিটির নীচে বাংকারগুলির মধ্যে আশ্রয় নিতে পারেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রিয়ালে যোগ দিতে চান হল্যান্ড!
গফরগাঁওয়ে পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে সংঘর্ষ
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
পটিয়ায় পৌরসভার অপরিকল্পিত ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবি
বাঘারচর বিজিবি ক্যাম্পে ১৭৫ বস্তা ধনিয়া জব্দ মালিকের প্রশ্ন আরো ২০ বস্তা গেলো কোথায়?
ফেসবুকে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করলেন সাদিয়া আয়মান
স্বল্পমূল্যে কৃষিপণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য ‘কৃষকের বাজার’ উদ্বোধন
মানিকগঞ্জে এলাকাবাসীর অর্থায়নে রাস্তা মেরামত
হতাহতদের সাহায্যার্থে একটি হটলাইন চালু করা যেতে পারে
ভবদহের পানিবন্দি মানুষকে বাঁচাতে লংমার্চ কাল
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন?
শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ
সরকার সঠিক পথেই এগুচ্ছে
বন্যা-নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ ত্রাণ মাত্র ১০ কেজি চাল
ছোট ফেনী নদীর দু’পাড়ে ভাঙন বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ
কদমতলী-হাসনাবাদ সেতু ৪ বছরেও শেষ হয়নি
এআইর সাহায্যে প্রতিহত হল বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি
হিজবুল্লাহর হামলায় ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত ১৯
৮৫ মুসলিম হত্যার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন থাই প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানে ১০ পুলিশকে গুলি করে হত্যা করল জঙ্গিরা